কবিতা

পার্থপ্রতিম মৈত্র

রাষ্ট্রহীনের কবিতাগুচ্ছ

‘এখানে যামিনী বিল, এখানে সহস্রঘর কৈবর্তের বাস/ ঊর্ধ্বে চোখ রাখো, দ্যাখো কাঁটাতারে ঢেকেছে আকাশ/
পর্চা আছে? থাকলে ভাল। তা নাহলে খর্চা আছে জোর/ কী করে প্রমাণ করবি এই দেশ, এই মাটি তোর?’ নতুন কবিতা।

মৃদুল দাশগুপ্ত

কয়েকটি কবিতা

‘এ হল টুকরো কথা, কাহিনি না, অগাধ বাস্তব/ একার গাইড বুক, ভ্রমণের, তাতেও ছাপার কত/ রয়ে গেছে ভুল/ সযতনে তাও পড়ো, শুনো তো আড়ালে নিয়ে/ একেলার এই কলরব/ ধিকি ধিকি ধিকি ধিকি, ছিটকে বেরোবে তবে/ বিবিধ মৃদুল’ নতুন কবিতা।

সুমন্ত মুখোপাধ্যায়

টুকরে টুকরে

‘বাসের জানলায় দেখা দুজন লেবার/
একশো ফুট শূন্যে উঠে দে দোল দুলছিল/ সব দাগ তুলছিল তবু/ কাচে ছায়া লেপ্টে অধোগামী/ মুছে দিতে বলছ/ কিন্তু আহ্নিকে বার্ষিকে আজ প্রশ্ন করি আমি/ নিজেকে কি মুছে ফেলা যায়’ নতুন কবিতা।

শ্রীজাত

শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ১০

‘ছলনা ব্যাধের সঙ্গী। যেরকম রুমাল, তোমার।/ ফেলে কবে গেছ আর তারই সুগন্ধের জেরে আমি/ এ-শহরে বাসা নিই। আসলে শিকার হই তার…/ যে-নিজরহস্য নিয়ে আজও অরণ্যের অনুগামী।’ নতুন কবিতা।

ঈপ্সিতা হালদার

কয়েকটি কবিতা

এই বলে আনাজ প্রকৃতার্থে বিমূঢ়/
আর ওইপাশে একাকী শূকর খাঁচার মধ্যে বসে আছে
বিমূঢ় সেও/ রূঢ়তা এক ধরনের তিক্ত কষা ফলের নাম/
যা অল্পে অল্পে গলা বন্ধ করে দেয়। নতুন কবিতা

অর্ণব চক্রবর্তী

ভালবাসা ও উষ্ণায়ন

জানো, ফাঙ্গাসের ভয়ে আমি ঘুমাতে পারি না,
খিদে পাক আর না পাক
তোমার শরীর হাতড়ে হাতড়ে খুঁজতে চাই
বয়সের দাগ,
ছুঁয়ে-ছেনে দেখতে চাই, জানতে চাই
পরখ করতে চাই আমার খিদে;
তখন দাম্পত্যের ঘন আঁচে সেঁকে তুমি ক্রমশ
টানটান হয়ে ওঠো

রাণা রায়চৌধুরী

কয়েকটি কবিতা

‘এ মহাসাগরে তুমি দীপ জ্বেলেছ নখ দিয়ে, দাঁত দিয়ে, সুবিনয় রায়-এর গান দিয়েও হে আমার প্রদীপসুন্দর!/
হে আমার রোদ বৃষ্টি শিশিরের উপস্থিত ভালবাসা!/ দমবন্ধ নিত্য থেকে আমি অনিত্যের চূড়ায় ওই চূড়ান্ত কাঞ্চনজঙ্ঘার শিখা দেখি, কাঞ্চনজঙ্ঘার ক্রন্দনরত উল্লাস দেখি রোজ…’ নতুন কবিতা।

সোহিনী দাশগুপ্ত

কয়েকটি কবিতা

‘আমি বুঝতে চেষ্টা করি/ তুমি আশেপাশেই আছ কি না, তুমিও/ আশ্চর্য হয়ে আমাকে দেখছ কি না/
সন্ধে হলে আমার মনে হয় তোমারও/ আমার জন্য মন কেমন করছে, মনে হয়/ তুমিও হয়তো খাতা টেনে নিয়েছ কোলে আর/ খাতা ছাপিয়ে উঠে আসছে অতলান্তর কালো জল।’ নতুন কবিতা।

শ্রীজাত

শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ৫

‘দু’পাশে নগরবাসীর ভিড় জমেছে/ আলো খুব নরম, যেন তুলোর তারিখ/ অকারণ গুঞ্জনে সে রইল বেঁচে,/আমি ঠিক সেইখানে পৌঁছতে পারি।/ সেখানে পাথর ধুলোর ব্যবসা চলে/বণিকের সঙ্গদোষে পাহাড় বিকোয়/ ছায়া কেউ বিক্রি করে বিকেলজলে/জানে সূর্যাস্ত কিছু অন্য দিকও…’ নতুন কবিতা।

চিরন্তন দাসগুপ্ত

আকাশের লম্বা সাদা ফালি

‘বেড়াতে সকলে যাচ্ছে সাকেত বা ধলভূমগড়/ বিবাহের পরবর্তী বিছানা বদল অভিযানে,/ আমি পিভটের পাশে, লক্ষ্য ভবিষ্যৎ স্বয়ম্বর/আপাতত সঙ্গোপনে হাত দিচ্ছি অস্থানে কুস্থানে।’ নতুন একগুচ্ছ কবিতা।

গুলজার

কোভিড কবিতা

‘আমাদের আগে-পরে তখনও এক খুনে সময় ছিল/ জাত-ধর্ম জিজ্ঞেস করত/ আমাদের পিছনে এক খুনে সময় এখন ধাওয়া করছে/ যা জাত-ধর্ম জিজ্ঞেস করে না,/ একেবারে খুন করে দেয়/ ভগবান জানে, এই ভাগাভাগি বেশি ভয়ের, না কি সেই ভাগাভাগি!’ করোনাকালে লেখা কবিতা।

দেবারতি মিত্র

কয়েকটি কবিতা

‘ও আমাকে বললে—/ নীল পাথরের মালা পরে থাকো কেন?/ আকাশ কি নীল, শুধুই নীল, / আকাশ আর নীলাকাশে আমাদের এখন কী দরকার?/ বর্ণ গন্ধ দৃশ্য হাসি ও অশ্রু সবই তো আমরা/ দুজন দুজনের মধ্যে খুঁজে পাই।/ তবে আকুল হবার কষ্ট কেন করবে?’ নতুন কবিতা।