

শব্দ ব্রহ্ম দ্রুম : পর্ব ১৮
‘গান গাইতে গাইতেই তিনি চোখ বুলিয়ে নিতে থাকলেন ঘরটায় জড়ো করে রাখা আণবিক সংশ্লেষণে ব্যবহার করবার উপকরণসামগ্রীর উপর। একটা বিশেষ কন্টেনারের দিকে চোখ পড়ায় একনিমেষ অবাকও হলেন তিনি।’
‘গান গাইতে গাইতেই তিনি চোখ বুলিয়ে নিতে থাকলেন ঘরটায় জড়ো করে রাখা আণবিক সংশ্লেষণে ব্যবহার করবার উপকরণসামগ্রীর উপর। একটা বিশেষ কন্টেনারের দিকে চোখ পড়ায় একনিমেষ অবাকও হলেন তিনি।’
“বিলি গিলচারের মুখটা এখন দেখবার মতো একটা রূপ নিয়েছে। তিনি বুঝতে পারছেন না এই আলোচনাটা চলতে দেওয়া উচিত, নাকি থামালেই ভাল। তবুও যতটা পারেন মনের জোর জড়ো করে বিলি বলে উঠলেন— বাড়াবাড়ি কোরো না টেগোর, সম্পূর্ণ আষাঢ়ে গল্প বানাচ্ছ তুমি…”
‘কাছেপিঠে ব্রহ্ম ঠাকুরকে কোথাও দেখা যাচ্ছে না লক্ষ করে বিলি গিলচার বলেছিলেন— চলো এরিক, তোমায় এক জায়গায় নিয়ে যাই। আমার এক পূর্বপুরুষের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত জায়গা। পাশাপাশি তোমাকে আমার কিছু প্রস্তাবও দেওয়ার আছে…’
‘এই মুসলমানপাড়া জীর্ণ আর ঘিঞ্জি অপরিষ্কার।/ এর শ্যাওলা প্লাস্টারে আমার অতীত আটকে আছে এই কানাভাঙা পুকুরের জলে।/ পুরনো শাড়ি নতুন বোরখা চাষির ঈদের আনকোরা লুঙ্গিতে আমার কুলুঙ্গি ভরে আছে।’
‘তোমার মতো লাখো মেল রোজ আসে, বিশেষ দেখি না। তবে যেটুকু চোখে পড়ে, তাতে ব্যাকুলতার আড়ালে হিংস্র অভিযোগ থাকে। মনে হয় নিজের মতো থাকাটা যেন অন্যায়। আমার বডি আমি আড়ালে রাখব না সামনে, সেটা তো সম্পূর্ণ আমার ব্যাপার।’ নতুন গল্প।
‘এদের কাউকে জিজ্ঞেস করলে বিলি নিশ্চয়ই খবর পেয়ে যাবেন। কাকে জিজ্ঞেস করা যায় ভাবতে ভাবতে কিশিমোতো রাতের নির্জন সমুদ্রসৈকত ধরে হাঁটতে থাকলেন। দেখা যাক, স্থানীয় কাউকে পাওয়া যায় কি না।’
‘পারসেপশন তো এক স্বচ্ছ বেড়াল,/
কপিশ ঘোলাটে জলে মাছ খোঁজে,/
শেষমেশ শ্যাওলালিপ্ত দাঁতে নিজেকে বোঝায়/ বিভ্রান্তি মোক্ষম এক প্রাকৃতিক বল/ তারও চেয়ে তিসমার তার ক্যাওড়ামি/ (সেন্স অফ হিউমার, বুঝহ গোঁসাই!)’
‘পাহাড়ের আড়াল থেকে পূর্ণিমার চাঁদ দেখা দিতেই, কুকুর বাবাজি মাথা উঁচিয়ে, ভয়ঙ্কর এক চিৎকার ছাড়লেন। সঙ্গে-সঙ্গে আশেপাশের এবং জঙ্গলের যত কুকুর-শেয়াল-নেকড়ে ইত্যাদি ছিল সবাই গলা মেলাল!’ বেড়াল, মাছ আর একটা কুকুরের গল্প।
‘দেখা কি হবে কখনও, ওই অন্ধে ও কাছিমে?/ শুনবে তারা সমুদ্রের যত অভিজ্ঞতা?/ এই অপার দৃষ্টিহীন স্থবির ইতিহাসে/ সবই তো আছে। কেবল নেই মাঝির কোনও কথা।’ নতুন কবিতা।
‘ব্রহ্ম ঠাকুর হঠাৎ এ রকম লাল রঙা চশমা পরবেন কেন? তাঁর মুখই বা অমন দয়ামায়াহীন ঠেকবে কেন? আশ্চর্যের হিসেব হঠাৎ গুলিয়ে গেল। সে মনেমনে ভাবল— লোকটার কথাই কি তবে ঠিক? এ বোধহয় সত্যিই ড: ব্রহ্ম ঠাকুর নয়। তাহলে রহস্যময় এই ব্যক্তিটি আসলে কে?’
‘বুড়ো পাঁঠা চিবোতে গিয়ে চোয়াল খুলে যাওয়ার জোগাড়। আর বোঁটকা গন্ধ। তবু তা-ই বা দেয় কে? জুত করে আলু-ঝোল দিয়ে ভাত খাচ্ছিল সুবল। একটু মেটুলিও রেখেছিল শেষপাতে খাবে বলে। তিনকড়ির অবস্থা দেখে খাওয়া মাথায় উঠল।’ নতুন গল্প।
‘অন্ধকার সিঁড়িগুলো অনেকটা নীচে নেমে এসে মাটির তলার একটা করিডোরে মিশেছে। এখন সেই করিডোর ধরে এগিয়ে চলেছেন দু’জন অন্ধকারের অভিযাত্রী। কিশিমোতোর হাতে ধরা টর্চের আলোটুকুই তাঁদের কাছে এখন অন্ধের যষ্ঠি।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.