শুধু কবিতার জন্য : পর্ব ২৫

কয়েকটি কবিতা


তুমি যদি কোনওদিন ছেড়ে যেতে এ-শহর পারো
আমার কফিনবন্দি স্মৃতি নিয়ো। যতদূরে যাবে,
অতীত বাতাস লেগে ক্ষয়ে ক্ষয়ে যাবে তো তোমারও
মানুষ কেমন শান্ত, দেখো তুমি, স্মৃতির অভাবে… 


কখনও আসে না মন এতদূর। টেলিফোন আসে। 
পুরনো নম্বর থেকে, যেখানে থাকে না কোনও মুখ, 
অতীত, ডায়াল টোন, কে আবদ্ধ রিসিভারপাশে 
আমাকে না চেনে যদি না চিনুক। কথা তো বলুক… 


এবার সরাই থেকে মরা রোদ এনেছি দু’হাতে
তোমার শহরে রাত, পথিক কোথাও নেই কোনও 
মাঝে যদি দেখা হয়, তুমি হাত পেতে দিও। যাতে
তোমার চোখের নীচে রোদ কম না পড়ে কখনও… 


সীমা এই অধিকার। তাকে পার করা হল দোষ। 
কতটুকু যাব আর কতটুকু থেমে থাকব জেনে 
ভেসে আছি এ বাতাসে। যেরকম দ্বিধা ও সাহস 
আমাকে দু’ভাগ করে। মেলা থেকে অভিমান কেনে… 


সহিসের চোখে কোনও গতি নেই। সে কেবল পারে
ঘোড়ার পৃথিবী থেকে সমীকরণের আলো নিতে। 
ছুটন্ত জীবন এসে দাঁড়িয়েছে খাদের কিনারে 
স্থবির সময় নেই, সহিস, তোমার পৃথিবীতে 


এই সন্ধে বাড়ি বাড়ি অবসাদ ফিরে করে রোজ।
যদি কেউ কম দামে কিনে নেয়, যদি কেউ এসে 
সাজায় টেবিলে তাকে, যেন কত জরুরি কাগজ… 
যদি কেউ শেষ হয়, বিনিময়ে তাকে ভালবেসে 


তুমি মরীচিকাপ্রিয়। রোদে খুব সাহস তোমার। 
আমি ছুটে ছুটে চলি, পিছনে শহর পড়ে থাকে 
কত আয়ু নিভে আসে, কত রং রোদ রাস্তা পার… 
আমারও তেমন জেদ। দেখি কত ছোটাও আমাকে! 


এমনই নিঃশেষ ছিলে, হাতে কোনও পাখিও ছিল না।
আমিও তো শ্রান্ত লোক, দিন গেন জলে ডুবে থেকে।
খরচ করেছি রাত, আর শুরু হল দিন গোনা
আমার সমস্ত লেখা রাখা আছে ডানার পেরেকে…