
শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ১৫
‘আমার বাড়ি নামুক রুটি/ আমার পাতে পড়ুক স্যুপ/ আমার ছোট বাচ্চাদুটি/ সব বুঝেও থাকুক চুপ/ যুদ্ধ কত প্রয়োজনীয়/ না-ই বা ফেরে ক’জন লোক/ তাদের তুমি কবর দিও/ আমার গাছে আপেল হোক’ নতুন কবিতা।

‘আমার বাড়ি নামুক রুটি/ আমার পাতে পড়ুক স্যুপ/ আমার ছোট বাচ্চাদুটি/ সব বুঝেও থাকুক চুপ/ যুদ্ধ কত প্রয়োজনীয়/ না-ই বা ফেরে ক’জন লোক/ তাদের তুমি কবর দিও/ আমার গাছে আপেল হোক’ নতুন কবিতা।

‘ঘুমিয়ে পড়বার পর সে স্বপ্নে দেখেছে/ একদল কুকুর এসে তার/ নিষ্প্রাণ শরীর/ছিঁড়ে-ছিঁড়ে খায়।/ ঘুম ভেঙে সে প্রতিদিন ভাবে/ কেন একটুও রক্ত পড়ে না মাটিতে!’ নতুন কবিতা।

‘আমার কান বদলে গেছে অপরূপ যোনিতে।/ তোমার সমস্ত কথা পুরুষাঙ্গ হয়ে প্রবেশ করছে ভিতরে।/ ধীরে ধীরে রাঙা মেঘের ভিতর দিয়ে উঁকি দিল সন্ধ্যাতারা,/ উড়োজাহাজ চলে যাওয়ার চিহ্ন আকাশে।/ ভিতরে ভিতরে রমণ চলেছে আমাদের,/
আর খুলে খুলে যাচ্ছে মেরুদণ্ডে লুকানো গুপ্ত-সন্ধ্যা’ নতুন কবিতা।

‘বন্যাত্রাণে আমি পাঠিয়েছি বেশ কিছু কলার মান্দাস/ আর কিছু চাতকপাখির দল/ তারা মেঘকে গালাগালি দিয়ে পাঁজরে ফিরবে আমার/ তোমার তাতেও রাগ?/ কেন? আমি কি সমস্ত ডুবন্ত মানুষকে আগুন শেখাব?/ সেইটেই হবে আমার শাস্তি?’

‘এখানে যামিনী বিল, এখানে সহস্রঘর কৈবর্তের বাস/ ঊর্ধ্বে চোখ রাখো, দ্যাখো কাঁটাতারে ঢেকেছে আকাশ/
পর্চা আছে? থাকলে ভাল। তা নাহলে খর্চা আছে জোর/ কী করে প্রমাণ করবি এই দেশ, এই মাটি তোর?’ নতুন কবিতা।

‘এ হল টুকরো কথা, কাহিনি না, অগাধ বাস্তব/ একার গাইড বুক, ভ্রমণের, তাতেও ছাপার কত/ রয়ে গেছে ভুল/ সযতনে তাও পড়ো, শুনো তো আড়ালে নিয়ে/ একেলার এই কলরব/ ধিকি ধিকি ধিকি ধিকি, ছিটকে বেরোবে তবে/ বিবিধ মৃদুল’ নতুন কবিতা।

‘বাসের জানলায় দেখা দুজন লেবার/
একশো ফুট শূন্যে উঠে দে দোল দুলছিল/ সব দাগ তুলছিল তবু/ কাচে ছায়া লেপ্টে অধোগামী/ মুছে দিতে বলছ/ কিন্তু আহ্নিকে বার্ষিকে আজ প্রশ্ন করি আমি/ নিজেকে কি মুছে ফেলা যায়’ নতুন কবিতা।

‘ছলনা ব্যাধের সঙ্গী। যেরকম রুমাল, তোমার।/ ফেলে কবে গেছ আর তারই সুগন্ধের জেরে আমি/ এ-শহরে বাসা নিই। আসলে শিকার হই তার…/ যে-নিজরহস্য নিয়ে আজও অরণ্যের অনুগামী।’ নতুন কবিতা।

এই বলে আনাজ প্রকৃতার্থে বিমূঢ়/
আর ওইপাশে একাকী শূকর খাঁচার মধ্যে বসে আছে
বিমূঢ় সেও/ রূঢ়তা এক ধরনের তিক্ত কষা ফলের নাম/
যা অল্পে অল্পে গলা বন্ধ করে দেয়। নতুন কবিতা

জানো, ফাঙ্গাসের ভয়ে আমি ঘুমাতে পারি না,
খিদে পাক আর না পাক
তোমার শরীর হাতড়ে হাতড়ে খুঁজতে চাই
বয়সের দাগ,
ছুঁয়ে-ছেনে দেখতে চাই, জানতে চাই
পরখ করতে চাই আমার খিদে;
তখন দাম্পত্যের ঘন আঁচে সেঁকে তুমি ক্রমশ
টানটান হয়ে ওঠো

‘এ মহাসাগরে তুমি দীপ জ্বেলেছ নখ দিয়ে, দাঁত দিয়ে, সুবিনয় রায়-এর গান দিয়েও হে আমার প্রদীপসুন্দর!/
হে আমার রোদ বৃষ্টি শিশিরের উপস্থিত ভালবাসা!/ দমবন্ধ নিত্য থেকে আমি অনিত্যের চূড়ায় ওই চূড়ান্ত কাঞ্চনজঙ্ঘার শিখা দেখি, কাঞ্চনজঙ্ঘার ক্রন্দনরত উল্লাস দেখি রোজ…’ নতুন কবিতা।

‘আমি বুঝতে চেষ্টা করি/ তুমি আশেপাশেই আছ কি না, তুমিও/ আশ্চর্য হয়ে আমাকে দেখছ কি না/
সন্ধে হলে আমার মনে হয় তোমারও/ আমার জন্য মন কেমন করছে, মনে হয়/ তুমিও হয়তো খাতা টেনে নিয়েছ কোলে আর/ খাতা ছাপিয়ে উঠে আসছে অতলান্তর কালো জল।’ নতুন কবিতা।
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.