নিবন্ধ

মেলাবেন, জিন-ই মেলাবেন

যমজ ভাই বা বোনেরা নাহয় একই বাপ-মায়ের সন্তান। একই সাথে মাতৃজঠরে জিন ভাগাভাগি করে ভ্রূণ থেকে পরিণত হয়ে ওঠা। কিন্তু দুজন নিঃসম্পর্কিত মানুষ? তাদের কি কাকতালীয় ভাবে ডিএনএ-র গঠন মিলে গেছে? তার ফলেই এমন একে অন্যের ফোটোকপি হয়ে যাওয়া?

নন্দনবোধে আনন্দময়ী: পর্ব ১

‘আর মাত্র তিন সপ্তাহ পরেই দেবীর মর্তে আগমন। বছরের এই পাঁচ দিন শহরের আনাচে-কানাচে যে সমসাময়িক শিল্পের নিদর্শন দেখা যায়, তা তুলনাহীন। যে শিল্পীরা অক্লান্ত পরিশ্রমে শূন্য থেকে একটি মণ্ডপকে তার সম্পূর্ণ রূপ দিচ্ছেন, তাঁদের সঙ্গে কিছু সময় কাটালো ডাকবাংলা, ঘুরে দেখা হল কিছু অসামান্য শিল্পকীর্তি, যা ক্ষণস্থায়ী, সপ্তাহান্তে আবার শূন্যে আবর্তিত।

অভীক মজুমদার

প্রকাশ্যে ঈর্ষার কথা বলি

‘সুনীলের কবিতা আত্মজৈবনিক, স্বীকারোক্তিমূলক। এখানেও আমি, সুনীল, নিখিলেশ— এইসব নানা রূপে উত্তমপুরুষ জটিল সব নকশা নিয়ে আবির্ভূত। কিন্তু, তাকে কবিতায় সাজিয়ে তোলার সাবলীল ক্ষমতা এবং বিশেষত সাহস, আবার বলি ঈর্ষণীয়।’ ফিরে পড়া বই।

সুস্নাত চৌধুরী

বিশ্বস্ত মূত্রানুসারে রচিত

‘শরীরের প্রয়োজনেই প্রাত্যহিক যাকে ত্যাগ করতে হয়, তাকেও কীভাবে আপন করে নেওয়া যায়, কানে-কানে সেই হিসিডাক শোনায় এই কিতাবদ্বয়। যেখানে তথ্য আছে, তথ্যের ভার নেই— দুইয়ে মিলে যেন টিপ করে পাঠকমনের দেওয়াল।’ পাঠ-অভিজ্ঞতা।

আবীর কর

শিক্ষা যাচাই, ‘শিক্ষক চাই’

‘স্কুল সার্ভিসের ঝুলি থেকে বেড়াল বেরিয়ে পড়ার ব্যাপক শোরগোলের কাকতালে সাপ্তাহিক ‘অমৃতবাজার পত্রিকা’র পাতায় চোখ পড়ল উনিশ শতকের সাতের দশকের ‘কর্ম্মখালী’র বিজ্ঞাপনে। তখন চাকরি নয়, চাকুরেরই অভাব।’ বিজ্ঞাপনে শিক্ষকের খোঁজ।

মধুজা বন্দ্যোপাধ্যায়

কোরিয়া পারল কী করিয়া

‘সাহস আর বিশ্বাসই কোরিয়ান কন্টেন্টকে সারা পৃথিবীর কন্টেন্ট-দুনিয়ায় একটা আলাদা জায়গা করে দিয়েছে। কোরিয়ানরা যখন তাদের রীতিনীতি, পরিবার, রান্না দেখায়— তা অন্য দেশের লোক বুঝবে কি বুঝবে না তার তোয়াক্কা করে না। আর সেটাই দর্শকদের ভাল লাগে।’

জয়া মিত্র

মহাভারথের বালা হিম্মত

‘এই ভীল ভারথ-এ কারো কোনও জন্মকথায় কোনও রহস্য নেই— কুন্তী, গান্ধারী, যথাক্রমে কুতরমা ও গতরমা, পাণ্ডবরা, দ্রৌপদী অর্থাৎ ধোঁফা— কারো নয়। ঈষৎ প্রচ্ছন্ন জন্মবৃত্তান্ত কেবল দুজনের— কর্ণ আর বালা।’ মহাভারতের অন্য পাঠ।

সঞ্চারী মুখোপাধ্যায়

আশ্চর্য ছটফটানি ছিল

যখন বিউগল বেজে উঠল রাত বারোটায়, কী যেন একটা হল চারপাশে। কেউ কেউ আনন্দে আত্মহারা হয়ে গেল, কেউ কারও কোলে চেপে পড়ল, কেউ সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ছোট বাচ্চাকে কোলে তুলে নিয়ে হাওয়ায় ছুঁড়তে লাগল আর কেউ কেউ এমন কান্নায় ভেঙে পড়ল যে মনে হল, তার হৃৎপিণ্ড কেউ উপড়ে নিয়েছে। সে যেন শেষবারের মতো কাঁদছে, আর কোনও দিন চোখের জন সে ফেলবে না। কেমন ছিল সেই দিনের অভিজ্ঞতা!

সঞ্চারী মুখোপাধ্যায়

মধ্যরাতের ভোর

এনসিপিএ-মুম্বই ১৪ অগস্ট রাত ১০টা থেকে আয়োজন করেছিল এক সঙ্গীতসন্ধ্যার—ডন অ্যাট দ্য মিডনাইট। যে সন্ধ্যায় ভারতীয় রাগসঙ্গীতের সঙ্গে পাশ্চাত্যের সঙ্গীতের আশ্চর্য মিশ্রণে শান্তনু মৈত্র তৈরি করেছিলেন এক মায়াবী সঙ্গীতআবহ। আর তাতে ফোঁটা ফোঁটা করে অমৃত যোগ করেছিলেন গুলজারজী। রাত পৌনে বারোটায় দর্শকরা স্বতস্ফূর্ত ভাবে গেয়ে উঠলেন ‘বন্দেমাতরম’। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্ণ হয়ে উঠল কানায় কানায়।

রাস্‌কিন বন্ড (Ruskin Bond)

গঙ্গা বয়ে যায়

‘সেই শীতে যখন আমি দেরাদুনে বাড়ি এলাম, তখন চরম সংকটের সময়টা কেটে গিয়েছে। আমার বয়স ১৩, ব্রিটিশ এবং অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান বাবা-মায়ের সন্তান, যার জন্ম ভারতে। কেউ কখনও আমাকে হেনস্থা করেনি, না দিল্লিতে, না দেরাদুনে। সেই সময় একদিন আমি আমাদের বিস্তৃত ময়দান পেরিয়ে একটি সিনেমা হল-এ ঢুকেছিলাম ছবি দেখতে। ছবিটির নাম ছিল ‘ব্লসমস ইন দ্য ডাস্ট’।’

শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়

আনন্দযজ্ঞের বাইরে, একা

‘সেদিন যেন শহরটায় কোনও আইনকানুন ছিল না। এই উৎসব এমনই ছেঁয়াচে যে, কিছুক্ষণ আমিও বিহ্বল হয়ে রাস্তায়-রাস্তায় ঘুরে বেড়ালাম। কিন্তু ওই আনন্দযজ্ঞে আমার কোনও নিমন্ত্রণ আছে বলে মনে হচ্ছিল না। সেদিন আমার কোনও বন্ধুর সঙ্গে দেখাও হয়নি। পাড়ার যারা ছিল, তারাও যে কে কোথায় গিয়েছিল জানি না! এত একা লেগেছিল সেদিন!’

অদিতি মুখোপাধ্যায়

ঠাকুমাই ছিলেন সুপারস্টার

গোটা দেশের মানুষের কাছে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের কথা এত শুনেছি যে তিনি আমার মনে জ্বলজ্বল করছেন। তবে দাদুর চেয়ে আমার ঠাকুমা বাসন্তী দেবী ছিলেন আমাদের ক্ষেত্রে প্রভাবশালী। আমি ঠাকুমার সঙ্গে হরিপুরা কংগ্রেস, ত্রিপুরী কংগ্রেস অধিবেশনে গিয়েছি। আন্দোলনের স্মৃতি।