

কয়েকটি কবিতা
‘এই তো জীবন,/ একটা বাঁকানো চাঁদের মতো/ চিৎ হয়ে বিছানায় শুয়ে-/ জোছনায় ঢেলে দিচ্ছে/দুগ্ধফেননিভসুধা,পরীদের সাবানের জল।/ আমি তারই দুই আঁজলা/ অকাতরে ছুঁড়ে দিচ্ছি/ গন্ধে মাতোয়ারা সব হতোদ্যম বন্ধুদের দিকে।’
‘এই তো জীবন,/ একটা বাঁকানো চাঁদের মতো/ চিৎ হয়ে বিছানায় শুয়ে-/ জোছনায় ঢেলে দিচ্ছে/দুগ্ধফেননিভসুধা,পরীদের সাবানের জল।/ আমি তারই দুই আঁজলা/ অকাতরে ছুঁড়ে দিচ্ছি/ গন্ধে মাতোয়ারা সব হতোদ্যম বন্ধুদের দিকে।’
‘বয়কট নীতিতে বাদ গেল না ইস্কুল-কলেজ ছেড়ে গুপ্ত সমিতিতে নাম লেখানো। কুস্তির আখড়া এবং সাধুসন্তদের আশ্রমগুলো হয়ে উঠতে লাগল এইসব কাজের আঁতুড়ঘর। ধরপাকড়ও চলল সেই হারে।’
‘ইতিমধ্যে কনের বাড়ি তত্ত্ব নামিয়ে, নিজের বাংলোয় ফিরেই মুখার্জি-সাহেব তনুকে জানিয়ে দিলেন যে, বিকেলবেলা তনুর এখান থেকে যে বেরনো, তা কিন্তু মোটেই ফুল-সাজানো মোটরে চড়ে, বরবেশে যাওয়া নয়; বিয়ের সাজ করে নেবে, ওই বাড়ি পৌঁছে।’
‘ফসলি পট পোয়াতি হয় ফি বছর/ হাড়গোড় ভেদবমি করে/ শীতের ওমে থাকতে পারি না কজন/ আলগোছে ধুলো জমে/ ন্যাড়া আকাশে তারা গুনে শুয়ে পড়ে কজন/ মাংস ঘিলু নাড়িভুড়ি ছড়িয়ে/ কী চায় দেশলাইবাক্স মথ/ সূর্যস্নান করবে তথাগত’
‘… মাতাল হয়ে তুমি বুকে জড়িয়ে ধরতে আমাকে।/ ভাত খাইয়ে দিতে মাছের সমুদ্র দিয়ে।/ কিন্তু তুমি আর নেই সে তুমি।/ তাই মল্লভূম থেকে উড়ে চলে গেছি ধলভূমগড়।/ আমি ঘুরে বেড়াই নানা দেশ, কিন্তু জগতের রহস্য কিছু বুঝতে পারি না।’
‘সাধুজ্যাঠার দেখিয়ে দেওয়া দরজার পাল্লা ঠেলে ঠান্ডা-ঠান্ডা ভেতরে ঢুকে, সামনে যে চেয়ার দেখতে পেয়েছিল তাতেই বসে পড়েছিল জগৎ। ফাঁকা টেবিলে ফাঁকা কলমদান ছাড়া আর কিছু ছিল না, দেয়ালে ছিল না কোনও ছবি। এ কীসের অফিস? গুমঘর নয় তো!’
‘বাবা আর কাকা মিলে বিছানা পেতে দিলেন রিজার্ভ বেঞ্চিতে। মাঝরাতে হিসি পেয়ে যাওয়ায় ঘুম থেকে উঠে তরু দেখল যে, মা, জেঠিমা আর কাকিমা অঘোরে ঘুমিয়ে পড়লেও, জ্যাঠা, কাকা আর তার বাবা, তিনজনেই একটা বেঞ্চিতে জেগে বসে আছেন।’
‘কার একটা ধুতি চেয়ে দু-ভাঁজে ফেরতা দিয়ে পরে, খালি গায়ে এমন করে খেতে বসে গেল, যেন এটা ওর নিজের বাড়ি! তনুর মাথা তখন রাগে দপদপ করছে। কোথায় সেই বুদ্ধিদীপ্ত হরু আর কোথায় এই ভোজন-সর্বস্ব সেজদা!’
‘শাফিকা শুধু তাকিয়ে-তাকিয়ে পড়েছে তার মিঞার দু’চোখের ভাষা। মায়া আর মায়া— গভীর মমতায় উপচে আছে যেন! শাফিকা আন্দাজ করতে চেষ্টা করে, এই মায়াটাই কি প্রেম! শরীর ছাপিয়ে ভালবাসা?’
‘হরুর মনে প্রতিবাদ জাগে সাহেবদের নতুন নতুন প্রশাসনিক আইন, কৃষকদের দুরবস্থা এবং জমিদার তোষণের আয়োজন দেখে। হরু ঠিক বুঝে উঠতে পারে না যে, কোন পথ ধরলে সে তার ভাবনাগুলোকে একটু গুছিয়ে ভাবতে পারবে!’
‘বড় অভিভূত লাগছে ভূতেশের। মনে মনে প্রণাম জানিয়ে সে ভাবল, কৃপানাথ নয়! জয় ইংরেজ সরকারের, জয় ভাইসরয় সাহেবের— এমন আপিস! এমন দপ্তর! এটাকেই তো ঘরবাড়ি করে ফেলবে সে!’
‘নতুন ঘটনা বলতে মিউনিসিপ্যাল ইলেকশনের দিন ঘোষিত হয়। গেরুয়া শাড়িতে কুটুপিসির তুলি হাতে ওয়ালিং-এর ছবি ওঁর ফেসবুক পেজে চলে আসে। ব্যাকগ্রাউন্ডে গান : রং দে তু মুঝে গেরুয়া।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.