পত্রিকা

শুভময় মিত্র

মিহি মন্তাজ: পর্ব ১১

‘দরজার বাইরে দুজন। অন্ধকারে প্রায় এক হয়ে আছে। চোখ সয়ে আসছে। দুটো মাথা কখনও আলাদা হচ্ছে। আবার ডুবে যাচ্ছে অন্যের মধ্যে। এরা কারা? ভাড়াটে? নাকি ওঁর পরিবারের কেউ? এমন একটা জায়গায় ওরা রয়েছে যে, পাশ দিয়ে না দেখার ভান করে নেমে যাওয়া যাচ্ছে না।’ অদ্ভুত পরিস্থিতি।

ভয়ঙ্কর সুন্দর

পাহাড় নিশির মতো ডেকে নিয়ে যায় আর ম্যাজিকের মতো হাপিশ করে ফেলে। এক মুহূর্তের ভুল। আর পুরো জীবনটাই ‘মিসটেক!’ ‘মিসটেক!’। আর তাই পাহাড়ে ভরসা শেরপা-বাণী, যা যে কোনও সাবধানবাণীর চেয়ে অনেক মূল্যবান। ভয়ঙ্কর আর সুন্দরের মাঝে শেরপা-ব্রিজ।

উপল সেনগুপ্ত

অ্যাবরা কা থ্যাবড়া ৫২

কথা থাকবে না, শুধু ছবি। মানে কার্টুন, ব্যঙ্গচিত্র। অবশ্য শুধু ব্যঙ্গ কেন, থাকবে হিহি, খিলখিল, ঠোঁট টিপে মুচকি, একলা দোকলা ফোকলা হাসি। ব্যঙ্গচিত্র কখনও হবে বঙ্গ-চিত্র, কখনও স্রেফ তির্যক দৃশ্য। ছোট্ট ফ্রেম, বিশাল ক্যানভাস।

ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়

মুখঋত: পর্ব ১৭

ভারতে বহু স্ট্যান্ড আপ কমেডিয়ান নাম অর্জন করেছেন। তবে তার জন্য তাঁকে যে মূল্য দিতে হয়েছে তা এই দেশের বাইরে কোনো শিল্পী ভাবতেও পারেন না। বিদেশের কমেডিয়ানরা টেলিভিশন শো-এ তাঁদের দেশের কঠোর সমালোচনা করতে পারেন! কিন্তু ভারতে? স্ট্যান্ড আপ অন দ্য বেঞ্চ মানে শাস্তি।

বিমল মিত্র

বিনিদ্র: পর্ব ৫২

‘বড় অবাক হয়ে গেলাম, গুরু এতে এত বিচলিত হল কেন? গুরু তো এমন ছিল না।
মনে আছে, পরদিনই সকালে মহাবলীপুরম্-এর টুরিস্ট-হাউসে চলে গেলাম। মদ্রাজ-স্টুডিওর কথা আবার ভুলে গেল গুরু। অত যে মন খারাপ তা এক নিমেষেই গুরু ভুলে গেল। তার মনে আর কোনও দাগ লেগে রইল না দেখে আমার খুব ভালো লাগল। পরের দিন থেকে গুরু আবার সহজ-স্বাভাবিক হয়ে উঠল।’ মাদ্রাজে শুটিং-বিভ্রাট।

সত্যজিৎ ও তাঁর নগর-দর্পণ

‘‘মহানগর’কে বাদ দিলে সত্যজিতের সত্যি-সত্যি নগরকেন্দ্রিক ছবি হল ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’, ‘সীমাবব্ধ’ ও ‘জন অরণ্য’, যা দেশে-বিদেশে ‘Ray’s Calcutta Trilogy’ বলে আখ্যা পেয়েছে। এখানে একটা চমৎকার তথ্য পাঠকদের দিয়ে রাখি, ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’র পর পরই যখন ‘সীমাবদ্ধ’ বিদেশ দেখানো হয় তখন ওখানকার সমালোচক বা সাংবাদিকরা একে City-trilogy-র তকমায় এঁটে দিয়েছিলেন ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’কে দিয়ে শুরু করে। এর কারণ আর কিছুই নয়, ‘জন অরণ্য’ তখনও তৈরিই হয়নি।’ কলকাতা এবং সত্যজিৎ।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

সামথিং সামথিং: পর্ব ২৫

এক রুশ খবরকাগজের সম্পাদক (যাঁর কাগজ এখনও সরকারের কাছে বিকিয়ে যায়নি) বললেন, পুতিনের এই কাজের এক বিশ্রী ফল: এবার রাশিয়ানরা হয়ে উঠবে সারা পৃথিবীর কাছে ভিলেন। কিছু ভুল নয়, এভাবে সব রুশকে পুতিনপন্থী ভাবাও অন্যায়, কিন্তু এই হল যুদ্ধের বহুমুখো করাত। পুতিনের সাইডএফেক্ট।

রাস্‌কিন বন্ড (Ruskin Bond)

ছোট্ট জোনাকি

‘পাহাড়ি ঘাসের ঢালে বসে, পাইন গাছের ডালে খেলে বেড়ানো মৃদুমন্দ বাতাসের আমেজে একটা কবিতা লেখা– এ যেন শুধু লেখা নয়, কবিতাটার মধ্যে বাঁচা। আজকে, এত বছর পরে ফিরে দেখলেও আমি যেন ওই বাতাসের ছোঁয়া অনুভব করতে পারি, আর গোটা জঙ্গলের গানটা যেন শুনতে পাই, আর সেটাই আমার প্রতিদিনের, আমার জীবনের কবিতা। ‘ নতুন গল্প।

ডাকবাংলা.কম

দুই হুজুরের গপ্পো: পর্ব ২

ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান খেলা মানেই প্রচণ্ড চাপ। সুব্রত-মনোরঞ্জন দুজনেরই স্বাকীরোক্তি। ইস্টবেঙ্গল মাঠে থাকলে ঝামেলা হবেই। মোহনবাগানের কুসংস্কার। খুনসুটি, ভালবাসার অভিজ্ঞতা নিয়ে আবার সুব্রত-মনোরঞ্জন।

খুচরো খাবার: পর্ব ৬

‘এই শহরের হারিয়ে-যাওয়া আরও বহু, বহু ধরণের ভ্রাম্যমাণ খাদ্যপণ্যবিক্রেতাদের মতোই, এক সময়ে ছোলা-চ্যাপটা ফেরিওয়ালাদের ফেরির একটা বড় অংশ ছিল তাঁদের রঙ্গ-তামাশার গান। ছোট্ট-ছোট্ট দু-চার লাইনে ছন্দে বাঁধা তাঁদের গানগুলোর বিষয় দিনের রাজনৈতিক ঘটনাবলি থেকে শুরু করে সম্পূর্ণ আদিরসাত্মক হয়ে উঠতে পারত, আর সব গানের শেষেই ফিরে-ফিরে আসত ‘ম্যয় লাহুঁ মজেদার, চানাচো-র গরম্‌’-এর মতো ধুয়া…’

শ্রীজাত

হিয়া টুপটাপ, জিয়া নস্টাল: পর্ব ১২

পড়তে-পড়তে তাদের রুটির আশ্চর্য গন্ধ এসে নাকে লাগছে, তাদের কেকে-র মিঠে ভাপে ভরে উঠছে আমার শীতকাল। যেন আমাদের ভাতের হাঁড়ি এসবের চেয়ে খুব বেশি দূরে নয়। তাই দেব সাহিত্য কুটিরের পাশাপাশি রাদুগা ছিল আমাদের ভরসা, ইন্দ্রজাল কমিকস-এর কাছাকাছি ভস্তককে চিনতাম।

সঞ্চারী মুখোপাধ্যায়

বাপ্পিদা, ডিস্কো আর ‘সেই’ সময়

তবু বাপ্পি লাহিড়ী জিতে গেলেন। কেন? কারণ তিনি পরোয়া করলেন না। না পরোয়া করলেন তাঁর প্রতি বিদ্রূপের, না পরোয়া করলেন তাঁর গলা নিয়ে নিন্দুকের মন্তব্যের আর না পরোয়া করলেন তাঁর জীবনযাপনের দিকে ধেয়ে আসা বাক্যবাণের। তিনি নিজের স্বগর্ব উপস্থিতি ঘোষণা করলেন নিজের যাপনের মধ্যে দিয়ে। বাপ্পীদা, থোরা অলগ সবসে!