

ন্যায়বিচারে ভরসা
‘আদালতের সমালোচনা জিনিসটা আবার অধার্মিকতা বা ব্লাসফেমির সমতুল্য, কারণ আদালত এবং আধুনিক বিচারব্যবস্থার সৃষ্টি আসলে আব্রাহামিক ধর্মের আখরে— সেখানে ঈশ্বর নরকযন্ত্রণার ভয় দেখিয়ে মানুষকে সৎ পথে চলতে বাধ্য করেন।’ ন্যায়ের সাত-সতেরো।
‘আদালতের সমালোচনা জিনিসটা আবার অধার্মিকতা বা ব্লাসফেমির সমতুল্য, কারণ আদালত এবং আধুনিক বিচারব্যবস্থার সৃষ্টি আসলে আব্রাহামিক ধর্মের আখরে— সেখানে ঈশ্বর নরকযন্ত্রণার ভয় দেখিয়ে মানুষকে সৎ পথে চলতে বাধ্য করেন।’ ন্যায়ের সাত-সতেরো।
‘মার্ক্সিস্ট হিসাবে ওঁর মনে হত, প্রদর্শশালার পদ্ধতি ওঁর আদর্শের বিরোধী, এবং এসব থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়। একই সঙ্গে, এই সিদ্ধান্ত ওঁকে পেশাদার সমালোচক বা আর্ট মার্কেটের পরোয়া না করে সৃষ্টিশীল হয়ে ওঠার স্বাধীনতা দিয়েছিল।’ সাক্ষাৎকারে শিল্পীর মূল্যায়ন।
‘১৯৪৩-এ তিনি যখন মন্বন্তরের ছবি আঁকতে ব্যস্ত সে-সময়ে কলকাতায় সুভো ঠাকুরের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘ক্যালকাটা গ্রুপ’। শিল্পী-সদস্যরা একত্রিত ভাবে এক ছাদের তলায় আসার কথা ভেবেছিলেন এমন একটা সময়ে, যখন বাংলা অন্নাভাবে কাতর।’ শিল্পে সময়ের ছাপ।
‘ছাপা ছবি দেখে সোমনাথদার মুখটা লাল হয়ে গেল। আমাকে বসতে বলে চা আনালেন। একটা কথাও বললেন না। তাঁর চোখে-মুখে ভয়ঙ্কর একটা অস্থিরতা। আমার একটা অস্বস্তি হচ্ছিল। এক সময় বললেন, আমি ইচ্ছে করেই ছবির মাথায় ফাঁকা জায়গাটা ছেড়েছিলাম।’ স্মৃতিচারণা।
‘আমার রিয়েলাইজেশন হচ্ছে, যেহেতু সোমনাথদা স্কাল্পটার নন, ওঁর দুটো-তিনটে কাজ দেখলে জার্কিং মনে হয় ঠিকই, কিন্তু কুড়িটা কাজ একসঙ্গে দেখলে রিপিটেশন লাগে। আর উনি তো সাবজেক্টের বাইরেও যাননি। শুরু থেকে সেই জীবনের কথাই বলে গেছেন।’ ভাস্কর্যের মূল্যায়ন।
‘ছাত্ররা সব সময়েই জানত সোমনাথদা পিছনে দাঁড়িয়ে আছেন। কেউ এচিং-এর হুইলটা টানতে পারছে না, উনি পিছন থেকে ধরে টেনে দিতেন। আমার মনে হয়, শিক্ষক হিসাবে সোমনাথদার মতো এত প্রভাব আর কেউ ফেলে যেতে পারেনি।’ আদর্শ শিক্ষকের কথা।
‘প্রাচীন যুগে শয়তানকে নিয়ে যেসব কাহিনি জনপ্রিয় ছিল, তাতে আজকালকার মতো শয়তানের খুর এবং শিংওয়ালা লাল রঙের এই রূপ কল্পিত ছিল না, যে-রূপে শয়তান অগ্নিময় নরকে মৃতদের আত্মাদের শাস্তি দেয়।’ শয়তানের অন্য রূপ।
‘আমি একলা-সময় চেয়েছিলাম, বিচ্ছিন্ন হতে চাইনি। বিচ্ছিন্ন থেকে জীবনের রসদ পাওয়া যায় না। আর জীবনের রসদ না পেলে কলমের ডগায় অক্ষর এসে বসে না। জীবনের সঙ্গে অক্ষরের যে একটা গভীর যোগ রয়েছে।’ করোনাকালীন অনুভূতি।
‘কৌস্তভ চক্রবর্তীর বিশ্লেষণে এই কাহিনি— এবং টোটোদের মৌখিক ইতিহাসে এর বহুবিধ বয়ান— হয়ে ওঠে ‘ক্যুয়ার জীবন’-এর প্রতিফলন, যেখানে বিষমকামী জীবনের বাইরে বাঁচা কোনও ব্যক্তি ধারাবাহিক ভাবে কিছু সম্পর্কের ভিতর দিয়ে যেতে থাকে।’ উপকথার বিকল্প পাঠ।
‘কৃষ্ণ কেন রাধাকে বিবাহ করেননি?
পরশুরাম তাঁর মা রেণুকার মুণ্ডচ্ছেদ করেছিলেন কেন? শিব কেন নিজের ছেলের মাথা কেটে ফেলে, পরে সেই জায়গায় একটি হাতির মাথা বসিয়ে দিলেন? কেন কালী নগ্ন হয়ে নৃত্য করেন?’ ঈশ্বরের বিরুদ্ধে অভিযোগ।
‘খাঁচায় পোষা টিয়াপাখি কয়েক মিনিটের মধ্যেই ভাগ্যের হাল-হকিকত জানিয়ে দিচ্ছে— তাও মাত্র কুড়ি কি তিরিশ টাকায়!… পাখির খাঁচার একপাশে সার দিয়ে সাজানো থাকে একাধিক খাম, যার যে কোনও একটার ভেতরেই রয়েছে নিজের ভাগ্যের খবর।’ বিচিত্র ভাগ্যগণনা।
‘মাছে-ভাতে তো বটেই, বাঙালির দুধে-ভাতে থাকা নিয়েও ইতিউতি উঠে আসছে প্রশ্নচিহ্ন। কারণ বঙ্গবাসীর রান্নাঘরের দিকে তেরছা নজরে তাকানো শুরু করে দিয়েছেন ‘ভেগানিজম’-এর সমর্থকরা।’ সাম্প্রতিককালের ভেগানিজম-চর্চার নানা দিক।
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.