পত্রিকা

ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়

মুখঋত: পর্ব ১৮

‘আবার সেই জুদ্দু নিয়ে নাটক? আবার সেই রাজনৈতিক কচকচানি? তারপরেও উনি দেখছেন পৃথিবীর এখন হুবহু সেই আগেরই চেহারা, সেই যুদ্ধবাজি! রাশিয়া বনাম ইউক্রেনের কথাও বললেন! ৬০ বছরে মানুষের সভ্যতার বিবর্তনের চেহারাটা বিপথগামী দেখে ব্রেখট বোধহয় একটু রাগেই পাইপটা ছুঁড়ে ফেলে দিলেন।’ ব্রেখট-এর সঙ্গে উত্তমের দেখা।

শুভময় মিত্র

ক্ষতের শিল্পে বিরাজমান শিল্পী

আজ থেকে একশো বছর আগে ভূমিষ্ঠ হওয়া ফ্র্যাজাইল শরীরের এই মানুষটির সৃষ্টি নিয়ে আর্ট দুনিয়া এই মুহূর্তে উত্তেজিত। অকশন হাউস, আর্ট গ্যালারি, বই প্রকাশ, ডকুমেন্টারি, কী না হচ্ছে। উনি রেখে গেছেন ওঁর জীবনভর সংগৃহীত, সৃষ্ট, অজস্র ক্ষত।’ শতবর্ষে সোমনাথ হোড় : ‘অর্থশীলা’, শান্তিনিকেতন; প্রদর্শনী চলবে ২০ মে, ২০২২ পর্যন্ত

শ্রীজাত

হিয়া টুপটাপ, জিয়া নস্টাল: পর্ব ১৪

বাবা বাড়িতে নেই, মা ডুবে আছে গানে, সবিতাদি ভারী যত্ন করে আমাকে বেড়ে খাওয়াত মাংস ভাত। স্টিলের একখানা চকচকে কানাউঁচু থালা ছিল আমার। সেইটায় আচ্ছা করে সময় নিয়ে চেটেপুটে খেতাম। যত বেশি সময় ধরে সেই আশ্চর্য রান্নার স্বাদ নেওয়া যায়, ততই আমার ভাল।’ রোববার আর সবিতাদি।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

এক শালিক: পর্ব ১৫

আবিষ্কার হয়েছে চালকহীন গাড়ি। শুনে অনেক ভাবছেন, ‘যাক, ড্রাইভারের ঝামেলা মিটল’, অনেকে ভাবছেন, ‘পেছনের সিটে ইন্টু-মিন্টু করার আর বাধা রইল না।’ কিন্তু এই আবিষ্কারের কিছু খারাপ দিকও রয়েছে। অ্যাক্সিডেন্ট হলে গণধোলাই দেওয়া হবে কাকে? কার ওপর যখন তখন প্রভুত্ব ফলাবে অহং-বাজ মধ্যবিত্ত? চালকের অস্তিত্ব নিয়ে দ্বন্দ্ব।

শান্তনু চক্রবর্তী

ছবির এ যৌবন

গত সত্তর বছর ধরে বাঙালি ‘‌সাড়ে চুয়াত্তর’‌ চুটিয়ে দেখেছে আর প্রাণভরে হেসেছে। ১৯৫৩-র ২০ ফেব্রুয়ারি যখন ছবিটা মুক্তি পাচ্ছে, তখন ছবির রোমান্টিক নায়ক উত্তমকুমারের ক্রেডিটে মাত্র দেড়খানা হিট!‌ কিন্তু এ ছবির সত্যিকারের নায়ক-নায়িক তুলসী চক্রবর্তী, মলিনা দেবী। যাঁদের দেখে এখনও বাঙালির আশ মেটে বা। এ ছবি কালজয়ী। সাড়ে চুয়াত্তর বাঙালি অস্তিত্বের স্বাক্ষর।

জয়দীপ মিত্র

পুরবাইয়া, কানহাইয়া, লড়াই, বেগুসরাই

‘চন্দ্রশেখর সিং-এর হাতে কমিউনিস্ট হয়ে কানহাইয়ার দাদু আমৃত্যু সি.পি.আই থেকে যান। স্কুল ছেড়ে কানহাইয়ার বাবা তখনও নিষিদ্ধ সি.পি.আই (এম-এল) দলে যোগ দেন ও তারা পরে নকশালবাড়ির পথ থেকে হটে এসে সংসদীয় গণতন্ত্রে আস্থা স্থাপন করলে চূড়ান্ত হতাশায় রাজনীতি থেকে সরে আসেন। ভালো করে জ্ঞান হবার আগেই কানহাইয়া কুমারের ডাফলি-বাজানো-গান শেখা শুরু বেহাত গ্রামের আই.পি.টি.এ শাখায়। সুতরাং দেখা যাচ্ছে এ.আই.এস.এফ-এর ক্ষুরধার ছাত্রনেতা টুপ করে আকাশ থেকে জে.এন.ইউ ক্যাম্পাসে ঝরে পড়েন নি। কার্যকারণ সম্পর্কটা স্পষ্ট।’ কানহাইয়া কুমারের সঙ্গে কয়েকদিন।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

‘প্রতিদ্বন্দ্বী’র টুকরো-টাকরা

‘ছবিটা কর্কশ। শুধু সংলাপে প্রচুর ‘শালা’, ‘শুয়োরের বাচ্চা’ ছড়ানো আছে বলে নয়, যেখানেই সিদ্ধার্থ যাক হাঁটুক দাঁড়াক তার পিছনে পাশে প্রতিবাদী পোস্টার বা রাজনৈতিক দেওয়াল-লিখন থাকে বলে নয়, সিদ্ধার্থর বাড়িতে সবসময় চাপ-চাপ অন্ধকার থাকে বলে নয়, ছবিটার পাত্রপাত্রীদের অ্যাটিটুড আমাদের প্রকৃত ইট-পাটকেলগুলো মারে।’ ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’র সত্য।

উপল সেনগুপ্ত

অ্যাবব়া কা থ্যাবড়া ৫৮

কথা থাকবে না, শুধু ছবি। মানে কার্টুন, ব্যঙ্গচিত্র। অবশ্য শুধু ব্যঙ্গ কেন, থাকবে হিহি, খিলখিল, ঠোঁট টিপে মুচকি, একলা দোকলা ফোকলা হাসি। ব্যঙ্গচিত্র কখনও হবে বঙ্গ-চিত্র, কখনও স্রেফ তির্যক দৃশ্য। ছোট্ট ফ্রেম, বিশাল ক্যানভাস।

অনুপম রায়, শুভ চক্রবর্তী

বেঙ্গালুরুতে অ্যান্টনি: পর্ব ১

২০১৫ সালের পর আর অ্যান্টনিকে দেখা যায়নি। কে জানে এতগুলো বছর কোথায় গা ঢাকা দিয়ে ছিল! এখন অবশ্য ও বেঙ্গালুরুতে, কিন্তু নির্ঘাৎ জীবন ঘেঁটে ঘ। সাত বছর বাদে এটা তার দ্বিতীয় অ্যাডভেঞ্চার। এবারে ওর আগের জীবনের দুঃখের সঙ্গে এই জীবনের দুঃখের তুলনামূলক আলোচনা করে দেখতে হবে, সেটা বাড়ল না কমল!

দেবদত্ত পট্টনায়েক (Devdutt Pattanaik)

পৃথিবীর সেরা দশটি পৌরাণিক কাহিনি: পর্ব ২

‘আদম এবং ইভ ঈশ্বরের হুকুম মেনে চলত, তবে শয়তান একদিন সাপের রূপ ধরে এসে ইভকে ভুল বুঝিয়ে ফলে একটি কামড় বসাতে বাধ্য করল। এরপর ইভও আদমকে বাধ্য করলেন ফলটি খেতে। ফল খাবার পরে অকস্মাৎ দুজনের নিষ্পাপ চরিত্র উধাও হয়ে গেল। তাঁরা প্রথমবার নিজেদের নগ্নতা দেখে লজ্জা পেলেন এবং চেষ্টা করলেন নিজেদের শরীর পোশাক দিয়ে ঢাকার। ঈশ্বর তাঁর সৃষ্টিদের এই অবাধ্যতায় বড় হতাশ হলেন এবং এই প্রথম পাপ, এই প্রথম অবাধ্যতার অপরাধে তাঁদের ইডেন উদ্যান থেকে বহিষ্কার করলেন।’

খান রুহুল রুবেল

ঢাকা ডায়েরি: পর্ব ১৪

চারশো বছরের বাজার পাল্টেছে কালের নিয়মে, তবে মূল চরিত্র বদলায়নি। এখনও এটি সর্বজনের সহায়, চকবাজার কাউকে ফেরায় না। প্রসাধনী, রাসায়নিক দ্রব্যাদি, চিকিৎসাপণ্য, কাপড়, প্লাস্টিক দ্রব্য, বেকারিপণ্য, অলংকারসামগ্রী, খেলনাপাতির পাইকারি বাজার আর এসবের খণ্ডাংশ হিসেবে বহু খুচরো দোকানের সমাহার। কিন্তু এত কিছুর পরও চকবাজারের নাম শুনলেই ঢাকাবাসীর মনে আসে দুটো কথা— কাবাব, ইফতার আর রঙিন পুঁতির দেশ। ঢাকার চকবাজারের ইফতার।

অর্ণব চক্রবর্তী

সারপ্রাইজ: পর্ব ২

‘মায়ের সাথে বাবার অনেকটা তফাত। মননে, ভাবনায়, বিশ্বাসে। ঘরের মধ্যে আটকা পড়লে বাবার চোখে-মুখে ডিপ্রেশন পিঁপড়ের সারির মতো ছড়াতে থাকে। ভ্যান গঘের ‘স্টারি নাইট’-এ যেমন মেঘগুলো-তারাগুলো ডাইনামিক হয়ে ফুটে থাকে, বাবার চোখে-মুখে ডিপ্রেশনও তেমন। অপ্রকাশিত, অথচ যেন ফেটে পড়ছে। আর মা ঠিক উলটো। ঘরের মধ্যে কী প্রাণবন্ত! এই জামা ভাঁজ করছে, চাদর টানটান করছে, কাপড় মেলছে, পনিরের তরকারি ফ্রিজের মধ্যে ঢোকাচ্ছে।’ নতুন গল্প।