

প্রতিপক্ষ
‘একটা অদ্ভুত শূন্যতা যেন গুঁতো মেরে গলার নীচে আটকে থাকা কান্নাটাকে ঠেলে দিচ্ছিল সুমনার। তবে সামলে নিলেন। মানুষটা যে নেই, সেটা আগেই জানতেন। কিন্তু এভাবে কেউ সামনাসামনি বলেনি।’
‘একটা অদ্ভুত শূন্যতা যেন গুঁতো মেরে গলার নীচে আটকে থাকা কান্নাটাকে ঠেলে দিচ্ছিল সুমনার। তবে সামলে নিলেন। মানুষটা যে নেই, সেটা আগেই জানতেন। কিন্তু এভাবে কেউ সামনাসামনি বলেনি।’
‘বুঝলাম, আসলে জানতে চাইছেন যখন-তখন হামলা করা যায় কি না! এইবার আমি একটু ভয় খেলাম। যতই ফেসিয়ালের গ্লো থাকুক, মহিলা আদতে মা-শাশুড়ির মতোই বিপজ্জনক-বয়সি। মাছটুকু ছাড়া আর কোনও কিছুই কমন নেই তেমন আমাদের। তা নিয়ে আর কতক্ষণই বা বকা যায়? পাশাপাশি আবার একটু যে আহা-উহু হচ্ছে না মনের মধ্যে, তা নয়। নাহয় একটু মাছই খেতে চাইছে, নাহয় দাতা কর্ণ হয়ে বসলামই একটু মাছসত্র খুলে!’ নতুন গল্প।
‘পিছনে সোমনাথ স্যার বরেনের সঙ্গে কী একটা বলতে আটকে গেছে! এরা একে অপরকে চিনল কী করে? উনি তাকে চিনে ফেলেনি তো? সঙ্গদোষে পরের প্রোমোশনটা আটকে গেলে? ভাবতে-ভাবতে শ্যামলেন্দু আবার সেই একই জায়গায় হোঁচট খেল!’ নতুন গল্প।
‘কনিষ্ঠ আঙুলকে প্রশ্রয়ের দিন শেষ। শৌখিনতার দিন শেষ। এবার সে যেমন-তেমন পার্টও নিয়ে নেবে। শিল্পের জন্য নয়, রোজগারের জন্য অভিনয়টা করবে এবার থেকে। কিন্তু এই ভাবনাগুলি চাউমিনের এক-একটা লম্বা সুতোর মতো পরস্পর জট পাকিয়ে পড়ে রইল।’ নতুন গল্প।
‘একটা ধুলোমাখা বাসে ওঠে কিরণ। লেডিস।একটা সিট পেয়ে যায়। ব্রেক ফেল। কন্ডাক্টরের অপূর্ব চামড়ার ব্যাগ থেকে সিকি-আধুলি ছিটকে পরে। ড্রাইভার বসে আছে, নিরুত্তাপ। কিরণ চট করে নেমে গেল, বাস থেকে। বেশি দূর নয়। খোঁজখবর করে দাদার বাড়ি চলে গেল।’ নতুন গল্প।
‘মৃত্যুর আগে বোনেরা খোদার কাছে ফরিয়াদ করেন, তাঁরা খোদার কাছে অপরাধী কিন্তু মীরনের কাছে তো কোনো অপরাধ করেননি, বরং মীরনের আজ যা আছে সবই তাঁদের দৌলতে। তাঁদের অভিশাপে সে-রাতেই রাজমহলের কাছে মীরন বজ্রাঘাতে মারা যায়।’ খোদার বিচার।
‘ওবেলা চমন আবিষ্কার করে ছোট্ট একটা বাদশাহী ছুরি বিঁধে আছে জানালার কপাটে, বাঁটে কোফত্গার কী সুন্দর সোনার পাতের কাজ করেছে, চুনি-মরকত বসানো একটা ময়ূরকণ্ঠ। বাইরের কেউ কি চিঠি-সহ ছুরিটা ছুঁড়ে মেরেছে বেগমদের? পালাবার বন্দোবস্ত? ছুরি নিয়ে আহ্লাদিত চমন যায় মর্দান বেগকে জানাতে।’ আশঙ্কার সূত্রপাত।
এ গল্প দুই বোনের। দুই মায়ের পেটের বোন। একজন দোর্দণ্ডপ্রতাপ, আরেকজন ম্রিয়মান। মরহুম নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার খালা আর মা! ঘসেটি বেগম আর আমিনা বেগম! সম্পর্কের গুমোট রাতদিন।
‘অবাক হয়ে দেখি আমগাছের আড়াল থেকে শাড়ি পরা একটা মেয়ে বেরিয়ে সামসুলের সঙ্গে আসছে। কাছাকাছি এসে বলল, ‘দাদা আমার বউ, আপনার সঙ্গে একবার দেখা করবে বলে এসেছে। তারপর মেয়েটির দিকে ফিরে বলল, কাছে আয় সাকিনা, লজ্জা কী, এই তো আমার কাত্তিকদাদা!’‘ নতুন গল্প।
‘মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের সারমর্ম বুঝতে মুখ্যসচিবের সময় লাগল না। তাঁর মনে পড়ে গেল, তিনি এমন একটা কানাঘুষো শুনেছিলেন যে, স্যার নাকি প্রথম জীবনে একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ হেড হিসাবে তাঁর লার্নেড কলিগদের সাফল্যের সঙ্গে সামলাতে পারেননি। তাঁকে নাকি বেশ বেগ পেতে হয়েছিল।’ নতুন গল্প।
‘নদীর ধারে ঝুপড়িগুলো পেরিয়ে দেখি পোড়োদুর্গটার ঠিক পিছনে আলে ঘেরা ছোট একফালি মাঠ। সেইখানে জনাপাঁচেক ছেলে সাগর ডিঙাডিঙি খেলছে। লালু দৌড়ে গিয়ে তাদের চাটাচাটি করল। ওরা খেলতে ডাকল আমাদের। গেলাম। ঠাহর করতে পারলাম, মাথায় চুল নেই ওদের কারো। গরমের জন্য মাথা মুড়িয়েছে? না কি উকুন হয়েছিল? কে জানে! আস্তে-আস্তে গলা শুনতে-শুনতে এক সময় আন্দাজ করতে পারলাম, ওদের মধ্যে দুজন ছেলে আর তিনজন মেয়ে।’ ভূতের গল্প।
‘মালবিকা জানেন, শুধু দাড়ির জন্য নয়, হট্টগোলে আঁতকে উঠে সুবিমল ওই বিকট ‘এলা এলা এল্লা’ হাঁক দিয়েছিলেন বলেই সিলামপুরের রাস্তায় পানের দোকানি তার কাঁচি বিঁধিয়ে হুঙ্কার দিয়েছিল ‘জয় শ্রীরাম!’, ছুটে এসে বিল্টু সামলেছিল, ‘মেরা আঙ্কেল ব্রামহিন হ্যায়, মেরা আঙ্কেল ব্রামহিন…।’’ নতুন গল্প।
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.