গল্প / কবিতা

শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়

নীল কেটলি: পর্ব ৫

হকিস্টিকের কদর ছিল খুব, তা খেলার জন্য ততটা নয়, যতটা মারপিট করার জন্য। বাঙালদের রক্ত এমনিতেই একটু গরম, স্বাভাবিক কথাবার্তা কওয়ার সময়েও অনভ্যস্ত কানে মনে হবে ঝগড়া করছে। ইন্ধন পড়লে তো কথাই নেই।

অপরাজিতা দাশগুপ্ত

আক্রান্ত: পর্ব ২

‘মামণির ব্যাপারে বাবার টান বুঝতে পারে না মন্দাক্রান্তা। কিন্তু তাদের দু’বোনের ব্যাপারে যে বাবা একরকম উদাসীন, সেই নিষ্ঠুর সত্যটুকু দিনের পর দিন আরও স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে মন্দাক্রান্তার কাছে। চিকুটা নিজের ভাল না বুঝে তিলে তিলে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।’ সম্পর্কের টানা-পড়েন।

বিমল মিত্র

বিনিদ্র: পর্ব ১৬

‘এতদিন বোম্বাইতে এসেছি, কখনও গীতাকে এই স্টুডিওর ভেতরে ঢুকতে দেখিনি। অথচ এখানে ঢোকবার অধিকার তারও পুরোমাত্রায় আছে, গুরু দত্তের স্ত্রী সে। গুরুর সব কিছুর ওপরেই তার পুরোমাত্রায় অধিকার আছে। কিন্তু তবু যেন তার কিছুই নেই।’ সম্পর্কের দূরত্ব।

অপরাজিতা দাশগুপ্ত

আক্রান্ত: পর্ব ১

‘অল্প বয়সের তফাতে কি এমনই ভাব থাকে? মিঠি আর চিকুর মধ্যে অবশ্য খুব একটা ভাব দেখেন না সুচেতনা। মিঠির একটা নিজস্ব জগৎ আছে বন্ধুবান্ধব নিয়ে। কোথায় যেন মিঠির সঙ্গে নিজের একটা মিল খুঁজে পান সুচেতনা। মিঠি আর চিকুর বড় হওয়ার মধ্যে কি তাঁর কোনও প্রভাব কাজ করে কোথাও?’ নতুন উপন্যাস।

বিমল মিত্র

বিনিদ্র: পর্ব ১৫

‘সারাদিন স্টুডিওর মধ্যে একলা কাটিয়ে রাত্রে বাড়ির ভেতরে একক শয্যায় ছটফট করে করে মনটা আকুল হয়ে উঠত। তখন মনে পড়ত ওই ছবিটা করলে হয়। ওই ‘সাহেব বিবি গোলাম’টার মধ্যে দিয়েই গুরু যেন নিজের মনের কথা বাইরের লোকের সামনে তুলে ধরতে পারবে।’ সিনেমায় মুক্তি।

বিমল মিত্র

বিনিদ্র: পর্ব ১৪

‘এ-এক নতুন জগৎ আমার কাছে। বিরাট একটা হলঘরের মতো জায়গা। ভেতরে লোকজনের ভিড়। একটা চেয়ারে আমাকে বসতে বললে। আমি বসলাম। সুবিনয়বাবুর বাড়ির দৃশ্য তোলা হচ্ছে। বৃদ্ধ সুবিনয়বাবু আছেন, ভূতনাথ আছে, ব্রজরাখাল আছে, আর আছে জবা।’ সিনেমার শুটিং।

রাস্‌কিন বন্ড (Ruskin Bond)

দেওয়ালে ও কার ছায়া?

‘একটা স্বপ্নে প্রায় ডুবে যাচ্ছিলাম, এই সময়ে কাঁধে ঠিক সেই নরম হাতের ছোঁয়া পেলাম। এর পর, তার অন্য হাতটাও আমাকে ছুঁল। ভয়ে এবং তার উপস্থিতির উত্তেজনায় আমি কেঁপে উঠলাম। দুটো হাতই আমার বুকের উপর এবং আমার হাতের উপর ঘোরাফেরা করল।’ নতুন গল্প।

বিমল মিত্র

বিনিদ্র: পর্ব ১৩

‘একদিন গুরুকেও জিজ্ঞেস করেছিলাম, আপনার ‘গৌরী’ ছবিটা অর্ধেক তুলে বন্ধ করে দিলেন কেন? অনেক টাকাও তো লোকসান গেল আপনার? সত্যিই অনেক টাকা লোকসান গেছিল গুরুর। এক লাখ টাকা যখন খরচ হয়ে গেছে, তখন একদিন গুরু বললে— ছবি বন্ধ থাক।’ গুরু দত্তর অসমাপ্ত ছবি।

শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়

নীল কেটলি: পর্ব ৪

‘চাকরি নিয়ে বাবা কলকাতায় চলে যাওয়ার বেশ কিছুদিন পরে আমরা, অর্থাৎ মা, দিদি আর আমি কলকাতায় যাই। তার আগে অবশ্য বিস্তর কান্নাকাটি, হা-হুতাশের ব্যাপার ছিল। বিশেষ করে আমার জন্য দাদুর হাহাকার। আর আমার ব্যক্তিগত বিরহ ছিল ময়মনসিংহের জন্য।’ ময়মনসিংহ থেকে কলকাতা।

বিমল মিত্র

বিনিদ্র: পর্ব ১২

‘১৯৬১ সালের ১ জানুয়ারি বোম্বেতে রবীন্দ্র জন্মশতবার্ষিকী উৎসবের উদ্বোধন করার জন্য আমার কাছে আমন্ত্রণ এল সরকারের তরফ থেকে। সেই ভেবে একটা ফোন করে জানিয়ে দিলাম গুরুকে যে আমি আবার বোম্বে যাচ্ছি, আপনার সঙ্গে দেখা হবে।’ লেখকের মুম্বই যাত্রা।

বিমল মিত্র

বিনিদ্র: পর্ব ১১

‘গুরুর কলকাতা সম্বন্ধে অভিজ্ঞতা সেখান থেকেই। কলকাতার সমস্ত অলি-গলি তার মুখস্থ। সেখানেই প্রথম নাচ শেখবার আগ্রহ হয়। তখন কলকাতায় সংস্কৃতি বলতে উদয়শঙ্করের নাচ, মোহনবাগান ক্লাবের ফুটবল খেলা আর নিউ থিয়েটার্সের সিনেমা।’ গুরু দত্ত আর কলকাতা।

বিমল মিত্র

বিনিদ্র: পর্ব ১০

‘সেই সন্ধেবেলা সেই ফাঁকা মাঠের মধ্যে ছোট একটা বাংলো বাড়ির ঘরের ভেতরে আমি গুরুর আর এক রূপ দেখলাম। পায়ে রবারের চটি, পরনে চেক লুঙ্গি, গায়ে হাত-কাটা গেঞ্জি। একমনে কাঠের জাফ্‌রির ওপর বুরুশ চালিয়ে যাচ্ছে।’ অন্য গুরু দত্ত।