গল্প / কবিতা

বিমল লামা

হাফ প্যাডেল

‘তার সাইকেলের চাকা আর মাটিতে নেই। সত্যি-সত্যিই বাতাসে ভেসে পড়েছে তার সাইকেল। আর সে রকেটের বেগে ধেয়ে যাচ্ছে সূর্যের দিকে। মনে হচ্ছে সে ধরেই ফেলবে তাকে। আর তখনই হঠাৎ খুলে যায় তার থার্মোকলের সুখতলা। সে আছড়ে পড়ে মাটিতে।’ নতুন গল্প।

শ্রীজাত

শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ৫

‘দু’পাশে নগরবাসীর ভিড় জমেছে/ আলো খুব নরম, যেন তুলোর তারিখ/ অকারণ গুঞ্জনে সে রইল বেঁচে,/আমি ঠিক সেইখানে পৌঁছতে পারি।/ সেখানে পাথর ধুলোর ব্যবসা চলে/বণিকের সঙ্গদোষে পাহাড় বিকোয়/ ছায়া কেউ বিক্রি করে বিকেলজলে/জানে সূর্যাস্ত কিছু অন্য দিকও…’ নতুন কবিতা।

অপরাজিতা দাশগুপ্ত

আক্রান্ত: পর্ব ৬

‘…এই আবেগ মিথ্যে হতে পারে না, মিঠির মন বলছে। কী অদ্ভুত এক ফুট দূরত্বে বসে এই যুবকের কান্না। এ কথা সত্যি যে, অভিমন্যুকে অপছন্দ করে না ও। কিন্তু তিলক আসার পর মিঠির জগৎটাও বদলে গেছে চিরদিনের মতো। অভিমন্যুকে কি ও ভালবাসতে পারত? মিঠি বুঝতে পারছে না।’ দুই নায়ক, এক নায়িকার গল্প।

বিমল মিত্র

বিনিদ্র: পর্ব ২০

‘…আমি গুরুর দিকে চেয়ে দেখলাম, গীতার দিকেও চেয়ে দেখলাম। দেখে মনে হল দুজনের সব মনোমালিন্য দূর হয়ে গেছে। আবার যেন দুজনে একাকার হয়ে গেছে। খুব আনন্দ হল দুজনের এই পরিবর্তন দেখে।’ সুখের ভ্রান্তি।

অপরাজিতা দাশগুপ্ত

আক্রান্ত: পর্ব ৫

‘…বেশিক্ষণ মিঠিকে দেখার সুযোগ পায়ইনি অভিমন্যু। একনাগাড়ে বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকলে ও যদি কিছু মনে করে? ওর বাবা-মাও খারাপ ভাবতে পারতেন। তাছাড়া নিজেকেই নিজে শাসন করছিল অভিমন্যু— ছিঃ! একজন মেয়ের সঙ্গে তোমার বিয়ের ঠিক হয়ে গেছে।’ অদম্য আকর্ষণের গল্প।

বিমল মিত্র

বিনিদ্র: পর্ব ১৯

‘দু’তিনটে লোক সঙ্গে নিয়েছি। তারা জঙ্গলী-লোক, তারা আমার গাইড। তাদের মধ্যে একজন আমাকে জিজ্ঞেস করলে বন্দুক কেমন করে ছোঁড়ে। আমি তাকে বন্দুক ছোঁড়া দেখাচ্ছি, হঠাৎ একটা গুলি দুম করে বেরিয়ে গেল নল দিয়ে…’ গুরু দত্ত-র শিকার।

অনীশ মজুমদার

মহিমা

‘মহিদিকে দেখতে এসেছে আর পাড়ার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছে বুধন। লাগাতেই হবে সম্বন্ধটা, পাড়ার সম্মান— এসব ফিসফাস আসছে। হঠাৎ ছেলে নিজে বলে উঠল, ‘ভাই, আমার রিকুয়েস্ট, একটা শানু হোক।’ তারপর ঐতিহাসিক কাণ্ড।’ নতুন গল্প।

অপরাজিতা দাশগুপ্ত

আক্রান্ত: পর্ব ৪

‘চল্লিশ বছরে পৌঁছে তিলকের চুলে বেশ পাক ধরেছে। উঠেও গেছে কিছু চুল… বিদেশবাসে তিলকের চেহারা আরও মসৃণ হয়েছে। বেড়েছে ত্বকের উজ্জ্বলতাও। ছাত্রজীবনেই হাই পাওয়ারের চশমা ছিল তিলকের। পুরু কাচের ভিতর দিয়ে উজ্জ্বল ঝকঝকে দুটি চোখ ঠিক আজও তেমনই রয়ে গেছে তিলকের। তিলক কি তার জীবনে পরিতৃপ্ত? সুখী?।’ দাম্পত্য সম্পর্কের গল্প।

বিমল মিত্র

বিনিদ্র: পর্ব ১৮

‘তারপর বলতে লাগল— বোধহয় শোনেননি, আমি আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলুম— আমার মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ল। বললাম— সে কি? বললে— হ্যাঁ, বড় কষ্ট পেয়েছি, অনেকদিন ভুগেছি। এখন একটু ভালো হয়েছি। কিন্তু সে যে কি কষ্ট, আপনাকে কী বলব…’ গুরু দত্তের আত্মহত্যা।

কমলেশ্বর মুখার্জি

ম্যানহোল

‘পরিতোষ মাছের বাজারে মহার্ঘ সব পোয়াতি পাবদার কাছে হেরে গেছে। বাড়িতে ইলেকট্রিক তারের অববাহিকার মধ্যে লুকিয়ে হাসা এনার্জি কনসাম্পশন মিটারের বিলের কাছে হেরে গেছে। অফিসে চেক-শার্টের বোতাম ছিঁড়ে বেরিয়ে আসা বড়বাবুর কুদৃশ্য নাভিমূলের কাছে হেরে গেছে।’ নতুন গল্প।

অপরাজিতা দাশগুপ্ত

আক্রান্ত: পর্ব ৩

‘প্রভাত তাঁর আড্ডার ঠেকেও নিয়ে যেতে শুরু করেন জুঁইকে। সেখানে সবাই প্রভাতের সমবয়সি, জুঁই অনেক ছোট একটি তরুণী। এই অসমবয়সি প্রেমকে মেনে নিতে পারছিলেন না কেউই। ক্রমে বিভিন্ন লোকের মুখ ঘুরে খবর পৌঁছে যাচ্ছিল প্রভাতের বাড়িতেও।’ প্রেম আর সমাজ।

বিমল মিত্র

বিনিদ্র: পর্ব ১৭

‘গুরু দিন-রাত বাইরে। ছেলেকে পাঠিয়ে দিয়েছে দার্জিলিংয়ে। বাড়িটাকে মনে হয় যেন কারখানা। যে-বাড়িটা একদিন দুজনের কাছে স্বর্গের রাজ্য ছিল, সেই বাড়িটাই একদিন আবার পাথর হয়ে দুজনের বুকে চেপে বসল।’ অনন্ত অশান্তির দুর্গ।