নিবন্ধ

বিক্রম আয়েঙ্গার (Vikram Iyengar)

নতুন জঞ্জাল

‘নাটকের প্রাণবন্ত সংস্কৃতিটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে, এমন পেশাদারি বা পরীক্ষামূলক থিয়েটার আহমেদাবাদে হচ্ছিল না। এ ছাড়াও রাজনৈতিক বা প্রতিষ্ঠানবিরোধী নাটক করার জন্য যে সুরক্ষাটা দরকার, সেটাও ছিল অত্যন্ত সীমিত। এই অভাবগুলো দূর করার প্রচেষ্টাই করে স্ক্র্যাপইয়ার্ড।’ নতুন থিয়েটারের গল্প।

সৈকত ভট্টাচার্য

প্রবাসে কোভিডের বশে

‘প্রতিবেশী রাজ্য থেকে ‘মিউচুয়াল ইন্ডাকশন’-এর নীতি মেনেই কর্নাটকে বাড়তে থাকল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। রাজ্য সরকার নড়েচড়ে বসল। জারি হল আংশিক কার্ফিউ। পথে কমল গাড়ির সংখ্যা। বেড়ে গেল অ্যাম্বুলেন্সের তীক্ষ্ণ সাইরেনের আর্তনাদ।’ প্রবাসে কোভিড।

বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত

সবচেয়ে বর্মহীন কবি

‘লেকচারের দিন প্ল্যানমাফিক গৌতমের কাছ থেকে সিনেমার রিলগুলো তুলে, শঙ্খদার বাড়িতে পৌঁছে ট্যাক্সিকে পাঁচ মিনিট দাঁড়াতে বলে শঙ্খদার কাছে গেলাম। পাঁচ মিনিট বোধহয় পনেরো মিনিট হয়েছিল। দুজনে গলির মুখে ফিরে এসে দেখি ট্যাক্সি গায়েব, ‘ব্যাটলশিপ পোটেমকিন’ সমেত।’ স্মৃতিচারণ।

ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়

গড়ে তোলো ব্যারিকেড

‘ছাত্র-আন্দোলন মগজে জল প্রদান করে, মননকে আরও দৃঢ় করে। কেউ যদি এই সাহস গুলিয়ে দিতে আসে, গণতান্ত্রিক দেশে স্বাধীন মত প্রকাশে হস্তক্ষেপ করে, তখন মনে রাখতে হবে এই বাংলা বাঁশের কেল্লার তিতুমীরের, এই ভারতবর্ষ সফদার হাশমির নাটকের।’ ছাত্রদের প্রতিবাদ।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

অঙ্কুর ও আক্রোশ

দুটো সিনেমাই আসলে প্রতিবাদের ছবি। ‘অঙ্কুর’ প্রেমের ছবি হলেও একপক্ষ কীভাবে প্রেমের সহ-জ প্রতিজ্ঞার ভার বইতে পারল না, তাই নিয়ে গল্প। অন্যদিকে, ‘আক্রোশ’ রচনা করে এমন এক টুঁটি-মোচড়ানো পরিবেশ, যেখানে সকলেই নিশ্চিত, অন্যায় প্রতিকারহীন।

অর্ক দাশ (Arka Das)

‘হম দেখেঙ্গে’

‘এদেশে ‘প্রতিবাদ’ শব্দটার সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে আছে সামাজিক, ধর্মীয় প্রথা; এখনও নিরক্ষর জনজাতি-আদিবাসী-দলিত-নিম্নবর্গের মানুষের জীবনকাহিনির একমাত্র সম্ভার রয়েছে লোকগীতির মধ্যে।’ গণসঙ্গীতে প্রতিবাদ।

সঞ্চারী মুখোপাধ্যায়

এসো তবে, মারো

‘কতটা অমানুষ হলে হিংসা আর নৃশংসতাকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যায়, সেকথা ভেবেই কেঁপে উঠেছিল বহু নারীর অন্তরাত্মা। সেইসব মেয়েদের মধ্যে ১২ জন সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে।’ নারীর প্রতিবাদ।

জয় গোস্বামী

‘চাঁদের কাস্তে’

সুভাষ মুখোপাধ্যায় থেকে শ্রীজাত। বাংলা কবিতার এই দীর্ঘ সময়পর্বে, অনেক কবির কবিতাতেই ধরা পড়েছে প্রতিবাদী চেতনার স্বর। প্রেমের কবিতার উল্টোদিকে, শ্লেষে-ব্যঙ্গে ধারালো এইসব তির্যক কবিতায় পাঠক পেয়েছেন কবির ক্রোধ ও সমবেদনা।

কুণাল কামরা (Kunal Kamra)

সব জাতির দরকার— রাগিয়ে দেওয়ার লোক

‘রসিকতা এমন ভাবে প্রতিবাদ আর মতানৈক্যকে হাজির করে, ক্ষমতা তার অস্তিত্বটা নিয়েই ধন্দে পড়ে যায়। ক্ষমতা নিজেকেই তখন জিজ্ঞেস করে, ‘আমি আমাকে যতখানি ভাবছি, আমি ততখানিই তো?’ আর, আমরা সকলেই জানি, ক্ষমতা প্রশ্ন ব্যাপারটাকেই ঘেন্না করে।’ কৌতুকে প্রতিবাদ।

স্যমন্তক দাস

বিক্ষোভ ও তারুণ্য

‘ক্ষমতার সামনাসামনি দাঁড়িয়ে ছাত্ররা যেভাবে সত্যের কথা বলতে পারে, সেভাবে অনেকেই পারে না, বা পারলেও চায় না। যে কোনও আন্দোলনে যে আবেগ এবং উদ্দীপনা তাদের হাত ধরে আসে, তা দেখে, যত বয়স বাড়ে তত হিংসেই হয়।’ ছাত্র-আন্দোলনের ভূমিকা।

জয়া মিত্র

আজি ঝড়ের রাতে

‘সদ্যস্বাধীন দেশের প্রাকৃতিক সম্পদভাণ্ডার, আর সেই সম্পদকে ব্যবহার করার যে বিপুল জ্ঞান ও অভ্যস্ততা এই দেশের লোকসাধারণের ছিল— সেই দুই সম্পদকে অবহেলা করে শুরু হল আমদানি করা এক অলীক ‘উন্নয়ন’ যাত্রা।’ পরিবেশ বনাম উন্নয়ন।

প্রবীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

হোজা নাসিরুদ্দিন এবং প্রতিবাদের গল্প

‘বোকামি আর চালাকির টানা-পড়েনের ফলে নাসিরুদ্দিনকে ঘিরে তৈরি হয়েছে এক অদ্ভুত ধোঁয়াশা যা পশ্চিমি দুনিয়ার পাঞ্চ-লাইন প্রিয় মানুষের পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়। নাসিরুদ্দিনের আপাতসারল্যের মধ্যেই লুকিয়ে আছে এক অভিনব প্রতিবাদী সত্তা।’ প্রতিবাদী চরিত্রের গল্প।