শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ১৯

কয়েকটি কবিতা

 
শরীরে মনের মতো বসে আছ। যদি যেতে চাও— 
বৃষ্টিকে বোঝাও ধারা, আগুনকে বোঝাও তবে স্বাহা 
এ-দাগ যাবার নয়। ফুটে উঠবে আবার কোথাও… 
সহজ সমস্যা তুমি। তুমি বড় কঠিন সুরাহা। 


রোজগারসীমানা থেকে কিনে আনা এই ছোট কুপি— 
আলো বড় কথা নয়। জোনাকির আত্মীয়, সেটাই। 
তল্লাশি চালাও যদি, বড়জোর মোহ-তছরুপি। 
ভাঙানি সন্ধের খুচরো। এর বেশি আর কোথা পাই! 


তুমি ফুল তুলেছিলে, তারই দাগ রয়েছে বাগানে।
যেন অপরাধচিহ্ন, যেন ব্যর্থ অভিমানভাষা। 
যে-মেয়েটি অন্ধ, সেও বিরহের কিছু গান জানে। 
তাকে ফুল দাও। আর কেড়ে নাও দেখার পিপাসা। 


এ-জীবন জটিলতা। বিদেশের তরিতরকারি। 
দেখায় সুন্দর, কিন্তু কীভাবে যে রাঁধে তা বুঝি না। 
তুমি কাটাকুটি করলে আমিও আগুন জ্বালতে পারি 
সন্ধে হলে দেখা যাবে, অল্প আঁচে রান্না হলো কি না! 


তলানি-নির্ভর মায়া। শেষে এসে ঠেকলে তবে মজা। 
তবে যেতে-নাহি-দিব, তবে কেউ-নেই-তুমি-ছাড়া। 
নাহলে শ্বাপদ। হিংস্র। রক্তের কাঙাল। পদব্রজা।
নাহলে বিপদকাব্য। সন্ধেশেষে রক্তমাখা পাড়া। 


ঘোড়া নিয়ে ডুবে গেছ। জলে মাখামাখি তার হ্রেষা। 
রেশম ও কেশররাশি ভেসে ওঠে পরদিন ভোরে… 
গোয়েন্দা এসেছে আজ। কিছু না, সন্দেহ তার পেশা। 
ছায়াশিরোনাম ভাসে, দেহহীন জলের খবরে।


এই ছোট পাড়াগাঁয়ে আমার শরীর মণিহারি। 
কিছু পুরাতন ক্রেতা, ধারে কেনে চিরুনি, সিঁদুর… 
তাদের দুঃখের গল্পে আমি ম্লান হয়ে যেতে পারি।
নাহলে তো ব্যবসাপ্রাণ। সন্ধের মুঠির মতো ক্রূর। 


আসন্ন ভোটের মতো চোখ তার। প্রতিশ্রুতিময়। 
সাধারণ নাগরিক তাকালে কী বিপদই না হবে, 
এই ভেবে ভয়ে থাকি। কখন গণনা শুরু হয়… 
এই দৃষ্টি লুঠ হোক, আমাদের পরের বিপ্লবে!