

বাস্তব ও লোকায়ত
“যখন রতন থিয়াম ‘ম্যাকবেথ’ প্রযোজনা করছেন, তখন কিন্তু তিনি ম্যাকবেথকে ইউরোপীয় আঙ্গিক থেকে দেখতে চাননি। ম্যাকবেথকে তিনি তাঁর আঞ্চলিকতার ভাষায় রূপায়িত করতে চেয়েছেন।”
“যখন রতন থিয়াম ‘ম্যাকবেথ’ প্রযোজনা করছেন, তখন কিন্তু তিনি ম্যাকবেথকে ইউরোপীয় আঙ্গিক থেকে দেখতে চাননি। ম্যাকবেথকে তিনি তাঁর আঞ্চলিকতার ভাষায় রূপায়িত করতে চেয়েছেন।”
‘গত ২৭ মার্চ ২০২৪, বিশ্ব নাট্য দিবসের বার্তায় রতন থিয়াম বলেন— সীমান্তের কাঁটাতার পার করে গোটা পৃথিবী এক হোক। আমরা থিয়েটার করি সংবেদনশীলতার প্রসারে।’
‘আসলে তাঁর থিয়েটারের ‘ভারতীয়তা’ অনেক গভীরে নিহিত, যার কথা সেদিন তিনি বলতে চেয়েছিলেন। বলেছিলেন, আঞ্চলিকতার বৈশিষ্ট্যকে অক্ষুণ্ণ রেখে সার্বিকভাবে তিনি ভারতীয় করে তুলতে চান তাঁর থিয়েটারকে, যেখানে প্রাচ্যের থিয়েটারের ভাষাও অঙ্গীকৃত হয়ে যায়।’
‘লোকটা আসলে ম্যাভেরিক ইন নেচার; যদি খুব সহজে সাফল্য এসে যায়, তখন বোধহয় ওখানে উনি ক্লান্ত বোধ করেন। এবং সেখানে থেমে থাকতে চান না। এধরনের মানুষরা নিজেই নিজেদের ক্রাইসিস তৈরি করেন এবং নিজেরাই সেগুলো সল্ভ করার চেষ্টা করেন।’
‘সত্যি অর্থে আয়নায় মুখ দেখলে বাঙালির জাতিসত্তায় যা উঠে আসে, তা হল বুদ্ধিমত্তার আত্মাভিমান। সত্যির অহংকার যদি সত্যির থেকে বড় হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে আসল সত্যি ভস্মীভূত হয়।’
‘পান্নালাল ঘোষ সেই সমস্যাটাকে কিছুটা অতিক্রম করেন। বাঁশির গঠনকে আরও উন্নত করে তোলেন। ওঁর তৈরি বাঁশি ক্রোমাটিক স্কেলটাকে আরও ভালভাবে ধরতে পারত। ক্রোমাটিক স্কেল মানে, যেখানে শুদ্ধ, কোমল ইত্যাদি স্বরগুলি।’
‘সিনেমা ও উপন্যাস মিলিয়ে আমরা দু’রকমের কারণে ‘বাড়ি থেকে পালিয়ে’ আসা দেখতে পাব; আপাতভাবে দুটো আলাদা হলেও, শেষপর্যন্ত দুই-ই গিয়ে দাঁড়ায় ছেড়ে আসার যন্ত্রনায়, যার মূলে রয়েছে ভয়, আতঙ্ক।’
‘অন্ধকারের গান বাঁধলেও মানুষ হিসেবে কিন্ত ভারী মিষ্টি ছিলেন অজি। পুরোটাই উনি করেছেন সুন্দর রসবোধের মাধ্যমে, মজার সঙ্গে। এটাই ভীষণ অনুপ্রেরণা দেয় আমাকে। ‘Changes’, ‘Dreamer’, ‘Mama I’m coming home’-এর মতো গান ওঁর ভীষণ সংবেদনশীল একটা দিককে সামনে আনে।’
‘বাংলা সিনেমার ইতিহাসে না-হওয়া ছবি, ইন্ডাস্ট্রির মনের ছবি দেখায়। একেকজন পরিচালকের ভাবনার ইতিহাসটা দেখিয়ে দেয়। উত্তমকুমারকে নানা কাহিনির নানা চরিত্রে অভিনয় করানোর এই ভাবনাগুলো মহানায়কের অভিনয়-ইতিহাসে নানা সম্ভাবনার জন্ম দিয়েছিল।’
‘কাকে বলতে পারি ‘বিশ্বস্ত গাইড’? ১৯০১ সালে ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠার সময় থেকে শুরু করলে রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতনের ইতিহাস ১২৬ বছরের। আমাদের জিজ্ঞাসা, যিনি ‘বিশ্বস্ত গাইড’, তাঁর এই সুদীর্ঘ ইতিহাসের নানাবিধ উল্লেখযোগ্য তথ্যাদি সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকবে তো?’
পারিবারিক জটিলতা বা ব্যক্তিগত শোক লক্ষ্মী সেহগলকে আটকে রাখতে পারেনি, সুদূর সিঙ্গাপুরে গিয়ে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়া থেকে। তাঁর জন্মদিনে বিশেষ নিবন্ধ।
‘৭২ বছর বেঁচে ছিলেন ত্রৈলোক্যনাথ। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত যদিও তখন অসুস্থ ও ক্লান্ত, কাজে কোনও কমতি ছিল না। যদি কোনওদিন তাঁর সম্পূর্ণ কাজের হদিশ মেলে, আর সেই কাজের যদি কোনও সটীক তুলনামূলক পঞ্জি সম্ভব হয়, তাহলে দেখতে পাব তাঁর কাজের বহর ও বৈচিত্র্য কী প্রশস্ত; আজও যা বিস্ময়ের।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.