গল্প / কবিতা

বিমল মিত্র

বিনিদ্র: পর্ব ২৪

‘…আর একজন যে শান্তি দিতে পারত গুরুকে, সে হল ওয়াহিদা রেহমান। যে মেয়েটিকে সে হায়দ্রাবাদের নির্জন নিরিবিলি থেকে একেবারে খ্যাতির শিখরে পৌঁছিয়ে দিয়েছিল। তারও একটু কৃতজ্ঞতা ছিল গুরুর ওপর। গুরু না হলে কে তাকে শিখিয়ে-পড়িয়ে এমন করে বিখ্যাত করে তুলত। কিন্তু… গুরুর জীবন থেকে সে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে নিয়েছিল।’ শান্তি-অশান্তির সংসার।

দীপান্বিতা রায়

খাঁচার ময়না

‘স্টেশনের ওপারে একটা গলির ভিতর দিয়ে কিছুটা গেলে একটা আধা-বস্তি এলাকা। তারই একপাশে পর পর গোটা তিনেক বেড়ার ঘর। ভিতরে একটা চৌকির ওপর তেলচিটে তোশক আর চাদর পাতা। মোটামতো একজন মহিলা, যাকে মালতী ক্ষুদিদিদি বলে ডাকছিল, সে-ই কথাবার্তা বলল।’ নতুন গল্প।

বিমল মিত্র

বিনিদ্র: পর্ব ২৩

‘…ঘটনাটা এমন আকস্মিক ঘটল যে আমরা দুজনেই কেমন যেন বিমূঢ় হয়ে গেলাম। আমরা ও-বাড়িতে অতিথি, তাই ও-বাড়ির অন্দরমহলের সব ব্যাপারে কৌতুহলী হবার অধিকার আমাদের নেই। আমরা আনন্দের ভাগীদার হব, দুঃখেরও সমব্যথী হব, কিন্তু তার বেশি আর কি করতে পারি আমরা!’ অশান্তির সংসার।

অপরাজিতা দাশগুপ্ত

আক্রান্ত: পর্ব ৮

‘…অভিমন্যু বুঝতে পারছে, জীবনে এই প্রথম কাউকে ছেড়ে যেতে তার কষ্ট হচ্ছে। প্রথম বিদেশে পড়তে যাবার সময় দাদু-দিদানের জন্য, কলকাতায় ফেলে যাওয়া বন্ধুদের জন্য যেমন কষ্ট হয়েছিল— এটা ঠিক তেমন নয়। এই কষ্টটা বুকের অনেক বেশি ভিতর থেকে মুচড়ে মুচড়ে আসছে।’ সম্পর্কের সমাপ্তির গল্প।

বিমল মিত্র

বিনিদ্র: পর্ব ২২

‘… অথচ দুজনের কত মধুর সম্পর্ক। একজনকে ছেড়ে আর একজন যে থাকতে পারে না, তার নজিরও পেয়েছি বহুবার। এমন আকর্ষণ সাধারণত স্বামী-স্ত্রীতে থাকে না। গীতা না থাকলে গুরু একলা অসহায় বোধ করে, তবু দুজনেই এটা মন খুলে বলতে পারে না। একজনের আড়ালে অন্যজন আমাকে পেয়ে তার দুঃখের কথাগুলো শোনাতো…’ সম্পর্কের টানাপড়েন।

অপরাজিতা দাশগুপ্ত

আক্রান্ত: পর্ব ৭

‘বাইরে দরজা খোলার শব্দ হল কি? টেলিফোনটা হঠাৎ কি থেমে গেল? বাইরের ঘর থেকে কার উত্তেজিত গলা ভেসে আসছে। মিঠির গলা না? প্রায় ছুটে এসে মিঠি দরজা ঠেলে ঘরে ঢুকে এল। তিলক ও সুচেতনার অবিন্যস্ত চেহারার দিকে তাকাল একবার বজ্রাহতের মতো।’ আচমকা অস্বস্তির মুখোমুখি।

বিমল মিত্র

বিনিদ্র: পর্ব ২১

‘…আমার নিজের জীবনেই তেমন ঘটনা ঘটেছে। কয়েক বছর ধরে যে যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে জীবন কেটেছে, তার কোনও যুক্তিগ্রাহ্য কারণ নেই। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে ঘটছে সবগুলো। প্রচুর অশান্তি আবার তার সঙ্গে প্রচুর টাকা। এত অশান্তিই বা দেয় কে? আবার এত টাকাই বা আসে কেন?’ গুরু দত্তের অন্তর্দ্বন্দ্ব।

নীল কেটলি: পর্ব ৬

‘বিয়েবাড়ির নেমন্তন্নে গেলে প্রথমেই ভাত এবং শাক বা ভাজা দেওয়া হত বটে, কিন্তু তারপরই পর পর তিন-চার রকমের ডাল দেওয়া হত পাতে। ডালের পর ডাল খেয়ে ছোটদের পেট এত ভরে যেত যে, পরে আর অন্য পদ দিয়ে খেতে পারত না। বলে রাখি তখন কিন্তু মাংসের চলন ছিল না।’ বাঙালবাড়ির বিয়ের খাওয়া।

বিমল লামা

হাফ প্যাডেল

‘তার সাইকেলের চাকা আর মাটিতে নেই। সত্যি-সত্যিই বাতাসে ভেসে পড়েছে তার সাইকেল। আর সে রকেটের বেগে ধেয়ে যাচ্ছে সূর্যের দিকে। মনে হচ্ছে সে ধরেই ফেলবে তাকে। আর তখনই হঠাৎ খুলে যায় তার থার্মোকলের সুখতলা। সে আছড়ে পড়ে মাটিতে।’ নতুন গল্প।

শ্রীজাত

শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ৫

‘দু’পাশে নগরবাসীর ভিড় জমেছে/ আলো খুব নরম, যেন তুলোর তারিখ/ অকারণ গুঞ্জনে সে রইল বেঁচে,/আমি ঠিক সেইখানে পৌঁছতে পারি।/ সেখানে পাথর ধুলোর ব্যবসা চলে/বণিকের সঙ্গদোষে পাহাড় বিকোয়/ ছায়া কেউ বিক্রি করে বিকেলজলে/জানে সূর্যাস্ত কিছু অন্য দিকও…’ নতুন কবিতা।

অপরাজিতা দাশগুপ্ত

আক্রান্ত: পর্ব ৬

‘…এই আবেগ মিথ্যে হতে পারে না, মিঠির মন বলছে। কী অদ্ভুত এক ফুট দূরত্বে বসে এই যুবকের কান্না। এ কথা সত্যি যে, অভিমন্যুকে অপছন্দ করে না ও। কিন্তু তিলক আসার পর মিঠির জগৎটাও বদলে গেছে চিরদিনের মতো। অভিমন্যুকে কি ও ভালবাসতে পারত? মিঠি বুঝতে পারছে না।’ দুই নায়ক, এক নায়িকার গল্প।

বিমল মিত্র

বিনিদ্র: পর্ব ২০

‘…আমি গুরুর দিকে চেয়ে দেখলাম, গীতার দিকেও চেয়ে দেখলাম। দেখে মনে হল দুজনের সব মনোমালিন্য দূর হয়ে গেছে। আবার যেন দুজনে একাকার হয়ে গেছে। খুব আনন্দ হল দুজনের এই পরিবর্তন দেখে।’ সুখের ভ্রান্তি।