প্রবন্ধ

সুমনা রায় (Sumana Roy)

উত্তরবঙ্গ ডায়েরি: পর্ব ৩

‘অবনীন্দ্রনাথ এই কবিতার নাম রেখেছিলেন ‘গদ্যছন্দ’— এঁকেছিলেন দুটো ছিপছিপে কোনিফার গাছ, যার মাথায় ভেসে বেড়াচ্ছে মেঘমালা। এই ছবি আমার ভাইপোকে দেখাতে গিয়ে, শিলিগুড়ির প্রথম গ্রীষ্মের তাপেও, আমি শীত বোধ করে শিউরে উঠি।’ অবনীন্দ্রনাথের পাহাড়।

দেবদত্ত পট্টনায়েক (Devdutt Pattanaik)

সার্না, হরপ্পার বৃক্ষদেবী

‘হরপ্পা সভ্যতায় পিপুল এবং বাবলা গাছ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। গাছের থেকে দেবী আবির্ভূত হচ্ছেন, মাথায় ডালপালা, পাতা, বা কোনও কোনও ক্ষেত্রে মোষের শিং বেঁধে লোকেরা এই বৃক্ষদেবীকে বন্দনা করছে, তাঁকে নানারকম অর্ঘ্য দিচ্ছে, এ চিত্রও রয়েছে।’ হরপ্পার বৃক্ষদেবী।

অরুণাভ সিংহ

দিল্লি ডায়েরি: পর্ব ২

‘পঞ্জাব থেকে শুরু করে হরিয়ানা, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ, এমনকী আরও সুদূর প্রদেশের কৃষকরাও কাতারে কাতারে জমায়েত হলেন সরকারের নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে তাঁদের মতামত জানাতে। আন্তঃশহর সড়কে মাইলের পর মাইল ধরে তাঁদের অবস্থান।’ দিল্লির প্রতিবাদ।

ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়

গড়ে তোলো ব্যারিকেড

‘ছাত্র-আন্দোলন মগজে জল প্রদান করে, মননকে আরও দৃঢ় করে। কেউ যদি এই সাহস গুলিয়ে দিতে আসে, গণতান্ত্রিক দেশে স্বাধীন মত প্রকাশে হস্তক্ষেপ করে, তখন মনে রাখতে হবে এই বাংলা বাঁশের কেল্লার তিতুমীরের, এই ভারতবর্ষ সফদার হাশমির নাটকের।’ ছাত্রদের প্রতিবাদ।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

অঙ্কুর ও আক্রোশ

দুটো সিনেমাই আসলে প্রতিবাদের ছবি। ‘অঙ্কুর’ প্রেমের ছবি হলেও একপক্ষ কীভাবে প্রেমের সহ-জ প্রতিজ্ঞার ভার বইতে পারল না, তাই নিয়ে গল্প। অন্যদিকে, ‘আক্রোশ’ রচনা করে এমন এক টুঁটি-মোচড়ানো পরিবেশ, যেখানে সকলেই নিশ্চিত, অন্যায় প্রতিকারহীন।

অর্ক দাশ (Arka Das)

‘হম দেখেঙ্গে’

‘এদেশে ‘প্রতিবাদ’ শব্দটার সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে আছে সামাজিক, ধর্মীয় প্রথা; এখনও নিরক্ষর জনজাতি-আদিবাসী-দলিত-নিম্নবর্গের মানুষের জীবনকাহিনির একমাত্র সম্ভার রয়েছে লোকগীতির মধ্যে।’ গণসঙ্গীতে প্রতিবাদ।

সঞ্চারী মুখোপাধ্যায়

এসো তবে, মারো

‘কতটা অমানুষ হলে হিংসা আর নৃশংসতাকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যায়, সেকথা ভেবেই কেঁপে উঠেছিল বহু নারীর অন্তরাত্মা। সেইসব মেয়েদের মধ্যে ১২ জন সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে।’ নারীর প্রতিবাদ।

জয় গোস্বামী

‘চাঁদের কাস্তে’

সুভাষ মুখোপাধ্যায় থেকে শ্রীজাত। বাংলা কবিতার এই দীর্ঘ সময়পর্বে, অনেক কবির কবিতাতেই ধরা পড়েছে প্রতিবাদী চেতনার স্বর। প্রেমের কবিতার উল্টোদিকে, শ্লেষে-ব্যঙ্গে ধারালো এইসব তির্যক কবিতায় পাঠক পেয়েছেন কবির ক্রোধ ও সমবেদনা।

সঞ্চারী মুখোপাধ্যায়

সাক্ষাৎকার: পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়

‘মানুষ যখন ভেতরে ভেতরে ছটফট করে, তখন তার কাছে অনায়াসে যে-ব্যাপারটা আসে, তার ওপর ভর করেই সে প্রতিবাদের মাধ্যমটা বেছে নেয়। আমাদের মনে হয়েছিল গান সেই মাধ্যমটা হতে পারে। যা আমাদের এবং লোকের মনে সহজেই দাগ কাটতে পারে।’ প্রতিবাদের গান।

কুণাল কামরা (Kunal Kamra)

সব জাতির দরকার— রাগিয়ে দেওয়ার লোক

‘রসিকতা এমন ভাবে প্রতিবাদ আর মতানৈক্যকে হাজির করে, ক্ষমতা তার অস্তিত্বটা নিয়েই ধন্দে পড়ে যায়। ক্ষমতা নিজেকেই তখন জিজ্ঞেস করে, ‘আমি আমাকে যতখানি ভাবছি, আমি ততখানিই তো?’ আর, আমরা সকলেই জানি, ক্ষমতা প্রশ্ন ব্যাপারটাকেই ঘেন্না করে।’ কৌতুকে প্রতিবাদ।

স্যমন্তক দাস

বিক্ষোভ ও তারুণ্য

‘ক্ষমতার সামনাসামনি দাঁড়িয়ে ছাত্ররা যেভাবে সত্যের কথা বলতে পারে, সেভাবে অনেকেই পারে না, বা পারলেও চায় না। যে কোনও আন্দোলনে যে আবেগ এবং উদ্দীপনা তাদের হাত ধরে আসে, তা দেখে, যত বয়স বাড়ে তত হিংসেই হয়।’ ছাত্র-আন্দোলনের ভূমিকা।

জয়া মিত্র

আজি ঝড়ের রাতে

‘সদ্যস্বাধীন দেশের প্রাকৃতিক সম্পদভাণ্ডার, আর সেই সম্পদকে ব্যবহার করার যে বিপুল জ্ঞান ও অভ্যস্ততা এই দেশের লোকসাধারণের ছিল— সেই দুই সম্পদকে অবহেলা করে শুরু হল আমদানি করা এক অলীক ‘উন্নয়ন’ যাত্রা।’ পরিবেশ বনাম উন্নয়ন।