শুধু কবিতার জন্য : পর্ব ২২

কয়েকটি কবিতা


চিনিসম বাতুলতা। এই তোমার মিষ্টতা তাবৎ।
চায়ে মিশে যাওয়া মন নড়ে ওঠে চামচ-টোকায়… 
ভালবাসা কিছু নয়, একা ঘোরা সকালের স্রোত 
কখনও চুমুক দিলে মুখোমুখি দেখা হয়ে যায়। 


সে নিশ্চয়ই যাবে আরও বহু দূর। শখের ঘোড়াটি
বিশ্রাম চেয়েছে আজ। কী উপত্যকার ঢালে ঢালে
ফুল ফুটে আছে, দ্যাখো। সৈনিকের দেহে ভরা মাটি…
তুমিও নিশ্চয়ই তাকে ইতিহাস-ভরোসা পাঠালে


তখনও সে মৃত নয়, তার নামে চিঠি যদি আসে
কোথাও আড্ডায় যদি নাম ওঠে, তাহলে জীবিত। 
সকলের কথা জমে পৃথিবীর কোনও শেষ মাসে 
সময় পিওনমাত্র, যে পুরনো চিঠি এনে দিত। 


পশ্চিম প্রবাদমাত্র। সূর্য ডুবে চলে আরও নীচে।
যেখানে কিশোর কোনও ঘুমের ছলনা মাতোয়ারা… 
তাকে রাত্রি তুলে দেয় কী কুসুম, স্বপ্নের পিরিচে 
তারই ঘুম থেকে ওঠে অবকাশ। ভোরের ফোয়ারা। 


বাতাস সরিয়ে নিলে গাছ নগ্ন। তুমি তার গায়ে
গত বছরের শোক পরালে কী সুন্দর। অথচ 
কোটরে কোটরে তার জমা জল, দুঃখের বিদায়ে… 
এখনও সময় আছে। বাতাস সরিয়ে তাকে মোছো। 


সময় ঘড়ির বন্ধু। অসময় তোমার সুহৃদ। 
পাখি উড়ানের জন। বৃক্ষ, সে মাটির চেনা লোক। 
আকাশ সবার চেয়ে বয়স্ক। সে ইতিহাসবিদ। 
সব সত্যি। যতক্ষণ একা তুমি মেলে আছ চোখ। 


বিকেল এখানে খুব বাড়িফেরা মহিলার মন।
বেতের বাস্কেটে বাসি সূর্য নিয়ে সে রান্নাভিমুখী। 
পুরুষ রাতের তারা। দেরি করে উঠেছে কখন… 
দূরে জানলা। আলো জ্বলে। মনে হয় দুজনেই সুখী। 


অবাক করেছি আমি নিজেকে দু’ঠোঁট কেটে ফেলে। 
অনিদ্রা করেছি খুব। দু’চোখের পাতা কুটিকুটি।
এখন তোমার কথা, এখন তোমার দেখা পেলে
আমি শেষ স্বপ্ন থেকে একবার শেষ জেগে উঠি…