

সেই আগুন ও বইমেলা
‘পাঠক-দর্শকরা মাঠ থেকে বেরনোর জন্য আর স্টল মালিকরা যথাসম্ভব বাইরে ছুড়ে ফেলে বই বাঁচানোর চেষ্টায় পাগলপারা। একেবারে অরাজকতার চূড়ান্ত।’
‘পাঠক-দর্শকরা মাঠ থেকে বেরনোর জন্য আর স্টল মালিকরা যথাসম্ভব বাইরে ছুড়ে ফেলে বই বাঁচানোর চেষ্টায় পাগলপারা। একেবারে অরাজকতার চূড়ান্ত।’
‘সরস্বতী পুজো, আকবর প্রবর্তিত নতুন শিক্ষাব্যবস্থা এবং রঘুনন্দনের বিধান— এই তিনের মধ্যে একটি আন্তঃসম্পর্ক রয়েছে, হতেই পারে সে সম্পর্ক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ।’
‘খুশবন্তের জীবনে রং। এবং তাঁর লেখাতেও রং। একটা সহজ জ্যান্তভাব উথলে উঠছে তাঁর প্রাত্যহিক জীবনে, তাঁর সহজ লেখায়।’
‘যদি কারও মনে হয়, এই আড্ডা শুধুই নেশার চক্কর— তাহলে একেবারে ভুল হবে। লেখা, মানে কবিতা প্রায় রোজই পড়া হত। সোমকের মুচমুচে, পার্থর অসামান্য গদ্য শুনেছি।’
‘প্রতি ক্ষেত্রেই গল্প, কখনও বা গাথা, হয়ে ওঠা কথনসমূহের মধ্যে ঢুকে পড়েছে আশপাশের আরও অনেক উপকথা বা উপকাহিনি। মৌখিক কথার বিশেষত্ব নদীর মতো বেড়ে উঠতে থাকার এই স্বাধীনতা।’
‘ভাই সাট্টা তো লো ক্লাসের খেলা। তুমি খেলবা ক্যান? তোমরা উচ্চ বংশ। ব্রিজ খেলো। বুদ্ধি থাকলে জিতবা। আমি যে নো ক্লাসে বিলং করি, তা তাকে কী করে বোঝাই? তিনি কিছুতেই খেলা শেখালেন না, শুধু বললেন, তোমাদের ক্লাসের লোকের নম্বর আইব না।’
‘রোগীর ছেলে আমার হাতে একশো টাকার নোট গুঁজে দিয়ে বলল, ‘বহোত শুকরিয়া সাব।’ মনে আছে, খুব রেগে গিয়েছিলাম। ছেলেটিকে ধমক দিয়ে বলেছিলাম, ‘ডাক্তারি করার জন্য সরকার থেকে আমাকে মাইনে দেয়। তুমি টাকা দেওয়ার কে হে?’’
‘অ্যালার্ম বাজিয়ে রোবটের মতো পিচুটিভরা বন্ধ চোখে কোনরকমে নিজেকে সজীব করার প্রাণান্তকর চেষ্টা করে দৌড়াতাম। সোমবার সংসদের অধিবেশন। অধিবেশন বসবে এগারোটায়। কিন্তু পৌঁছে যেতে হয় সকাল দশটায়।’
‘অদূরে গঙ্গায় তখন ভাসছিল পাকিস্তানি বিমানটির ছিন্ন একটি ডানা, অন্যান্য যন্ত্রাংশ, আর ভাসছিল গ্যাস সিলিন্ডারের মতো লাল কী একটা যেন, মোটরচালিত নৌকোয় এসে বারাকপুরের আমাদের সেনারা, আর গঙ্গার দু’পাড়ে মুহুর্মুহু করতালি দিচ্ছিলেন অগণন মানুষ।’
‘১৯৪৯-এ ন্যাশনাল বুক এজেন্সি লিমিটিডের পক্ষ থেকে সুরেন দত্ত ‘ভাঙার গান’-এর দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশ করেন এক টাকা বিনিময় মূল্যে। তারপর ৭৫ বছরে ‘ভাঙার গান’ বইটি প্রকাশ পেল না। ২০২৫, ব্ল্যাকলেটার্স প্রকাশনা সংস্থা থেকে শতবার্ষিকী সংস্করণ প্রকাশ পেল।’
‘যাঁকে দিয়ে অভিনয় করাতে চাইতেন, তাঁর কথাবার্তার স্টাইল, ম্যানারিজম খুব মন দিয়ে, নীরবে লক্ষ করতেন। পরবর্তীতে বুঝেছি, সেজন্যই রোববারের আড্ডায় আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রথমে।’
‘আমায় সমরেশ জেঠু আরও ভেতরে নিয়ে গেলেন। অনেকগুলো সার-সার মেশিন বসানো। সেই মেশিনের পর্দায় রঙিন-রঙিন ছবি ফুটে উঠছে। রঙিন-রঙিন মানুষ সেই মেশিনের সামনে বসে একটা সুইচ টিপে চলেছে।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.