প্রবন্ধ

খান রুহুল রুবেল

ঢাকা ডায়েরি: পর্ব ১৪

চারশো বছরের বাজার পাল্টেছে কালের নিয়মে, তবে মূল চরিত্র বদলায়নি। এখনও এটি সর্বজনের সহায়, চকবাজার কাউকে ফেরায় না। প্রসাধনী, রাসায়নিক দ্রব্যাদি, চিকিৎসাপণ্য, কাপড়, প্লাস্টিক দ্রব্য, বেকারিপণ্য, অলংকারসামগ্রী, খেলনাপাতির পাইকারি বাজার আর এসবের খণ্ডাংশ হিসেবে বহু খুচরো দোকানের সমাহার। কিন্তু এত কিছুর পরও চকবাজারের নাম শুনলেই ঢাকাবাসীর মনে আসে দুটো কথা— কাবাব, ইফতার আর রঙিন পুঁতির দেশ। ঢাকার চকবাজারের ইফতার।

পৃথিবীর সেরা দশটি পৌরাণিক কাহিনি: পর্ব ২

‘আদম এবং ইভ ঈশ্বরের হুকুম মেনে চলত, তবে শয়তান একদিন সাপের রূপ ধরে এসে ইভকে ভুল বুঝিয়ে ফলে একটি কামড় বসাতে বাধ্য করল। এরপর ইভও আদমকে বাধ্য করলেন ফলটি খেতে। ফল খাবার পরে অকস্মাৎ দুজনের নিষ্পাপ চরিত্র উধাও হয়ে গেল। তাঁরা প্রথমবার নিজেদের নগ্নতা দেখে লজ্জা পেলেন এবং চেষ্টা করলেন নিজেদের শরীর পোশাক দিয়ে ঢাকার। ঈশ্বর তাঁর সৃষ্টিদের এই অবাধ্যতায় বড় হতাশ হলেন এবং এই প্রথম পাপ, এই প্রথম অবাধ্যতার অপরাধে তাঁদের ইডেন উদ্যান থেকে বহিষ্কার করলেন।’

গ্র্যামি, রাজনীতি, ধন্যবাদজ্ঞাপন

গ্র্যামি-বিজয়ী ‘ভারতীয়’ শিল্পীরা তাঁদের পুরস্কার গ্রহণের ভাষণে ভারতীয় ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে, দেশ-দর্শনে ত্যাগ-তিতিক্ষা-সহিষ্ণুতার কথা বললেন, কিন্তু সুকঠিন বাস্তবের কোনো প্রসঙ্গ তুললেন না। আর তাই প্রশ্নগুলো রয়েই গেল— এই অন্তর্ভুক্তি, এবং প্রধানমন্ত্রী-অভিবাদিত এই গ্র্যামি, ঠিক কোন ভারতের?

পৃথ্বী বসু

উপেক্ষিত বাঙালি, স্বশিক্ষিত মন

‘সাধারণ মানুষের মধ্যে ভিন্নধর্মের প্রতি আগ্রহ তৈরি করার কারণে নববিধান ব্রাহ্মসমাজের পক্ষ থেকে যখন অন্যান্য ধর্মশাস্ত্রের পাশাপাশি ইসলামি ধর্মশাস্ত্র ও মুসলমান ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের জীবনচরিত অনুবাদ করে প্রচারের উদ্যোগ নেওয়া হয়, সেই ভারও এসে পড়ে গিরিশচন্দ্রের ওপরে।’ গিরিশচন্দ্র সেনের অনুবাদ।

পৃথিবীর সেরা দশটি পৌরাণিক কাহিনি

একটি পৌরাণিক গল্পর অনুগামীরা যে তাঁদের সত্যটিকেই ধ্রুব সত্য বলে বিশ্বাস করেন, সে-কথা অবশ্য অনস্বীকার্য। বহিরাগতদের তাঁদের সাথে মতান্তর ঘটে। এই মতান্তর থেকেই জন্ম নেয় যত গোষ্ঠীগত, ধর্মীয় বা রাষ্ট্রীয়-রাজনৈতিক সংঘর্ষ, যুদ্ধবিগ্রহ। আমরা বরং পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দশটি পৌরাণিক গল্প নিয়ে তুলনা করে দেখি, কীভাবে বিভিন্ন সমাজের মানুষ এই পৃথিবীর স্বরূপ চেনার চেষ্টা করেছেন।

সুমনা রায় (Sumana Roy)

উত্তরবঙ্গ ডায়রি: পর্ব ১৪

গত শীতে যখন আবার এই জায়গাটা পার করি, কাঠাম স্যারের কথা মনে হয়— এই জায়গা, যা ছিল তাঁর পূর্বপুরুষের, যা দিয়েছে তাঁকে তাঁর পদবি, তাঁর পরিচয়, যেখান থেকে তিনি প্রথম পৃথিবী দেখতে শুরু করেছিলেন, যেখান থেকে পৃথিবীর নানা কোণের সঙ্গে তাঁর সংযোগের সূত্রপাত। মানুষ দিয়ে জায়গা চেনার অ্যাডভেঞ্চার।

রূপক বর্ধন রায়

গণবিজ্ঞানের পুনরাবর্তন?

‘জেনেটিক ভ্যাক্সিনের মতোই মোড় ঘোরাল কোভিড। বিজ্ঞানীরা দেখলেন দ্রুত কোভিড পরিস্থিতি সামাল দিতে হলে যে-পরিমাণে ডেটা বা তথ্য বিশ্লেষণ প্রয়োজন, তাতে সংস্পর্শ সম্পর্কিত সংক্রমণের সম্ভাবনা এড়িয়ে সে-কাজ করতে হলে ওয়্যারেবল প্রযুক্তির ব্যবহারই একমাত্র উপায়।’ কোভিড ও বিজ্ঞান।

লোপা ঘোষ

আইটেম নম্বর হইতে সাবধান

বলিউডের কোটি ডলারের কাহিনিগুলো মহিলাদের জন্য এক ভয়ঙ্কর দুনিয়ার জন্ম দিচ্ছে। এতে নারীবিদ্বেষ এবং লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্যকে সাংগঠনিক ভাবে মান্যতা দেওয়া হয়, মহিলাদের এবং মেয়েদের উপর নির্যাতনের সামাজিক রীতিকে পুষ্টি জোগানোয় এর ভূমিকা অনস্বীকার্য। বলিউড আইটেম নম্বর সমাজের মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক।

নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

শান্তিনিকেতন ডায়েরি: পর্ব ১৩

‘রবীন্দ্রনাথের জীবনযাপন এবং তাঁর আদর্শ দুই ভিন্ন পথে হেঁটে যায়নি। তিনি নিজে যা বিশ্বাস করতেন, জীবন এবং অভ্যাসকে তিনি সেই পথে প্রবাহিত করবার চেষ্টা করতেন। সারাজীবন সহযোগের আদর্শে দীক্ষিত মানুষের সঙ্গে বিশ্বপ্রকৃতির মিলনক্ষেত্র হিসেবে তিনি পৃথিবীকে কল্পনা করে এসেছিলেন। এই একের সঙ্গে অপরকে মিলিয়ে দেওয়ার কাজে উৎসবের যে একটা বড় ভূমিকা রয়েছে, তা তিনি বিশ্বাস করেছিলেন।’ শান্তিনিকেতনের উৎসব।

সৈকত ভট্টাচার্য

ধাঁধিয়ে যাওয়া ধাঁধা

‘যদি সুদোকু খেলার নেশা থাকে, তাহলে এই ধাঁধার মানে বোঝা সহজ হবে। সুদোকুতে যেমন প্রতি সারিতে একই সংখ্যা দু’বার আসা না-মুমকিন, তেমনি এই বর্গক্ষেত্রের বেলাতেও। আপাত ভাবে এই ধাঁধাকে রোববারের খবরের কাগজের ব্রেন-টুইস্টারের থেকে আলাদা কিছু মনে হয় না। কিন্তু অয়লার অনেক কাঠখড় পুড়িয়েও নিজের ধাঁধায় নিজেই ধাঁধিয়ে গেলেন।’ আড়াইশো বছর পর লিওনার্ড অয়লার-এর ধাঁধার সমাধান।

সর্বজিৎ মিত্র

অন্য বইমেলা

১৯৭৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আয়োজিত এই বিশেষ বইমেলা ও প্রদর্শনীর আনুষ্ঠানিক সূচনা করেছিলেন স্বয়ং সত্যজিৎ রায়, বিশ্বভারতীর স্টল থেকে তাঁরই এক সময়ের শিক্ষক বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায় রচিত ‘শিল্পশিক্ষা’ বইটি কিনে। সে-বছর গিল্ড আয়োজিত বইমেলার কয়েকদিন পরেই এই বিশেষ প্রদর্শনীর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল এক ঐতিহাসিক ঘটনাকে স্মরণ করে – ১৭৭৮-এ প্রকাশিত প্রথম ছাপা বাংলা বইয়ের দ্বিশতবার্ষিকীকে।

খান রুহুল রুবেল

ঢাকা ডায়েরি: পর্ব ১৩

‘আমার দেখা মেলার ১৮ বছরও কম নয়। প্রথম যখন অমর একুশে গ্রন্থমেলায় আসি, তখন মেলা হত শুধু বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে। মাত্র একটা প্রবেশ পথ, বেরোবার একটা পথ। মেলায় ঢোকা— সেটা যদি শুক্র শনিবার বা অন্য ছুটির দিন হত— তাহলে সে এক মহাপ্রস্থানের পথ। প্রায় দেড়’দুই কিমি লাইন, সেই শাহবাগ মোড় থেকে শামুকের মতো ঠেলে-ঠেলে মেলায় ঢোকার অভিজ্ঞতা, তখনকার লোকেরা জানেন। ‘