অসুর পরাস্ত হোক
ইদানীংকালে যে-বিষয়টাকে আমি সবচেয়ে বেশি ভয় পাই, সেটা হল মানুষের মধ্যেকার অসহিষ্ণু মনোভাব। কাকে পরাস্ত করতে চাই, যদি কেউ আমার কাছে জানতে চান, তাহলেও আমি এই বিষয়টার কথাই বলব।
ইদানীংকালে যে-বিষয়টাকে আমি সবচেয়ে বেশি ভয় পাই, সেটা হল মানুষের মধ্যেকার অসহিষ্ণু মনোভাব। কাকে পরাস্ত করতে চাই, যদি কেউ আমার কাছে জানতে চান, তাহলেও আমি এই বিষয়টার কথাই বলব।
এখন একটি আছে বটে আমার জীবনে। তার নাম চিন্তাসুর। তিনি আমার জীবনে তীব্রভাবে প্রবেশ করেছেন আমার মেয়ে সানা যবে থেকে লন্ডনে পড়তে গেছে। আমি যখন ওর থেকে দূরে থাকি, তখন সব সময় একট চিন্তা মাথার পেছনে চলতেই থাকে।
আমার আসলে নিজেকে অসুর ভাবতে খুব ভাল লাগে। দুর্গা বরং আমার কাছে একটা উৎস, কিন্তু অসুর হচ্ছে আসল। আমার মধ্যে অসুরের বোধ আছে, এবং সেটা আছে বলেই হয়তো আমি ক্রমাগত সেখান থেকে দেবত্বের দিকে চলার একটা প্রক্রিয়ায় থেকে যেতে পারি।
শতাব্দী-প্রাচীন দেশজ নন্দনবোধের সঙ্গে বাংলার লোকশিল্পের মেলবন্ধনে যে সুচারু প্রকাশ বেঙ্গল স্কুলের গোড়ার দিকে দেখা যায়, তা আজও বহমান, দুর্গাপুজোর মণ্ডপ এবং প্রতিমায়।
সাম্প্রতিককালে এই বাংলাতেই নিজ-নিজ ক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত চারজনের একটি দল ইচ্ছেমতো কমিক্সকে ঢেলে সাজাতে নানা রকম উদ্যোগ নিতে শুরু করে। তারই এক উজ্জ্বল নিদর্শন পেঙ্গুইন বুক্স থেকে প্রকাশিত সম্পূর্ণ মুক্তমনা কমিক্সের একটি সংকলন ‘লংফর্ম ২০২২’।
‘দুই জাতির পরস্পরের প্রতি ঘৃণা কোনও নতুন বিষয় ছিল না। নতুন যা ঘটল, তা হল ‘রায়ট’। হারিয়ে গেল বাঙালি, তৈরি হল নতুন দুটো জাতি। তারপর স্বাধীনতা এল। চিন্তাহরণ মুখোপাধ্যায় ও সম্প্রদায় গান বাঁধলেন।’ সংকটের গান।
‘শুধু ১৯৪৭ সালের দেশভাগ নয়, এই মিউজিয়ামে ধরা থাকবে তার আগের-পরের নানান ঐতিহাসিক ঘটনার ইতিহাস, যা দেশভাগের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে সম্পর্কিত। ধরা থাকবে দণ্ডকারণ্য, মরিচঝাঁপির কথাও।’ ব্যতিক্রমী মিউজয়াম।
যমজ ভাই বা বোনেরা নাহয় একই বাপ-মায়ের সন্তান। একই সাথে মাতৃজঠরে জিন ভাগাভাগি করে ভ্রূণ থেকে পরিণত হয়ে ওঠা। কিন্তু দুজন নিঃসম্পর্কিত মানুষ? তাদের কি কাকতালীয় ভাবে ডিএনএ-র গঠন মিলে গেছে? তার ফলেই এমন একে অন্যের ফোটোকপি হয়ে যাওয়া?
বাইবেল অনুমান করে যে ঈশ্বর, সমস্ত প্রাণী এবং গাছপালা এবং মানুষ সহ পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। তিনি আশা করেছিলেন মানুষ কিছু নিয়ম মেনে বাঁচবে। কিন্তু, মানুষ সেই নিয়ম ভেঙেছে। ফলস্বরূপ, মানুষকে স্বর্গ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। মানব ইতিহাস তখন আদি স্বর্গ বা স্বর্গে ফিরে যাওয়ার এই অনুসন্ধানে পরিণত হয়।
‘আর মাত্র তিন সপ্তাহ পরেই দেবীর মর্তে আগমন। বছরের এই পাঁচ দিন শহরের আনাচে-কানাচে যে সমসাময়িক শিল্পের নিদর্শন দেখা যায়, তা তুলনাহীন। যে শিল্পীরা অক্লান্ত পরিশ্রমে শূন্য থেকে একটি মণ্ডপকে তার সম্পূর্ণ রূপ দিচ্ছেন, তাঁদের সঙ্গে কিছু সময় কাটালো ডাকবাংলা, ঘুরে দেখা হল কিছু অসামান্য শিল্পকীর্তি, যা ক্ষণস্থায়ী, সপ্তাহান্তে আবার শূন্যে আবর্তিত।
‘সুনীলের কবিতা আত্মজৈবনিক, স্বীকারোক্তিমূলক। এখানেও আমি, সুনীল, নিখিলেশ— এইসব নানা রূপে উত্তমপুরুষ জটিল সব নকশা নিয়ে আবির্ভূত। কিন্তু, তাকে কবিতায় সাজিয়ে তোলার সাবলীল ক্ষমতা এবং বিশেষত সাহস, আবার বলি ঈর্ষণীয়।’ ফিরে পড়া বই।
‘শরীরের প্রয়োজনেই প্রাত্যহিক যাকে ত্যাগ করতে হয়, তাকেও কীভাবে আপন করে নেওয়া যায়, কানে-কানে সেই হিসিডাক শোনায় এই কিতাবদ্বয়। যেখানে তথ্য আছে, তথ্যের ভার নেই— দুইয়ে মিলে যেন টিপ করে পাঠকমনের দেওয়াল।’ পাঠ-অভিজ্ঞতা।
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.