প্রবন্ধ

সুকন্যা দাশ (Sukanya Das)

আহারে গুজরাত

‘শাকাহারী গুজরাত নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে যে-ধারণা, তা আদতে গল্পকথা। যদিও এটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর অনেক দিনের সাধ। কিন্তু এই স্বপ্ন সফল করতে হলে তাঁকে রাজ্যের জনসংখ্যার একটা বড় অংশকে আমিষাশী থেকে নিরামিষাশীতে রূপান্তরিত করতে হবে।’ আমিষাশী গুজরাতের গল্প।

নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

শান্তিনিকেতন ডায়েরি: পর্ব ৫

‘শান্তিনিকেতনের পুরনো বাড়িগুলো তৈরি হত এমনভাবে, যেন তা বড় গাছের মাথা না ছাড়ায়। ছিল না পাঁচিল। প্রবেশ-তোরণে খোদিত ছিল ধানের শিষ। সমস্ত বাড়িঘর আর বইয়ের প্রচ্ছদের রং ছিল হাল্কা বাসন্তী। অনুষ্ঠানে রয়েছে বাটিকের উত্তরীয় পরার চল।’ শান্তিনিকেতনের রুচিবোধ।

পিয়া চক্রবর্তী

অদ্ভুতুড়ে

‘যা কিছু ধরাবাঁধা নিয়মের নোটবুকের বাইরে, তার প্রতি আমাদের একটা অস্বস্তি, একটা বিতৃষ্ণা কাজ করে। থাকে একটা নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলার প্রবণতা। এও এক রকমের ফোবিয়াই— যুক্তিসঙ্গত কোনও কারণ নেই এই ভয়ের।’ মনের অদ্ভুত ভয়।

দেবদত্ত পট্টনায়েক (Devdutt Pattanaik)

পবিত্রতারও সময়সীমা আছে

‘ভক্তের সাথে দেবতার সম্পর্ক পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে, তা কখনওই চিরস্থায়ী নয়। যজমানের আদর-যত্নে গলে যাওয়া খুব সহজ, মনে হতে পারে এ ভালবাসা বুঝি আজীবন অটুট থাকবে। আদতে তা হয় না।’ স্বার্থের ভক্তি।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

কিছু মোলাকাত

‘একদিন বুদ্ধদেব তাঁর পরিচালিত ‘লাল দরজা’ ছবিটা দেখাবার জন্যে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে গেলেন গোর্কি সদন-এ। আমি বসেছি ঠিক তাঁর সামনে। সে যে কী অস্বস্তি, এক পরিচালকের এতখানি কাছে বসে তাঁর ছবি দেখা। একবার হাই তুললে যদি উনি ক্ষুণ্ণ হন!’ বুদ্ধদেব দাশগুপ্তর স্মৃতিচারণ।

শ্যামল চক্রবর্তী

আমফান, ইয়াস এবং…

‘ধামাখালির ঘাটে পি.এইচ.ই.-র চিফ ইঞ্জিনিয়ারের বিশাল লঞ্চ ঠায় দাঁড়িয়ে। আতাপুর, মণিপুর, ছোটতুষনিয়া ও অন্য অসংখ্য গ্রামে গ্রামে পৌঁছে যাচ্ছে ছোট ট্যাঙ্কে পানীয় জল। স্কুলে, স্টর্ম সেন্টারে দু’বেলা খিচুড়ি। সকালে চিঁড়ে আর আখের গুড়।’ ইয়াস-পরবর্তী সুন্দরবন।

রাহুল বোস (Rahul Bose)

রেখে গেছেন ম্যাজিক

‘পরিচালক হিসেবে উনি কী চাইছেন, সেটা সোজাসুজি বলতেন না, ওঁর একটা অদ্ভুত ঘুরিয়ে বলার ধরন ছিল। ধীরে ধীরে আমি সেই ধরনটা বুঝতে শিখলাম, ওঁর ইঙ্গিতগুলো ধরতে পরের দিকে আর অসুবিধে হত না। ওঁর কাছে, ছবিটার প্রাণভোমরা ছিল ‘অনুভূতি’।’
বুদ্ধদেব দাশগুপ্তর স্মৃতিচারণ।

বিক্রম আয়েঙ্গার (Vikram Iyengar)

আপন হতে বাহির হয়ে

কুইয়ারাবাদের যুগ্ম প্রতিষ্ঠাতা অনাহিতা সারাভাই ও শামিনী কোঠারি তাঁদের অণুপত্রিকা ‘টিল্ট’এ বলেছেন, ‘কুইয়ারাবাদ হল এক অন্য পৃথিবী ও জীবনচর্চায় ঢোকার প্রবেশ পথ, যা সোজা নয় বরং ট্যাঁড়াব্যাঁকা।’ এলজিবিটি গোষ্ঠীর কথা

খান রুহুল রুবেল

ঢাকা ডায়েরি: পর্ব ৪

‘ভোরবেলা অগত্যা উঠে বের হয়ে গেলাম। সকালবেলার মোহাম্মদপুর ফাঁকা আর বাতাসময়। টাউন হলের দিকে যাবার পথে-পথে সবুজ পুলিশ আর সবুজ সবজির পসরা। এই ভোরবেলা পুলিশ এসে সবজিবাজার তুলে দিচ্ছে।’ ভোরবেলার ঢাকা ভ্রমণ।

শুভঙ্কর দে

নোনা জলের রাগ

‘সমুদ্রপাড়ে আমাদের একটা হোটেল আছে। এসে দেখি, হোটেলের মধ্যে যেন একটা ঝড় বয়ে গেছে। বেসমেন্টে রেস্টুরেন্ট। সেখানে যেন একটা ছোট সমুদ্র। প্রায় দশ ফুট সিলিং ছুঁয়ে থাকা শান্ত সমুদ্র। সমুদ্রের পাশ দিয়ে এক নতুন রাস্তা তৈরি হয়েছিল। সেই রাস্তা ‘ইয়াস’ কেড়ে নিয়েছে।’ দীঘায় ইয়াস-এর তাণ্ডব।

ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়

মুখঋত: পর্ব ৭

বোর্ড পরীক্ষার্থীরা একটি দীর্ঘ সময় ধরে নানা শিক্ষক-প্রতিষ্ঠান-শিক্ষাদানের ছোঁয়া পেয়েছে। স্কুল-জীবনের শেষের দিকে এই বদল একটি শূন্যতা তৈরি করে দিল ওদের মধ্যে। ফিনিশিং লাইনই থাকল না।

অদীপ দত্ত (Adip Dutta)

গন্ধর্বের খোঁজে

‘বস্তুর দিক থেকে, এই দুই বিশালাকার ফিগার রামকিঙ্করের পূর্ববর্তী কাজের চেয়ে একেবারেই আলাদা। রামকিঙ্কর এতদিন কাজ করেছেন কংক্রিটে, কিন্তু এই দুটি কাজ ছিল পাথরের। আঙ্গিকের দিক থেকে না হলেও, বস্তু এবং তার গাত্রত্বক-এর বিন্যাসে কাজদুটি রামকিঙ্করের বাকি ভাস্কর্যের তুলনায় দৃশ্যত পৃথক হয়ে উঠেছিল।’ রামকিঙ্করের ‘যক্ষ-যক্ষী’।