গামা বেড়াল: পর্ব ৩
‘আজকাল রোজ রাতে ঘটছে গামা-বেড়ালের হানা। মাঝে মাঝেই ওর ‘আঁও আঁও’ তর্জন প্রমাণ করে, ব্যাটা জান লড়াচ্ছে কোনো অনিবার্য সংঘর্ষে।’
‘আজকাল রোজ রাতে ঘটছে গামা-বেড়ালের হানা। মাঝে মাঝেই ওর ‘আঁও আঁও’ তর্জন প্রমাণ করে, ব্যাটা জান লড়াচ্ছে কোনো অনিবার্য সংঘর্ষে।’
‘বুড়ির চেয়েও সারণ্যের ওপর যেন বেশি বিরক্ত হয়ে মায়া যেটা বলল, তার অর্থ মোষের সামনে বাঁশি বাজানো বৃথা এটা তার এতদিনে বোঝা উচিত ছিল। ‘
‘চৌকাঠের সামনে পাপোশ করে রাখা চটের বস্তাটা বাঁ-হাতে নিয়েই ঝাঁপিয়েছিল। ডান হাত দিয়ে চেপে ধরেছে ওটার ঘাড়। প্রাণীটা এবার মানিপেনিকে ছেড়ে থাবা চালিয়েছে পদ্মকে।’
‘সূর্যের সঙ্গে বনিবনা হল না বলেই তো/ রাত্রি আমার প্রিয় হয়ে উঠল, একাধারে/ সে প্রেমিকা, জল্লাদ, অপমানিতা— হামা দিয়ে/ কাছে এগিয়ে আসে, হাঁটু ঘষে মেঝেয়/ আর প্রার্থনা করে— ‘আরও চাবুক, প্রিয়তম’,/ আমাকেও মাঝে মাঝে বেঁধে রাখে, উফ…’ নতুন কবিতা।
‘প্রাচীনকালে ডাকাতরা যেমন ডাকাতেকালীর পুজো না দিয়ে ডাকাতিতে বেরোত না, বাপন মেকআপে হাত দেওয়ার আগে মেকআপ-কালীর আশীর্বাদ নেন।’
‘আর প্রতিবাদ করার সাহস হল না। আমি মুগ্ধ হয়ে ভদ্রমহিলার কথা শুনতে লাগলাম। তিনি অমায়িক হেসে আবার শুরু করলেন, ‘হ্যাঁরে প্যালা, তোর মায়ের বাতের ব্যথাটা কি একটু কমেছে?’
‘বারুইপুর স্টেশনে দেখতে পাওয়া লোকটা কে ছিল? সেই জিঘাংসায় অনেক রাত বিনিদ্র কেটেছে। অথচ অশিক্ষিত-রূপসী বুগলি দিনকে দিন নিজের জেল্লা বাড়িয়েছে।’
‘রাজীবের নাটকে সত্য আড়ালে ছিলেন। মেঘের আড়ালে শূন্যের মতো। সুমন তাঁকে মঞ্চে নিয়ে এলেন। রিয়্যালিস্টিক ড্রামার মোড়ক ছাড়িয়ে একটু ফ্যান্টাসি এলিমেন্ট জুড়ে দিলেন। কোনো স্বপ্ন বা দুঃস্বপ্নের খেই ধরে নেই, এমনিই।’
‘তাঁবুর মধ্যে এক পা রাখতেই ঘাড়ের বাঁদিকে একটা ধাতব শীতল স্পর্শ অনুভব করলেন কিশিমোতো। বুঝলেন একটা রিভলভারের নলের ডগা তাঁর ঘাড়ে ঠেকিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
‘বেজায় বড় সস্তায়/ সেকালের কোলাহল পেরোনো/ কপাল এখন কি কেবল খাঁ খাঁ রোদ/ পকেটে কত খিদে রেখে/ শীর্ণ শখপূরণ/ নিরন্তর অভিযোজন;/ যেন শুধু ধূসর পথে ছায়ানটের বলয়।’ নতুন কবিতা।
‘দু-হাত দিয়ে কপালে পড়া চুলগুলো সরাচ্ছে আর অচেনা সৌরভে ভরে যাচ্ছে চারপাশ। ফ্ল্যাট দেখানোর সময় এরকম মহিলা প্রচুর দেখেছে, কিন্তু এভাবে শুধু চোখ দিয়ে হাসতে কি কাউকে দেখেছে তপন? অনেক ভেবেও মনে করতে পারে না।’ নতুন গল্প।
‘আশ্চর্য ঠোঁট কামড়াল। আজ সারাদিন ড: ব্রহ্ম ঠাকুরের বাড়ির ওদিকটায় যাওয়া হয়নি। ব্রহ্মদা তাকে একটা দায়িত্ব দিয়ে গেছেন। তিনি এবং এরিক দত্ত জরুরি মিশনে আন্দামান গেছেন। তাঁর অবর্তমানে বাড়িটার দিকে অন্তত একদিন অন্তর নজর রাখতে হবে।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.