

আলোর রং সবুজ : পর্ব ৩৪
‘বড়মেয়ে বিমিরও ঠাকুমার মতো বই পড়ার নেশা। সারাদিন সে হয় পড়ে, না হয় সেলাই করে। ইলার অবশ্য ঘর-সংসারে খুব নজর। ভাইকে বলতে গেলে সে-ই সামলায়। মাকেও সাহায্য করতে চায় না বলতেই।’
‘বড়মেয়ে বিমিরও ঠাকুমার মতো বই পড়ার নেশা। সারাদিন সে হয় পড়ে, না হয় সেলাই করে। ইলার অবশ্য ঘর-সংসারে খুব নজর। ভাইকে বলতে গেলে সে-ই সামলায়। মাকেও সাহায্য করতে চায় না বলতেই।’
‘হরুর মনে পড়ল জয়নারায়ণের কথা। সাবধানের মার নেই ভেবে তারা আর পরস্পরকে চিঠি লেখে না; কিন্তু মায়ের কাছে এসব ঘটনা জানার পর পরই লোক মারফত জয়নারায়ণ যোগাযোগ করে তার প্রাণের বন্ধু হরুর সঙ্গে; দেখা হয়েছিল তরুবউদির ছোটকাকার ইছাপুরের বাড়িতে।’
‘স্টেশন থেকে বেরোতেই ভূতেশ দেখল যে, একখানি সরকারি ঘোড়ার গাড়ি নিয়ে তার আরদালি দাঁড়িয়ে আছে। অল্প সময়ের মধ্যেই নিজের বাংলোয় পৌঁছে আর এক চমক; মেয়ে নিয়ে প্রভা আসছে শুনেই, পাশের বাংলোর বাঙালি অফিসারের গিন্নি একেবারে প্রদীপ, ফুল, মিষ্টি নিয়ে তৈরি।’
‘…কলকাতা ইজ অ্যাভারেজ! মেনে নাও। দিল্লি হল রাজধানী। মুম্বই হল ফিল্ম, ফিন্যান্সের রাজধানী, বেঙ্গালুরু আই টি-র রাজধানী। আমরা নেই কোথাও এসবে। আমরা একটা পাতি শহর। তুমি এই পাতি শহরের একটা পাতি আই টি কর্মচারী।’
‘নিজের স্বাধীনতা না হারিয়ে, পরিকল্পনা মাফিক এমন একটা ব্যবস্থা ফেঁদে ফেলায় বেশ আত্মপ্রসাদ অনুভব করল ভূতেশ। মনে মনে সে এটাও ধরে নিল যে, তার জীবন বারে বারেই বদলে যাবে; তবে সবটাই হবে তার বাস্তববুদ্ধির নিয়ম মেনে।’
‘তুমি হাঁটো ব’লে/ জীবন গল্প বলে।/
পথিকেরা চেনে,/ দুঃখের আলাপন।/
মনে করে দ্যাখো,/ কান্না রয়েছে পাশে।/
কোনও ছবিতেই/ চ্যাপলিন একা নন।/
এ-শহর/ বাজি হেরে যেতে বলে রোজ/
কাগজে হেডিং/ রুটি মুড়ে আনে রাতে/
ঠান্ডা খাবার/ খেতে খেতে মেনে নাও,/
তুমি যে পারোনি/ কিচ্ছুটি বদলাতে।/’
‘পাকা রাস্তার ওপারে মিলিয়ে গেল রাণীর স্বামী এবং সংসার; সেজোমাসিমার কোলে মাথা রেখে, ধীরে ধীরে ঘুমিয়ে পড়তে লাগল রাণী। কিন্তু সেই মুহূর্ত থেকেই যেন ঘুম চলে গেল তরঙ্গনাথের। বুঝলেন যে, রাণী ফিরে এল চিরদিনের মতো এবং সর্বস্ব খুইয়েই।’
‘আজ কিন্তু এক্কেবারে আলাদা, বেশ বুঝতে পারলাম আমার হাত চায়ের কাপ পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছে না, তার আগেই ছোট হয়ে এক্কেবারে গর্তে ঢুকে যাচ্ছে। আচ্ছা গর্ত মানে কি পকেট হতে পারে, মানে বলতে পারি আমি গর্ত থেকে টাকা বের করলাম, অথবা এক প্যাকেট সিগারেট কিনে গর্তে ঢুকিয়ে নিলাম!’
‘এখানেই কটনসাহেবের সঙ্গে অনেকবার দেখা হয়েছে স্বামীজির। তাঁর অনুরোধে নতুন করে সারিয়ে তোলা কুইন্টন সভাগৃহটি উদ্বোধন করে বক্তৃতাও দেন বিবেকানন্দ। স্বামীজির শরীর-স্বাস্থ্য একেবারেই ভাল না থাকায় সাহেব-সার্জেন দেখিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেন কমিশনার সাহেব।’
‘কলকাতা যেন বোমা তৈরি আর নানা ধরনের গুপ্ত সংগঠনের আকর হয়ে উঠেছে। মুরারিপুকুরের ‘আশ্রম’ নামে বাগানবাড়িটা ঘিরে পুলিশের ঘোর সন্দেহ। সক্রিয় সদস্যদের নামের তালিকার থেকেও বেশি ভয় সাধারণ মানুষদের নিয়ে।’
‘মেয়েটি মুকুট জলে ফেলে দিয়ে ফেরে/অবসাদ তার কপালের আলপনা।/ সানাই রঙের সন্ধের জঙ্গলে/ তার কাজ ছিল ঝিঁঝিঁর শব্দ গোনা।/ এখন সে একা হাঁটছে যে-পথে সোজা/ সেখানে প্রেমিক, আঙুলে জোনাকি নিয়ে/ অপেক্ষা ক’রে বসে নেই, সেও জানে।/ তারও স্পর্ধার আজ বাদে কাল বিয়ে।’
‘প্রথম পয়েন্ট হল— ভাল, খারাপ ভীষণ সাবজেক্টিভ একটা ব্যাপার। দ্বিতীয় পয়েন্ট, শিল্পের ক্ষেত্রে যদি ধরে নিই, যা কিছু শাশ্বত তা ভাল, তাহলে বলো কালিদাস কেমন মানুষ ছিল? বলো শেক্সপিয়র কেমন মানুষ? যামিনী রায়? বাখ? পিকাসো? দালি? সত্যি কি ম্যাটার করে?’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.