পত্রিকা

ম্যাকি: পর্ব ১৫

‘ জিন যদি policy maker হয় তাহলে ব্রেন হল তার executive। এই ব্যাটা ব্রেন শুধু যদি কেরানি হত, শুধু execute করত তাহলে জিন-এর আজ এই দুর্গতি হত না। ব্রেন, পলিসি মেকিং-এও নাক গলাতে শুরু করে এমন ঝামেলা পাকাল, জিন গাইতে শুরু করল ‘এই করেছ ভালো, নিঠুর হে!’। জিন বলল, ভাই ব্রেন তুই যা ভাল বুঝিস তাই কর, দেখিস আমি যাতে না মরি। এদিকে ব্রেন সাংঘাতিক জিনিস। সে কাউকে বলল সমকামী হয়ে যা। সে সমকামী হয়ে গেল। জিন ওদিকে বলল, গেল! এই দেহটা পুরো জলে গেল রে! দেখি অন্যদিকে।’

শুভময় মিত্র

মিহি মন্তাজ: পর্ব ১৩

‘পাইলট ঘোষণা করল, ‘প্লেন টার্বুলেন্সের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। যাত্রীরা যেন এদিক-ওদিক যাতায়াত না করেন। সিটবেল্ট বেঁধে ফেলেন।’ খাবার না দেওয়া নিয়ে ডামাডোলে থ্রি এফ বিশেষ সক্রিয় হয়ে উঠতে পারেননি। বললেন, ‘প্লেন ঝাঁকিয়ে, মিথ্যে ভয় দেখিয়ে আমাদের চুপ করিয়ে দিল। এভাবে আমাদের দাবায়ে রাখা যাবে না কো।’’ বাঙালির প্লেনযাত্রা।

পৃথিবীর সেরা দশটি পৌরাণিক কাহিনি: পর্ব ৩

‘নিজের প্রাণ বাঁচাতে সেডনার বাবা মেয়েকে সমুদ্রে ফেলে দিলেন, যাতে তুষ্ট হয়ে পাখিরা তাঁকে ছেড়ে দেয়। সেডনা আবার নৌকায় উঠতে চেষ্টা করায় বাবা তার আঙুলগুলো কেটে দিলেন। রক্তাক্ত ছিন্নভিন্ন হাতেই সে আবার সে ওঠার চেষ্টা করায় এবার বাবা কেটে দিলেন তার হাত দুটোই, এবং মেয়েকে তার ছিন্নভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সমেত আবার ফেলে দিলেন জলে। সেডনা যখন সমুদ্রের অতলে ডুবে গেলো, তখন তার কাটা হাত থেকেই জন্ম নিলো মাছ, সীল, তিমি…’

10 best mythological tales from around the world: Part 3

‘Sedna begged her father to come and take her back home, and he agreed. But as they headed across the waters, a flock of sea birds surrounded the boat. The incessant flapping of their wings caused a tremendous storm to arise and their small vessel was tossed from side to side. Fearing for his own safety, Sedna’s father threw her into the ocean to appease the angry birds. When Sedna tried to climb back into the boat, he cut off her fingers.’

খুচরো খাবার: পর্ব ৮

‘২০২১-এর সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে অযাচিত বৃষ্টি এ-ফসলের শিরদাঁড়া ভেঙে দিয়ে চলে গেছিল; এ-বছরের অস্বাভাবিক গরম তা একেবারে থেঁতলে দিয়ে যায়। এ-সোনায় সোহাগা জ্বালানির চড়-চড় করে ওঠা দাম, যা লেবুর বাজারদরকে একেবারে আকাশছোঁয়া বানিয়ে দিয়েছে। ‘সর্বত্র সহজলভ্য লেবুর জল’ ব্যাপারটাই বোধহয় আর কিছুদিনের মধ্যে ‘কলকাতার হারিয়ে যাওয়া ফিরিওয়ালা’-র ক্যাটেগোরিতে পৌঁছে যাবে।’ লেবুর জলের দু-চার কথা।

সঞ্চারী মুখোপাধ্যায়

স্টেশনের ডাক

‘যে-বছর চক্রবর্তীরা কেদার দর্শনে যাচ্ছিলেন, সে-বছরই ঘোষবাড়ি যাচ্ছিল নৈনিতাল। একই কামরা। দিল্লি অবধি একই গন্তব্য। ফিরে এসে কেদারের প্রসাদ-সহ আদান-প্রদান হয়ে গেল সম্বন্ধ অবধি। শুরু সেই ‘কী চা খাবেন নাকি?’, ‘তা, হলে মন্দ হয় না।’’ চায়ের আলাপ।

লে লে বাবু ছ’আনা

এত কথার ভিড়ে আমাদের অস্বস্তি হয় না? একেবারে না! মনে হয় না, উফ বাবা, একটু থামলে ভাল হত? একদম উল্টো। নৈঃশব্দ্যের বা নীরবতার মহিমাগান বহুত গাওয়া হয়েছে, কিন্তু মানুষ আসলে চেয়েছে তার জীবন আঁট-ঠাসা থাক ঘটনায় বিনোদনে, গসিপে রসিকতায়, সহজ বিপ্লবে আর ধোঁয়াটে ভ্যানতাড়ায়। এবং নয় কেন? কী এমন গাঢ়তার স্বরলিপি গাঁথা আছে ধীর মন্থর ঘ্যানরঘ্যানর দিনরাত্রিতে, যেখানে নিজের আঙুল মটকে আর গাছের ছায়া চটকে কাটাতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা?

বয়স, ট্র্যাফিক, ফেসবুক

‘কী এমন প্ররোচনা আমাদের উসকে দেয়, যে এক মুহূর্তে আমরা দুম করে রাগের স্কেলে একেবারে শূন্য থেকে ১০০’য় পৌঁছে যাই? এর নানা কারণ আছে, আর সবাই অন্তত একটা বিষয়ে একমত হবেন যে বয়স জিনিসটা এই রাগের অগ্নিতে ঘৃতাহুতি দেওয়ার ব্যাপারে এক নম্বর। মধ্য-চল্লিশে পৌঁছে শুধু তাপমাত্রাই যে আমাদের অসহ্য লাগে তা নয়, যা আসলে অসহ্য হয়ে ওঠে, তা হল আমাদের মেজাজ। মধ্যবয়সিদের রাগ একেবারে গনগনে লাল।

চাঁদির চাঁদের হাটে

‘লোকঠকানো আর রংবাজি ভিন্ন অন‍্য কোনও উপায় নেই পয়সা করবার। শ্রম-মেধা-নিষ্ঠা-একাগ্রতা দিয়ে অথবা ঘটে কয়েন জমিয়ে, কোনও কালে কারুর সাতমহলা স্বর্গ নির্মাণ হয়নি। চুপিসার চুরি কিম্বা সরাসরি বুকের ওপর চড়ে বসে টুঁটি টিপে ধরে উগড়িয়ে নেওয়া পয়সা দিয়েই লোকের টাকা হয়েছে।’ উপার্জনের উপায়।

শর্মিলা ঠাকুর (Sharmila Tagore)

অপুর সংসার

‘এমন অভিনব সমস্যার কথা উনিও ভাবেননি! শেষপর্যন্ত সমস্যার সমাধান করলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। পরামর্শ দিলেন, অফ ক্যামেরা অন্য কেউ কাঠিটা জ্বালিয়ে ওর হাতে দিক। সেটাই হল। এত অপূর্বভাবে সেই শটটি নেওয়া হল, এই এত বছর পরেও কেউ বুঝতে পারেন না, দেশলাইটা আমি জ্বালাইনি।’ ‘অপুর সংসার’-এর অভিজ্ঞতা।

Age, Rage, Traffic, Facebook

‘As an incredibly hot-tempered person myself I can understand rage well. After all, I have been angry at all ages. Sexism and gender-stereotyping annoyed me in my youth, the challenges of working in Kolkata and city-stereotyping annoy me now. The entitlement of those who know they are in positions of power and milk it remorselessly annoyed me always.’

অনুপম রায়, শুভ চক্রবর্তী

বেঙ্গালুরুতে অ্যান্টনি: পর্ব ২

প্রেমের দুঃখ বড় দুঃখ। বান্ধবী যদি যোগাযোগ না রাখে মন তখন আর মানতে চায় না। আমাদের অ্যান্টনির যেরকম অবস্থা এখন। বেচারা শায়েরিকে ফোন করেই চলেছে, কিন্তু উত্তর নেই! এদিকে এই সময়েই আবার তাকে চলে যেতে হচ্ছে দূরে। এই দু-ধরনের দূরত্ব হজম করতে না পেরে সে যে কী কাণ্ডটাই ঘটিয়ে ফেলল, একবার দেখুন আপনারা!