

সময় তাঁর কাছে হেরে ভূত
‘এই পৃথিবী বহুবার ওলট-পালট হয়েছে, বদলেছে, কিন্তু ফেডেরার থেকে গেছেন ধ্রুব, স্থির— এক রুচিমান, আশ্বাসময় প্রেরণা। তাঁকে দেখে কোনও কোনও মধ্যবয়সি নিজেকে তরুণ বলে ভাবার সাহস পান।’ রজার ফেডেরারের প্রতি মুগ্ধতা।
‘এই পৃথিবী বহুবার ওলট-পালট হয়েছে, বদলেছে, কিন্তু ফেডেরার থেকে গেছেন ধ্রুব, স্থির— এক রুচিমান, আশ্বাসময় প্রেরণা। তাঁকে দেখে কোনও কোনও মধ্যবয়সি নিজেকে তরুণ বলে ভাবার সাহস পান।’ রজার ফেডেরারের প্রতি মুগ্ধতা।
‘ভারতের সামুদ্রিক ইতিহাস নিয়ে আমরা খুব বেশি জানতে পারি না, কারণ বিগত হাজার বছর ভারতে সামুদ্রিক বাণিজ্যের কাজটা আসলে সম্পন্ন করেছেন ভিনদেশি জাতিরা। এ বিষয়ে প্রথমদিকে দাপট ছিল আরবদের।’ প্রাচীন ভারতের বাণিজ্য-কথা।
‘আমরা যে কলকাতার উপগ্রহ, কোনও রকম জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়াই নিজেরা বুঝতে পেরে গেছিলাম। যখন জেলাভিত্তিক চাকরির জন্য আবেদন করতাম, পরীক্ষা আর ইন্টারভিউ দেওয়ার জন্য সেই কলকাতায় যেতে হত।’ উত্তরবঙ্গের জীবনের কথা।
‘শান্তিনিকেতনের কীট, পতঙ্গ, গাছপালা আর ধুলোবালির ভিতর আমরা বড় হয়েছি। ঋতুর গন্ধ চিনতে পারি। বর্ষায় শামুকগুলোকে দেখে খুব কষ্ট হত। গরুদের মতো পথ জুড়ে তারাও বসে থাকে, কিন্তু পলকে সরে যেতে পারে না!’ শান্তিনিকেতনের গল্প।
‘এখানে একটা কথা বলি, পশ্চিমবঙ্গের আর্ট কিন্তু বম্বে বা দিল্লির মতো কখনওই ছিল না। আমরা আলাদা, এবং তার কারণ আমাদের ইতিহাস, যে ইতিহাস অন্য কোনও রাজ্যের সঙ্গে মেলে না।… আমাদের কাজের মধ্যে জীবনের ক্ষত, অন্ধকারের আধিপত্য…’
‘ভাষা দিবসে ফুল দিয়ে সাজানোর চল ছিল সব জায়গায়। সেই জন্য ছোটবেলায় আমরা খুব এর-ওর বাড়ি থেকে ফুল চুরি করতাম। সেই দিনটায়, ফুল চুরি করার মধ্যেও যেন একটা মহৎ ব্যাপার ছিল, মনে হত সত্যিকারের বাঙালির মতো কিছু একটা করছি।’
‘সাউথ ওয়ার্ডে একটি লাশ পড়েছিল। লাশটি ছিল শহীদ রফিকের। লাশটি দেখে আমার মনে হল, যেন আমার ভাইয়ের মৃতদেহ দেখছি।… তখন একটি কবিতার লাইন আমার মনে গুঞ্জরিত হয়। লাইনটি হল, ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো ২১শে ফেব্রুয়ারি…’ ’
‘ভাষাকে যে শুধু ভাষার তরে ভালবাসা যায়, ভালবাসলে তাকে নিয়ে আরও কত খাটা যায়, তা বুকের রক্তে বাংলা বলার অধিকার প্রতিষ্ঠা করা বাঙালি জাতি স্বয়ং ভুলে গেল।’ প্রিয় ভাষা, আর সন্তানকে সেই ভাষায় দীক্ষিত করার সংগ্রাম নিয়ে টানা-পড়েন।
‘আদতে এ তো রাস্তাঘাটের ভাষা, স্কুল-কলেজের ভাষা, আড্ডার ভাষা— যে রাস্তা, স্কুল, আড্ডাদের আমি নিজের ঘরবাড়ি বলেই চিনি। অন্য কোনও ভাষার থেকে একটি শব্দ বা শব্দবন্ধও ধার নেয়নি, এমন ‘বিশুদ্ধ বাংলা’ শেষ কবে শুনেছেন মনে করুন তো?’
‘ছেলেমেয়েদের আমি যে কথাটি কখনও বলি না… বাংলা ভাষায় কবিতা লেখা হয়তো সহজ, কিন্তু বিজ্ঞান লেখা, বেশ কঠিন! কে জানে, হয়তো এর জন্য দায়ী আমি নিজেই— আমি সবসময় সবকিছু খুব সহজ করে লিখতে চেষ্টা করি!’ বাংলায় বিজ্ঞানচর্চা।
‘সমস্ত জীবন দিয়ে তিনি যে গ্রন্থটি রচনা করেছেন তার নাম— বাংলাদেশ।… রক্তভেজা বাংলার মাটির প্রতিটি ধূলিকণা তিনি মর্মে ধারণ করেছেন,… অবিনাশী স্লোগান ‘জয় বাংলা’ তুলে দিয়েছেন জাতির কণ্ঠে।’ বঙ্গবন্ধুর পাঠাভ্যাস, রচনাশৈলী, রাজনৈতিক চেতনা।
‘আমি বাড়িতে ঢুকি। সবাই ঢুকে পড়ে। মুহূর্তে মনে পড়ে, বহুকাল আগে পড়া কাফকার ‘পেনাল কলোনি’র কথা। আমরা প্রত্যেকে যেন এক একটা গ্রেগর সামসা, লোক মানে পোক। তখন কে জানত, শ্বাসচাপা সুদীর্ঘ সময়ের এ এক শুরুয়াৎ!’ বই-উৎসবের বিপন্নতা।
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.