নিবন্ধ

কবীর চট্টোপাধ্যায়

যুক্তির বাইরে দাঁড়িয়ে

‘১৮ ডিসেম্বরের রাতে যখন গঞ্জালো মোন্টিয়েলের পেনাল্টি গোলে ঢুকছে, তখন অনুধাবন করতে পাক্কা পাঁচ মিনিট লেগেছিল যে আমরা কাপ জিতছি। হাঁ করে বসেছিলাম বন্ধুদের মাঝখানে। চারিদিকে উল্লাস, হট্টগোল, লাফালাফি, গান। মাঝখানে আমি মগজটাকে স্টার্ট দেবার চেষ্টা করছি। হ্যাঁ, মেসি এবার বিশ্বকাপে চুমু খাবেন। আমরা বিশ্বকাপ জিতে গেছি।’

অনুপম রায়

বিশ্বকাপের ডায়েরি: শেষ পর্ব

বিশ্বকাপ দেখার দৌলতে কাতারকেও বেশ উপভোগ করলাম। অন্য একটা সংস্কৃতি, অন্য মানুষ, নতুন শহর, নানা দেশের দুর্দান্ত খাবারদাবার, আর্কিটেকচার— সব মিলিয়ে দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা। যেন শহরজুড়ে একটা মহাযজ্ঞ চলছে। আর এই রকম একটা মহাযজ্ঞে আমিও সামিল ছিলাম, এটা ভেবেই দারুণ লাগছে।

আত্রেয় মুখোপাধ্যায়

পাখিদের সেরা ডেরা: রবীন্দ্র সরোবর

‘লেক, অর্থাৎ রবীন্দ্র সরোবর, পাখি ও পাখিপ্রেমীদের স্বর্গ। ভারতবর্ষে দেখা যায় ১৩০০-র থেকে কিছু বেশি সংখ্যক প্রজাতি। বিশ্বাস করা কঠিন, শুধু লেকেই খোঁজ মিলেছে ১৩০-১৩৫ ধরনের। গোটা দেশে দৃশ্যমান প্রজাতির প্রায় ১০%!

অনুপম রায়

বিশ্বকাপের ডায়েরি: পর্ব ৩

সিঁড়ি ভেঙে উঠে প্রথমবার মাঠের সামনে দাঁড়ানো! এই অভিজ্ঞতাটার তুলনা হয় না! আমি বার বার দাঁড়াতে চাই, ওই বৃহতের সামনে, যেখানে আমার নিজের কোনও স্বার্থ নেই, কোনও ম্যাচের হারাজেতার ওপর আমার কিচ্ছু নির্ভর করে না।

অনুপম রায়

বিশ্বকাপের ডায়েরি: পর্ব ২

আমাদের পিছনে কিছু ইংলিশ ফ্যানেরা বসে ছিল। বিশাল তাদের গলার জোর, এমন জোর চিৎকার করছে যে আত্মারাম খাঁচাছাড়া হয়ে যাওয়ার জোগাড়! অমন গলা পেলে আমি সত্যিই মাইক ছাড়া গাইতে পারতাম। তার ওপর যা গালাগালি করল ফ্রান্সের গোলকিপারকে!

অনুপম রায়

বিশ্বকাপের ডায়েরি: পর্ব ১

খেলা দেখতে আসা দর্শকের এ রকম উন্মাদনা আগে সত্যি দেখিনি। আর এই উন্মাদনার একটা কারেন্ট যেন সবার মধ্যে ছড়িয়ে যায়। নিজের উত্তেজনা সব সময় নিজের নিয়ন্ত্রণে থাকে না। চারদিকে দেখলে মনে হয় একটা বিশাল উন্মাদনার যজ্ঞে আমিও একজন কনট্রিবিউটার।

দেবজিৎ চক্রবর্তী

ভাসান

‘মারাকানায় ঐতিহাসিক ফাইনালে জার্মানির মুখোমুখি হতে যাচ্ছে আর্জেন্টিনা। ক্যামেরা তাক করল পাঁচ ফুট সাত ইঞ্চির আর্জেন্টিনার দশ নম্বর জার্সিধারী মানুষটাকে। তার চোখে জল! মেসি কাঁদছে, মেসি ও কাঁদে! চারটে ব্যালন ডি’অর, বিশ্বের শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড়… দেশ ফাইনালে যাচ্ছে বলে কাঁদছে, কী বোকা!’

অর্ক দাশ (Arka Das)

কাউন্টার-স্ট্রাইকিং মিষ্টি চ্যাম্পিয়ন

‘গোলগাল, মিষ্টি চেহারার পারহামকে এক নজরে দেখে বোঝার জো নেই যে তিনি ইরানের ১ নং পুরুষ দাবা খেলোয়াড়, যিনি ২০১৮-তে দাবা দুনিয়াকে চমকে দিয়ে, ১০-এ ৯.৫ স্কোর নিয়ে জুনিয়র বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের খেতাব জিতেছিলেন।’

সঞ্চারী মুখোপাধ্যায়

ইউক্রেনের বাজিমাত

দেশে যুদ্ধ, বিদেশে ঠাঁই এখন। বাবা-মা-পরিজনহীন জায়গায় মানিয়ে নিতে হচ্ছে। কিন্তু খেতাব জিতছেন দেশের জন্য। দুই বোন, দুজনেই গ্র্যান্ডমাস্টার। ইউক্রেনের মেয়েরা চালে-চালে কিস্তিমাত করছেন। কলকাতার টাটা স্টিল তেল ইন্ডিয়া ২০২২-এও তার ব্যতিক্রম হল না। সেই মঞ্চেও উজ্জ্বল আনা ও মারিয়া।

প্রত্যয় নাথ

‘মূর্তি’মান ইতিহাস

একটি সমাজ বা রাষ্ট্র যখন মূর্তি বা স্থাপত্য খাড়া করে, তার গোড়ায় থাকে সেই এলাকার সামাজিক পরিসরের সঙ্গে নিজের সত্তাকে জড়িয়ে ফেলার তাগিদ। অথচ সেই মূর্তি ভেঙে ফেলার মধ্যে থাকে সমস্ত সত্তাকে, বিশ্বাসকে ও প্রত্যয়কে ভাঙার নির্মমতা।

শুভংকর ঘোষ রায় চৌধুরী

বাদল সরকারের থার্ড থিয়েটার

বাদল সরকারের তৃতীয় থিয়েটারের গড়ে ওঠা একেবারে অন্যরকম। অন্য সব নাটক মঞ্চস্থ হওয়ার আগে যে দোর্দণ্ডপ্রতাপ স্ক্রিপ্টের দাসানুদাস হয়ে থাকে, যার নমনীয়তা বলেও কিছু নেই, আর ইম্প্রোভাইজেশনের সুযোগও মঞ্চে খুব কম— তৃতীয় থিয়েটার মোটেই সেরকম ছিল না।

অনির্বাণ ভট্টাচার্য

আমার লাটাই ফেরত দাও, দোস্তোজি

‘দোস্তোজি, তোমার ওই সেলিব্রেশন। ওই ভলির পর ক্যামেরার সামনে গিয়ে দেখিয়ে দেওয়া, দেখো, দেখো আমি দিয়েগো, আমি নম্বর টেন, আমি আলবেসিলেস্তে। তোমার ওই বাইসেপ্‌স, ট্রাইসেপ্‌স, ছুটে এসে জড়িয়ে ধরা ক্লদিও ক্যানিজিয়ার সোনালি চুলে মিশে যাওয়া তোমার ট্যাটু।’ স্বপ্নের নাম মারাদোনা।