নিবন্ধ

পৃথ্বী বসু

ওয়ার্ডটুন

‘অবাক লাগলেও একথা না মেনে উপায় নেই, যে কোনও শব্দকে তারই অনুষঙ্গে ছবিতে বদলে ফেলতে চিত্রশিল্পী শুভেন্দু সরকারের সময় লাগে গড়ে পাঁচ মিনিট থেকে সাত মিনিট। আর এ এমনই এক পদ্ধতি, যা শুভেন্দুরই মস্তিষ্কপ্রসূত। ছবি আঁকার এই পদ্ধতির নাম তিনি রেখেছেন ‘ওয়ার্ডটুন’।’ ছবির ম্যাজিক।

জমকালো জালিয়াত

রুপালি পর্দায় ‘বান্টি আউর বাবলি’তে তাজমহল বিক্রির দৃশ্য দেখে যারা হিন্দি ছবির বাড়াবাড়ি নিয়ে ঠোঁট বাঁকায়, তারা হয়তো অনেকে জানে না, অস্ট্রিয়ার ভিক্টর লাস্তিগ ১৯২৫ সালে ফ্রান্সের আইফেল টাওয়ার বিক্রি করে ৭০,০০০ ফ্রাঁ রোজগার করেছিল! জালিয়াতির হাতছানি, সর্বনাশ আর মোহ।

উল্কিতে যামিনী রায়, নন্দলাল!

পিঠ জুড়ে আলপনা, হাত পেঁচিয়ে সরা বা কাঠখোদাইয়ের নকশা, কালীঘাটের পটচিত্র অনুসারে দুর্গা-গণেশ-সরস্বতী এবং যামিনী রায় বা নন্দলাল বসুর বিখ্যাত কাজ — কলকাতা থেকে জার্মানির মানহেইমে ট্যাটুশিল্পী অভিনন্দন বসুর অসামান্য উল্কির জয়জয়কার।

শিল্পকলার আটচালায়

‘যে কোনও খাদিপ্রেমীই গুজরাতের বয়নশিল্পের ঐতিহ্য সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। কিন্তু মাতা নি পচেড়ি সম্পর্কে এঁদের জ্ঞান অল্পই।’ অজানা শিল্পকর্মের খোঁজে।

দোলন গঙ্গোপাধ্যায়

একটি ব্যক্তিগত রাজনৈতিক আখ্যান

‘এখনও কেন মহিলা কমরেডরাই মিটিং-এ চা তৈরি করেন? কেন সরকারি প্রোগ্রামে ছাত্রী কমরেডদের ‘থালি গার্ল’-এর ভূমিকা দেওয়া হয়? কেন স্বামী-স্ত্রী দুজনেই পার্টিকর্মী হলে মিটিং-শেষে স্ত্রী দৌড়ে বাড়ি গিয়ে রান্না বসান আর স্বামী পার্টি অফিসে রাজা-উজির মারেন?’ রাজনৈতিক দলের সমালোচনা।

সুজান মুখার্জি

‘ঘরে বাইরে’র শিল্পকলা

‘২০২০-র জানুয়ারি মাসে কারেন্সি বিল্ডিং-এ ড্যাগ এই স্থায়ী প্রদর্শনীটি উপস্থাপনা করে। ড্যাগ-এর ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সি-ই-ও, আশিস আনন্দ জানিয়েছেন, একাধিক নতুন মিউজিয়াম এবং প্রদর্শনী গঠনের লক্ষ্য: দেশের সকল মানুষের কাছে ভারতবর্ষের চিত্রকলার গৌরবময় ইতিহাস পৌঁছে দেওয়া।’ স্থায়ী প্রদর্শনী ‘ঘরে বাইরে’ এবং বাংলার শিল্পীরা।

শান্তনু চক্রবর্তী

কিছু দূরত্ব কিছু যুদ্ধ

‘‌বুদ্ধদেব এই লম্বা সময়টা জুড়ে যেন একটাই ছবি বানিয়ে গেছেন বিভিন্ন পর্বে। সিনেমার হাড়ে-মাংসে, মানে ফর্ম আর কনটেন্টে এভাবে আমূল পাল্টে যাওয়ারও অবশ্যই একটা দর্শন আছে। শুধুই প্রকৃতি, পরিবেশ, স্মৃতি আর প্রান্তিক জীবন দিয়ে যাকে ব্যাখ্যা করা যাবে না।’‌ চলচ্চিত্রের মূল্যায়ন।

অরণি বসু

ঘুরে চলো টেপরেকর্ডার

‘প্রথম বই ‘গভীর এরিয়েলে’র নামকরণ ও কাব্যভাবনায় জীবনানন্দের প্রভাব ছিল ঠিকই, কিন্তু পরের বই ‘কফিন কিংবা সুটকেশ’ একেবারে অন্যরকম। ভাষা একেবারেই নতুন ও মৌলিক। বিষয় চারপাশের সমাজজীবন থেকে উঠে আসা। মনে রাখতে হবে, সময়কাল ১৯৬৩-১৯৭২।’ কবিতার মূল্যায়ন।

হৃদয়-বিদারক ফুটবল

‘বিদেশের অধিকাংশ ফুটবলার একেবারে জুনিয়র স্তর থেকে ফিটনেসের যে প্রশিক্ষণ এবং পরিচর্যা পান, তা খুব উচ্চ মানের… কিন্তু তা সত্ত্বেও এমন সব ঘটনা ঘটে… শরীরেরও এমন অজানা সব কাণ্ডকারখানা থাকে, যা কেবল ফিটনেস দিয়ে উতরে দেওয়া যায় না। এরিকসেনের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা সেরকমই হয়েছিল।’ খেলার মাঠে হার্ট-জনিত সমস্যা।

অনুপম রায়

লুটিয়ে পড়া নক্ষত্র

‘ডেনমার্কের লাল জার্সি পরে যখন তিনি বল পায়ে দৌড়চ্ছেন, মনে হচ্ছে, ওই তো আমাদের এরিকসন ছুটছে। একদম ফিট। তাহলে? পরমুহূর্তেই ওরকম ভাবে কী করে জ্ঞান হারালেন? সিপিআর কেন দিতে হচ্ছে? এরিকসন কি বেঁচে নেই?’ ফুটবলপ্রেমীর চোখে আহত খেলোয়াড়।

সুকন্যা দাশ (Sukanya Das)

আহারে গুজরাত

‘শাকাহারী গুজরাত নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে যে-ধারণা, তা আদতে গল্পকথা। যদিও এটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর অনেক দিনের সাধ। কিন্তু এই স্বপ্ন সফল করতে হলে তাঁকে রাজ্যের জনসংখ্যার একটা বড় অংশকে আমিষাশী থেকে নিরামিষাশীতে রূপান্তরিত করতে হবে।’ আমিষাশী গুজরাতের গল্প।

পিয়া চক্রবর্তী

অদ্ভুতুড়ে

‘যা কিছু ধরাবাঁধা নিয়মের নোটবুকের বাইরে, তার প্রতি আমাদের একটা অস্বস্তি, একটা বিতৃষ্ণা কাজ করে। থাকে একটা নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলার প্রবণতা। এও এক রকমের ফোবিয়াই— যুক্তিসঙ্গত কোনও কারণ নেই এই ভয়ের।’ মনের অদ্ভুত ভয়।