শব্দ ব্রহ্ম দ্রুম: পর্ব ১১
‘ঠিক যেমনটি সে ছকে রেখেছিল, তেমন করেই রাতের অন্ধকার এবং বাড়ির ফটকে মোতায়েন দুজন প্রহরী-পুলিশের মধ্যে একজনের নৈশাহারে যাওয়ার সুযোগ নিয়ে লোকটা নিঃশব্দে পেরিয়ে এল দুটো ছাদ।’
‘ঠিক যেমনটি সে ছকে রেখেছিল, তেমন করেই রাতের অন্ধকার এবং বাড়ির ফটকে মোতায়েন দুজন প্রহরী-পুলিশের মধ্যে একজনের নৈশাহারে যাওয়ার সুযোগ নিয়ে লোকটা নিঃশব্দে পেরিয়ে এল দুটো ছাদ।’
‘বাপির মনে হয় এরকম কোথাও প্রতি সন্ধ্যায় চলে যেতে পারলে বেশ হয়। খাটিয়া কাঁধে হেঁটে হেঁটে যাবে, তারপর বেঞ্চিতে বসা ছেলেটার থেকে ঝাঁটা নিয়ে জল ছিটিয়ে সাফ করবে অনেকখানি জায়গা। প্রয়োজনের থেকে অনেকটা বেশিই সাফ করবে সে। তারপর অসম্ভব বড় দড়ি বের করে টাঙাবে একটা সরু মশারি।’ নতুন গল্প
‘কিশিমোতোর সম্পর্কে এখনও নিঃসন্দেহ হওয়া যাচ্ছে না— একটা দোলাচলে ভুগছেন তিনি। জাপানি তরুণের এই প্রস্তাব একটা ফাঁদও তো হতে পারে!’
‘আজকাল রোজ রাতে ঘটছে গামা-বেড়ালের হানা। মাঝে মাঝেই ওর ‘আঁও আঁও’ তর্জন প্রমাণ করে, ব্যাটা জান লড়াচ্ছে কোনো অনিবার্য সংঘর্ষে।’
‘বুড়ির চেয়েও সারণ্যের ওপর যেন বেশি বিরক্ত হয়ে মায়া যেটা বলল, তার অর্থ মোষের সামনে বাঁশি বাজানো বৃথা এটা তার এতদিনে বোঝা উচিত ছিল। ‘

‘চৌকাঠের সামনে পাপোশ করে রাখা চটের বস্তাটা বাঁ-হাতে নিয়েই ঝাঁপিয়েছিল। ডান হাত দিয়ে চেপে ধরেছে ওটার ঘাড়। প্রাণীটা এবার মানিপেনিকে ছেড়ে থাবা চালিয়েছে পদ্মকে।’

‘সূর্যের সঙ্গে বনিবনা হল না বলেই তো/ রাত্রি আমার প্রিয় হয়ে উঠল, একাধারে/ সে প্রেমিকা, জল্লাদ, অপমানিতা— হামা দিয়ে/ কাছে এগিয়ে আসে, হাঁটু ঘষে মেঝেয়/ আর প্রার্থনা করে— ‘আরও চাবুক, প্রিয়তম’,/ আমাকেও মাঝে মাঝে বেঁধে রাখে, উফ…’ নতুন কবিতা।
‘প্রাচীনকালে ডাকাতরা যেমন ডাকাতেকালীর পুজো না দিয়ে ডাকাতিতে বেরোত না, বাপন মেকআপে হাত দেওয়ার আগে মেকআপ-কালীর আশীর্বাদ নেন।’

‘আর প্রতিবাদ করার সাহস হল না। আমি মুগ্ধ হয়ে ভদ্রমহিলার কথা শুনতে লাগলাম। তিনি অমায়িক হেসে আবার শুরু করলেন, ‘হ্যাঁরে প্যালা, তোর মায়ের বাতের ব্যথাটা কি একটু কমেছে?’
‘বারুইপুর স্টেশনে দেখতে পাওয়া লোকটা কে ছিল? সেই জিঘাংসায় অনেক রাত বিনিদ্র কেটেছে। অথচ অশিক্ষিত-রূপসী বুগলি দিনকে দিন নিজের জেল্লা বাড়িয়েছে।’
‘রাজীবের নাটকে সত্য আড়ালে ছিলেন। মেঘের আড়ালে শূন্যের মতো। সুমন তাঁকে মঞ্চে নিয়ে এলেন। রিয়্যালিস্টিক ড্রামার মোড়ক ছাড়িয়ে একটু ফ্যান্টাসি এলিমেন্ট জুড়ে দিলেন। কোনো স্বপ্ন বা দুঃস্বপ্নের খেই ধরে নেই, এমনিই।’
‘তাঁবুর মধ্যে এক পা রাখতেই ঘাড়ের বাঁদিকে একটা ধাতব শীতল স্পর্শ অনুভব করলেন কিশিমোতো। বুঝলেন একটা রিভলভারের নলের ডগা তাঁর ঘাড়ে ঠেকিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.