

বিনিদ্র: পর্ব ১৯
‘দু’তিনটে লোক সঙ্গে নিয়েছি। তারা জঙ্গলী-লোক, তারা আমার গাইড। তাদের মধ্যে একজন আমাকে জিজ্ঞেস করলে বন্দুক কেমন করে ছোঁড়ে। আমি তাকে বন্দুক ছোঁড়া দেখাচ্ছি, হঠাৎ একটা গুলি দুম করে বেরিয়ে গেল নল দিয়ে…’ গুরু দত্ত-র শিকার।
‘দু’তিনটে লোক সঙ্গে নিয়েছি। তারা জঙ্গলী-লোক, তারা আমার গাইড। তাদের মধ্যে একজন আমাকে জিজ্ঞেস করলে বন্দুক কেমন করে ছোঁড়ে। আমি তাকে বন্দুক ছোঁড়া দেখাচ্ছি, হঠাৎ একটা গুলি দুম করে বেরিয়ে গেল নল দিয়ে…’ গুরু দত্ত-র শিকার।
‘মহিদিকে দেখতে এসেছে আর পাড়ার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছে বুধন। লাগাতেই হবে সম্বন্ধটা, পাড়ার সম্মান— এসব ফিসফাস আসছে। হঠাৎ ছেলে নিজে বলে উঠল, ‘ভাই, আমার রিকুয়েস্ট, একটা শানু হোক।’ তারপর ঐতিহাসিক কাণ্ড।’ নতুন গল্প।
‘চল্লিশ বছরে পৌঁছে তিলকের চুলে বেশ পাক ধরেছে। উঠেও গেছে কিছু চুল… বিদেশবাসে তিলকের চেহারা আরও মসৃণ হয়েছে। বেড়েছে ত্বকের উজ্জ্বলতাও। ছাত্রজীবনেই হাই পাওয়ারের চশমা ছিল তিলকের। পুরু কাচের ভিতর দিয়ে উজ্জ্বল ঝকঝকে দুটি চোখ ঠিক আজও তেমনই রয়ে গেছে তিলকের। তিলক কি তার জীবনে পরিতৃপ্ত? সুখী?।’ দাম্পত্য সম্পর্কের গল্প।
‘তারপর বলতে লাগল— বোধহয় শোনেননি, আমি আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলুম— আমার মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ল। বললাম— সে কি? বললে— হ্যাঁ, বড় কষ্ট পেয়েছি, অনেকদিন ভুগেছি। এখন একটু ভালো হয়েছি। কিন্তু সে যে কি কষ্ট, আপনাকে কী বলব…’ গুরু দত্তের আত্মহত্যা।
‘পরিতোষ মাছের বাজারে মহার্ঘ সব পোয়াতি পাবদার কাছে হেরে গেছে। বাড়িতে ইলেকট্রিক তারের অববাহিকার মধ্যে লুকিয়ে হাসা এনার্জি কনসাম্পশন মিটারের বিলের কাছে হেরে গেছে। অফিসে চেক-শার্টের বোতাম ছিঁড়ে বেরিয়ে আসা বড়বাবুর কুদৃশ্য নাভিমূলের কাছে হেরে গেছে।’ নতুন গল্প।
‘প্রভাত তাঁর আড্ডার ঠেকেও নিয়ে যেতে শুরু করেন জুঁইকে। সেখানে সবাই প্রভাতের সমবয়সি, জুঁই অনেক ছোট একটি তরুণী। এই অসমবয়সি প্রেমকে মেনে নিতে পারছিলেন না কেউই। ক্রমে বিভিন্ন লোকের মুখ ঘুরে খবর পৌঁছে যাচ্ছিল প্রভাতের বাড়িতেও।’ প্রেম আর সমাজ।
‘গুরু দিন-রাত বাইরে। ছেলেকে পাঠিয়ে দিয়েছে দার্জিলিংয়ে। বাড়িটাকে মনে হয় যেন কারখানা। যে-বাড়িটা একদিন দুজনের কাছে স্বর্গের রাজ্য ছিল, সেই বাড়িটাই একদিন আবার পাথর হয়ে দুজনের বুকে চেপে বসল।’ অনন্ত অশান্তির দুর্গ।
হকিস্টিকের কদর ছিল খুব, তা খেলার জন্য ততটা নয়, যতটা মারপিট করার জন্য। বাঙালদের রক্ত এমনিতেই একটু গরম, স্বাভাবিক কথাবার্তা কওয়ার সময়েও অনভ্যস্ত কানে মনে হবে ঝগড়া করছে। ইন্ধন পড়লে তো কথাই নেই।
‘মামণির ব্যাপারে বাবার টান বুঝতে পারে না মন্দাক্রান্তা। কিন্তু তাদের দু’বোনের ব্যাপারে যে বাবা একরকম উদাসীন, সেই নিষ্ঠুর সত্যটুকু দিনের পর দিন আরও স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে মন্দাক্রান্তার কাছে। চিকুটা নিজের ভাল না বুঝে তিলে তিলে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।’ সম্পর্কের টানা-পড়েন।
‘এতদিন বোম্বাইতে এসেছি, কখনও গীতাকে এই স্টুডিওর ভেতরে ঢুকতে দেখিনি। অথচ এখানে ঢোকবার অধিকার তারও পুরোমাত্রায় আছে, গুরু দত্তের স্ত্রী সে। গুরুর সব কিছুর ওপরেই তার পুরোমাত্রায় অধিকার আছে। কিন্তু তবু যেন তার কিছুই নেই।’ সম্পর্কের দূরত্ব।
‘অল্প বয়সের তফাতে কি এমনই ভাব থাকে? মিঠি আর চিকুর মধ্যে অবশ্য খুব একটা ভাব দেখেন না সুচেতনা। মিঠির একটা নিজস্ব জগৎ আছে বন্ধুবান্ধব নিয়ে। কোথায় যেন মিঠির সঙ্গে নিজের একটা মিল খুঁজে পান সুচেতনা। মিঠি আর চিকুর বড় হওয়ার মধ্যে কি তাঁর কোনও প্রভাব কাজ করে কোথাও?’ নতুন উপন্যাস।
‘সারাদিন স্টুডিওর মধ্যে একলা কাটিয়ে রাত্রে বাড়ির ভেতরে একক শয্যায় ছটফট করে করে মনটা আকুল হয়ে উঠত। তখন মনে পড়ত ওই ছবিটা করলে হয়। ওই ‘সাহেব বিবি গোলাম’টার মধ্যে দিয়েই গুরু যেন নিজের মনের কথা বাইরের লোকের সামনে তুলে ধরতে পারবে।’ সিনেমায় মুক্তি।
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.