সংখ্যা ৪০ : অগ্রহায়ণ ১৪২৮/নভেম্বর ১৯ ২০২১

দেবদত্ত পট্টনায়েক (Devdutt Pattanaik)

The Spread of Tantra

‘…In Tantrik Hinduism, the apsara becomes the yogini. Sex was not for pleasure or for children: it was to harness spiritual power. The point was to satisfy the woman without feeling the need to spill the semen (virya). Such control is what made the monk a hero.’ The journey of Tantra from India.

ডাকবাংলা.কম

‘রুবারু’

‘রুবারু’; ‘মুখোমুখি’। কীসের সম্মুখীন এই ছবির নায়িকা, অভিনেত্রী রাধা মালহোত্রা? বয়স বাড়ার সাথে-সাথে প্রত্যাখ্যানের ভয়? আকর্ষণ ম্লান হয়ে ওঠার এবং নিরাপত্তাহীনতার ভয়? নাকি বড় একা হয়ে পড়া, নিজের মস্তিষ্কের ভেতর লড়ে চলা একটা অবিরাম লড়াইয়ে ক্লান্ত হয়ে হাল ছেড়ে দেওয়ার ভয়? টিসকা চোপড়ার সময়োচিত স্বল্প-দৈর্ঘ্যের ছবি।

তরুণ মজুমদার

সাক্ষাৎকার: তরুণ মজুমদার: পর্ব ১

সিনেমার নেশা একদিন তাঁকে সত্যি-সত্যিই পরিচালক করে তুলেছিল! কিন্তু কেমন ছিল ওই যাত্রাপথ? সেই সব দিন-রাত্রির কথাই উঠে এল এই আলাপচারিতায়। ‘যাত্রিক’-এর ইতিহাস থেকে ভি শান্তারামের সান্নিধ্য, ‘পলাতক’ থেকে ‘ফুলেশ্বরী’র নির্মাণ-কাহিনি জানালেন তরুণ মজুমদার। সঙ্গে তাঁর সিনেমাভাবনা। কথোপকথনে শান্তনু চক্রবর্তী।

রজতাভ দত্ত

আশ্চর্য পরিমিতিবোধের পরিচালক

‘প্রথম থেকে অভিনয়ে অতিরিক্ত নাটকীয়তাকে সত্যজিৎ বর্জন করেছেন। যার জন্য, গ্রামের মেয়ে সর্বজয়া যখন আঁতুড়ঘরে ছটফট করে, তখনও তার মুখ থেকে প্রসবযন্ত্রণার দরুন আর্তনাদ বেরোয় না। আবার পরে, সন্তানশোকে সে যখন কান্নায় ভেঙে পড়ে, তখন তারসানাই দিয়ে তার সেই চিৎকার ঢেকে দেওয়া হয়।’ পরিচালকের বাস্তবতা।

প্রতীক

বেড়াল-স্মৃতি

‘তারা বলত ‘বড়দি আসলে ব্যাটাছেলে। মেয়েছেলের অত মেজাজ হয়?’ সব শুনে আমার মনে তৈরি হয়েছিল একজন দশাসই মহিলার ছবি। চোখে মোটা চশমা, নইলে তাকালেই আগুন বেরিয়ে এসে ছাত্রীদের পুড়িয়ে ছাই করে দিত। আমাদের বাড়ির দরজার সমান লম্বা আর জানলার সমান চওড়া।’ নতুন গল্প।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

সামথিং সামথিং: পর্ব ১৯

‘ফ্রিডা বা জেডি, সবাই প্রণম্য স্মরণীয় ও ঝুঁকে পড়ে অনুধাবনীয়, কিন্তু ভারতের একটা জঙ্গলে রাতদুপুরে সন্তানের কঙ্কালের পাশে এলিয়ে পড়ে থাকা, পচা-গলা নারীর করোটি এঁদের (ও অন্য আরও বহু চিরজ্যোতির্ময়ের) শিল্পগুলোর দিকে এক নির্ভেজাল খ্যাঁকখ্যাঁক ছুড়ে দেয়, ক্রমাগত।’ শিল্প বনাম জীবন।

সাগুফতা শারমীন তানিয়া

ভবদীয়: পর্ব ১

‘রেবতী কি আর অত বোঝে? জন্ম-জন্মান্তর ধরে তাদের একটিই আরাধনা ছিল, নরকের কুণ্ডের মতো চিরকাল পুড়তে থাকা পেটের আগুন নেভানো। প্রশ্ন সে তেমন করে না, কখনোই করেনি। এমনকী অ্যাগ্নেস চলে যাবার পরেও তো তার মনে প্রশ্নের উদয় হয়নি যে তার বউ কোথায় গেল, কার হাত ধরে চলে গেল, চলেই যে যাবে তা যেন কেমন করে জানত সে।’ নতুন উপন্যাস।

শ্রীজাত

কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ১০

অল্পে যিনি অনন্ত দেখাতে পারেন তিনিই সার্থক কবি। তেমনই একজন বরেণ্য কবি বিশ্বদেব মুখোপাধ্যায়। যাঁর অনায়াস যাতায়াত সাধু-চলিত ভাষায়। একটি চলিত শব্দের পাশে এমন ভাবে একটি সাধু শব্দ বসিয়ে তিনি ভাবের বৃত্ত সম্পূর্ণ করতে পারতেন, তা সত্যিই মুন্সিয়ানার পরিচয় দেয়। অদেখা কবির কবিতার স্বাদ।

সিদ্ধার্থ দে

মিশে গেছে আঁধার আলোয়

পাঁচটি পৃথক অংশে বিভক্ত এই বইটিকে প্রবন্ধোপন্যাস বলা যায়। ইংরেজিতে যাকে বলে ‘essayistic novel’। ওলগা তোকারজুক বা জুলিয়ান বার্নস এই ধরনের উপন্যাস লিখেছেন। কিন্তু এই বই আরও কিছুটা আলাদা। এর আখ্যানশৈলী বরং খানিকটা docu-feature গোত্রের।

খান রুহুল রুবেল

ঢাকা ডায়েরি: পর্ব ৯

‘রাস্তার দু’ধারে, ফুটপাথে, বাজারের সন্নিকটে, যেখানেই গোল হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষ, সেখানে গেলেই দেখা যাবে উপগ্রহের মতো অজস্র চিতই পিঠা লোকের হাতে-হাতে ঘুরছে। বছর দশ-পনেরো আগেও চিতই পিঠা এমন নাগরিক হয়ে ওঠেনি। তখনও শহরে চিতই পিঠা বিক্রি হত, তবে তা কিছু-কিছু জায়গায়।’ ঢাকার পিঠে।

অ্যাবরা কা থ্যাবড়া ৩৯

কথা থাকবে না, শুধু ছবি। মানে কার্টুন, ব্যঙ্গচিত্র। অবশ্য শুধু ব্যঙ্গ কেন, থাকবে হিহি, খিলখিল, ঠোঁট টিপে মুচকি, একলা দোকলা ফোকলা হাসি। ব্যঙ্গচিত্র কখনও হবে বঙ্গ-চিত্র, কখনও স্রেফ তির্যক দৃশ্য। ছোট্ট ফ্রেম, বিশাল ক্যানভাস।

বিমল মিত্র

বিনিদ্র: পর্ব ৩৮

‘…গুরুর তখনকার অবস্থা আমি দেখেছি। তখন সে খাওয়ার কথা ভুলে যায়, সন্তানের কথা ভুলে যায়, আরামের কথা ভুলে যায়। তখন সে বড় নির্দয় মানুষ।’ স্বামী-স্ত্রী এবং শিল্প।