

শব্দ ব্রহ্ম দ্রুম : পর্ব ১৫
‘এদের কাউকে জিজ্ঞেস করলে বিলি নিশ্চয়ই খবর পেয়ে যাবেন। কাকে জিজ্ঞেস করা যায় ভাবতে ভাবতে কিশিমোতো রাতের নির্জন সমুদ্রসৈকত ধরে হাঁটতে থাকলেন। দেখা যাক, স্থানীয় কাউকে পাওয়া যায় কি না।’
‘এদের কাউকে জিজ্ঞেস করলে বিলি নিশ্চয়ই খবর পেয়ে যাবেন। কাকে জিজ্ঞেস করা যায় ভাবতে ভাবতে কিশিমোতো রাতের নির্জন সমুদ্রসৈকত ধরে হাঁটতে থাকলেন। দেখা যাক, স্থানীয় কাউকে পাওয়া যায় কি না।’
‘পারসেপশন তো এক স্বচ্ছ বেড়াল,/
কপিশ ঘোলাটে জলে মাছ খোঁজে,/
শেষমেশ শ্যাওলালিপ্ত দাঁতে নিজেকে বোঝায়/ বিভ্রান্তি মোক্ষম এক প্রাকৃতিক বল/ তারও চেয়ে তিসমার তার ক্যাওড়ামি/ (সেন্স অফ হিউমার, বুঝহ গোঁসাই!)’
‘পাহাড়ের আড়াল থেকে পূর্ণিমার চাঁদ দেখা দিতেই, কুকুর বাবাজি মাথা উঁচিয়ে, ভয়ঙ্কর এক চিৎকার ছাড়লেন। সঙ্গে-সঙ্গে আশেপাশের এবং জঙ্গলের যত কুকুর-শেয়াল-নেকড়ে ইত্যাদি ছিল সবাই গলা মেলাল!’ বেড়াল, মাছ আর একটা কুকুরের গল্প।
‘দেখা কি হবে কখনও, ওই অন্ধে ও কাছিমে?/ শুনবে তারা সমুদ্রের যত অভিজ্ঞতা?/ এই অপার দৃষ্টিহীন স্থবির ইতিহাসে/ সবই তো আছে। কেবল নেই মাঝির কোনও কথা।’ নতুন কবিতা।
‘ব্রহ্ম ঠাকুর হঠাৎ এ রকম লাল রঙা চশমা পরবেন কেন? তাঁর মুখই বা অমন দয়ামায়াহীন ঠেকবে কেন? আশ্চর্যের হিসেব হঠাৎ গুলিয়ে গেল। সে মনেমনে ভাবল— লোকটার কথাই কি তবে ঠিক? এ বোধহয় সত্যিই ড: ব্রহ্ম ঠাকুর নয়। তাহলে রহস্যময় এই ব্যক্তিটি আসলে কে?’
‘বুড়ো পাঁঠা চিবোতে গিয়ে চোয়াল খুলে যাওয়ার জোগাড়। আর বোঁটকা গন্ধ। তবু তা-ই বা দেয় কে? জুত করে আলু-ঝোল দিয়ে ভাত খাচ্ছিল সুবল। একটু মেটুলিও রেখেছিল শেষপাতে খাবে বলে। তিনকড়ির অবস্থা দেখে খাওয়া মাথায় উঠল।’ নতুন গল্প।
‘অন্ধকার সিঁড়িগুলো অনেকটা নীচে নেমে এসে মাটির তলার একটা করিডোরে মিশেছে। এখন সেই করিডোর ধরে এগিয়ে চলেছেন দু’জন অন্ধকারের অভিযাত্রী। কিশিমোতোর হাতে ধরা টর্চের আলোটুকুই তাঁদের কাছে এখন অন্ধের যষ্ঠি।’
‘অপর্ণার গানের গলা ভাল। পাশের সেক্টরগুলোতেও অনুষ্ঠানে ট্র্যাক বাজিয়ে গান গায়। নিজের ইউটিউব চ্যানেলও আছে। যাকে বলে, ‘লোকাল সেলেব্রিটি’। সেই সূত্রেও কিছু অবাঙালি বন্ধুও এসেছে। রজত দরজার দিকে তাকিয়ে ছিল।’ নতুন গল্প।
‘একবার প্ল্যান হয়, সোশাল মিডিয়ায় লিখবে। লেখাও হয় কিন্তু সেখানে বাবুদা ওদের পাত্তাই দেয় না। গিটার ঝেড়ে দিয়েছে এই নিয়ে বাবুদার নামে কেউ স্টোরিও করতে চায় না কাগজে। কোথায় যে কলকাঠি বাঁধা আছে সৌমিত্র কিছু বুঝতে পারে না।’ রহস্যময় চরিত্র।
‘সীমা এই অধিকার। তাকে পার করা হল দোষ।/ কতটুকু যাব আর কতটুকু থেমে থাকব জেনে/ ভেসে আছি এ বাতাসে। যেরকম দ্বিধা ও সাহস/ আমাকে দু’ভাগ করে। মেলা থেকে অভিমান কেনে…’ নতুন কবিতা।
‘রাঙিয়ে দিয়ে যাই গো, যাই গো এবার যাওয়ার আগে বলে অপভ্রষ্ট রবীন্দ্রনাথে সেলাম ঠুকিয়ে নিমজ্জনে যাবে? হয় নাকি! শমিত বলবে, যাওয়া উচিত— তোর কাছে চাহিদা অন্য! মাইরি! কী জ্বালা!’ নতুন কবিতা।
‘কিশিমোতোও একটু অন্যমনস্ক হয়ে কীসব চিন্তা করছিলেন। হয়তো তাঁর বাবার নিরাপত্তার কথাই তাঁর কাছে এখন মুখ্য হয়ে উঠছিল। ড: ব্রহ্ম ঠাকুরকে নিয়ে রস দ্বীপের গবেষণাগারে আসাটা বিলি গিলচার কী চোখে দেখবেন? এটা হঠকারী একটা সিদ্ধান্ত হয়ে গেল নাকি?’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.