

লকডাউন আর বুড়ো আয়না
‘আমি একলা-সময় চেয়েছিলাম, বিচ্ছিন্ন হতে চাইনি। বিচ্ছিন্ন থেকে জীবনের রসদ পাওয়া যায় না। আর জীবনের রসদ না পেলে কলমের ডগায় অক্ষর এসে বসে না। জীবনের সঙ্গে অক্ষরের যে একটা গভীর যোগ রয়েছে।’ করোনাকালীন অনুভূতি।
‘আমি একলা-সময় চেয়েছিলাম, বিচ্ছিন্ন হতে চাইনি। বিচ্ছিন্ন থেকে জীবনের রসদ পাওয়া যায় না। আর জীবনের রসদ না পেলে কলমের ডগায় অক্ষর এসে বসে না। জীবনের সঙ্গে অক্ষরের যে একটা গভীর যোগ রয়েছে।’ করোনাকালীন অনুভূতি।
‘খাঁচায় পোষা টিয়াপাখি কয়েক মিনিটের মধ্যেই ভাগ্যের হাল-হকিকত জানিয়ে দিচ্ছে— তাও মাত্র কুড়ি কি তিরিশ টাকায়!… পাখির খাঁচার একপাশে সার দিয়ে সাজানো থাকে একাধিক খাম, যার যে কোনও একটার ভেতরেই রয়েছে নিজের ভাগ্যের খবর।’ বিচিত্র ভাগ্যগণনা।
‘মাছে-ভাতে তো বটেই, বাঙালির দুধে-ভাতে থাকা নিয়েও ইতিউতি উঠে আসছে প্রশ্নচিহ্ন। কারণ বঙ্গবাসীর রান্নাঘরের দিকে তেরছা নজরে তাকানো শুরু করে দিয়েছেন ‘ভেগানিজম’-এর সমর্থকরা।’ সাম্প্রতিককালের ভেগানিজম-চর্চার নানা দিক।
‘করোনা চলে গেলে, এই দুঃসহ স্মৃতি কি ভোলার? উত্তর, ‘না’। তবে এই স্মৃতি কি সংরক্ষণযোগ্য? এক কথায় উত্তর, সম্ভবত ‘হ্যাঁ’। এই দুই সহজ প্রশ্নের ছোট্ট দুটো উত্তরের প্রেরণায় সৃষ্টিমূলক ভাবনা নিয়ে এগিয়ে আসছে বিশ্বের সংগ্রহশালাগুলো।’ স্মৃতি আগলে রাখার ব্যতিক্রমী উদ্যোগ।
‘২০২০-র মার্চে, যখন লকডউন হব-হব এবং ট্রেন চলছে না বলে অনেক কাজের লোকই আসতে পারছে না, তখন এই ‘মপ’, বা লাঠির ডগায় ন্যাতা, একেবারে হইহই করে ভারতীয় ঘরকন্নায় ঢুকে পড়ল।’ করোনাকালীন জীবনে ‘মপ’-এর ভূমিকা।
‘যে পাঠকেরা তাঁর জ্ঞাতি নয় বরং অজ্ঞাত, সেই অচেনা এবং অপরিচিত পাঠকের সঙ্গে তিনি এক রকমের আঁতাঁত করছেন, যাতে সমস্যাগুলোকে সঙ্গে রেখে একটা অন্য রকমের ভবিষ্যৎ সৃষ্টি করা যায়।’ মার্কেস-পাঠের অনন্য দৃষ্টিভঙ্গি।
গার্সিয়া মার্কেসের লেখা কেন পড়ব, কীভাবে পড়ব সে বিষয়ে ফিরে দেখা। এই লেখায় উঠে এসেছে মার্কেসের সাহিত্যে ট্র্যাজেডি, স্মৃতি, ইতিহাস ও সক্রিয়তার ভূমিকার কথা। লাতিন আমেরিকার সাহিত্যে মার্কেসের অবস্থান।
‘বাবার সঙ্গে মান্টোর এই আজব সাদৃশ্য এখানেই শেষ নয়— দু’জনেই হট্টগোলের মাঝে দিব্যি কাজ করতে পারেন (এবং সম্ভবত পছন্দও করেন), রান্না ভালবাসেন, গভীর ভাবে যত্নবান… এবং দু’জনেই স্নেহশীল পিতা।’ আদর্শবান বাবা ও আদর্শ পুরুষের কথা।
‘অ্যাসটেরিক্স জীবনে আসার আগে অবধি আমি ঠিক করেছিলাম, বিয়ে করলে বাবার মতো লম্বা কাউকেই করব। অ্যাসটেরিক্স আমার জীবনের প্রথম এবং শেষ ক্ষুদ্র পুরুষ। অ্যাসটেরিক্স ইতিহাস, ভূগোল, সমাজতত্ত্ব ও সেই সঙ্গে কূটনীতিও আমাকে শেখাতে শুরু করে।’
‘ব্যাকব্রাশ করা চুল, তন্ময় মুখের ভাব, সাধু-সরস-দিব্যকরোজ্জ্বল চোখ হাসির জলে সদাই ভেজা। আড়চোখে দেখতাম, তার সুন্দর হাত-পায়ের পাতা, পরিষ্কার নখ সযত্নে কাটা, বিশখানা আঙুলের কোথাও ছন্দপতন হয়নি।’ নানার কথা।
‘জন্মাষ্টমীর লুচি-তালের বড়ার শৈশব পেরিয়ে যখন আসল কৃষ্ণের সঙ্গে মোলাকাত হল, তখন ভাবলাম, এই তো পাওয়া গিয়েছে, ঠিক যেন আমার মতো। বেপরোয়া, নির্লজ্জ, চার্মিং, লীলাময়, ছলনার রাজা, এমনকী রুথলেস।’ পুরাণে পাওয়া মনের মানুষ।
‘এই পৃথিবী বহুবার ওলট-পালট হয়েছে, বদলেছে, কিন্তু ফেডেরার থেকে গেছেন ধ্রুব, স্থির— এক রুচিমান, আশ্বাসময় প্রেরণা। তাঁকে দেখে কোনও কোনও মধ্যবয়সি নিজেকে তরুণ বলে ভাবার সাহস পান।’ রজার ফেডেরারের প্রতি মুগ্ধতা।
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.