প্রবন্ধ

মধুজা বন্দ্যোপাধ্যায়

কোরিয়া পারল কী করিয়া

‘সাহস আর বিশ্বাসই কোরিয়ান কন্টেন্টকে সারা পৃথিবীর কন্টেন্ট-দুনিয়ায় একটা আলাদা জায়গা করে দিয়েছে। কোরিয়ানরা যখন তাদের রীতিনীতি, পরিবার, রান্না দেখায়— তা অন্য দেশের লোক বুঝবে কি বুঝবে না তার তোয়াক্কা করে না। আর সেটাই দর্শকদের ভাল লাগে।’

জয়া মিত্র

মহাভারথের বালা হিম্মত

‘এই ভীল ভারথ-এ কারো কোনও জন্মকথায় কোনও রহস্য নেই— কুন্তী, গান্ধারী, যথাক্রমে কুতরমা ও গতরমা, পাণ্ডবরা, দ্রৌপদী অর্থাৎ ধোঁফা— কারো নয়। ঈষৎ প্রচ্ছন্ন জন্মবৃত্তান্ত কেবল দুজনের— কর্ণ আর বালা।’ মহাভারতের অন্য পাঠ।

অর্ক দাশ (Arka Das)

নবরূপে ভারতীয়তার প্রকাশ

ভারতের স্বাধীনতা লাভের ৭৫ বছর পূর্তির উদ্‌যাপন উপলক্ষে, সৌম্যজিৎ-সৌরেন্দ্রর রূপায়িত ভারতের জাতীয় সংগীতের এই বিবর্ধিত সংস্করণটি বোনা হয়েছে গোটা দেশের ৭৫ জন শিল্পীকে নিয়ে। কথোপকথনে কলকাতা জুটি।

সঞ্চারী মুখোপাধ্যায়

আশ্চর্য ছটফটানি ছিল

যখন বিউগল বেজে উঠল রাত বারোটায়, কী যেন একটা হল চারপাশে। কেউ কেউ আনন্দে আত্মহারা হয়ে গেল, কেউ কারও কোলে চেপে পড়ল, কেউ সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ছোট বাচ্চাকে কোলে তুলে নিয়ে হাওয়ায় ছুঁড়তে লাগল আর কেউ কেউ এমন কান্নায় ভেঙে পড়ল যে মনে হল, তার হৃৎপিণ্ড কেউ উপড়ে নিয়েছে। সে যেন শেষবারের মতো কাঁদছে, আর কোনও দিন চোখের জন সে ফেলবে না। কেমন ছিল সেই দিনের অভিজ্ঞতা!

সঞ্চারী মুখোপাধ্যায়

মধ্যরাতের ভোর

এনসিপিএ-মুম্বই ১৪ অগস্ট রাত ১০টা থেকে আয়োজন করেছিল এক সঙ্গীতসন্ধ্যার—ডন অ্যাট দ্য মিডনাইট। যে সন্ধ্যায় ভারতীয় রাগসঙ্গীতের সঙ্গে পাশ্চাত্যের সঙ্গীতের আশ্চর্য মিশ্রণে শান্তনু মৈত্র তৈরি করেছিলেন এক মায়াবী সঙ্গীতআবহ। আর তাতে ফোঁটা ফোঁটা করে অমৃত যোগ করেছিলেন গুলজারজী। রাত পৌনে বারোটায় দর্শকরা স্বতস্ফূর্ত ভাবে গেয়ে উঠলেন ‘বন্দেমাতরম’। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্ণ হয়ে উঠল কানায় কানায়।

শ্রুতি কল্যাণী (Shruti Kalyani)

বইঠেক: পর্ব ২

‘একটি নির্দিষ্ট রেফারেন্স বই বা পাঠ্যবই— যা কোথাও পাওয়া যাবে না, শুধুমাত্র হিগিনবথামস-এ পাওয়া যাবে। আমরা সকলেই বিশ্বাস করতাম : যদি একটা বই কোথাও খুঁজে না পাওয়া যায়, হিগিনবথামস-এ খোঁজো, আর যদি সেখানে না পাওয়া যায়, পৃথিবীর অন্য কোথাও খুঁজে লাভ নেই।’ বইয়ের ম্যাজিক।

রাস্‌কিন বন্ড (Ruskin Bond)

গঙ্গা বয়ে যায়

‘সেই শীতে যখন আমি দেরাদুনে বাড়ি এলাম, তখন চরম সংকটের সময়টা কেটে গিয়েছে। আমার বয়স ১৩, ব্রিটিশ এবং অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান বাবা-মায়ের সন্তান, যার জন্ম ভারতে। কেউ কখনও আমাকে হেনস্থা করেনি, না দিল্লিতে, না দেরাদুনে। সেই সময় একদিন আমি আমাদের বিস্তৃত ময়দান পেরিয়ে একটি সিনেমা হল-এ ঢুকেছিলাম ছবি দেখতে। ছবিটির নাম ছিল ‘ব্লসমস ইন দ্য ডাস্ট’।’

শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়

আনন্দযজ্ঞের বাইরে, একা

‘সেদিন যেন শহরটায় কোনও আইনকানুন ছিল না। এই উৎসব এমনই ছেঁয়াচে যে, কিছুক্ষণ আমিও বিহ্বল হয়ে রাস্তায়-রাস্তায় ঘুরে বেড়ালাম। কিন্তু ওই আনন্দযজ্ঞে আমার কোনও নিমন্ত্রণ আছে বলে মনে হচ্ছিল না। সেদিন আমার কোনও বন্ধুর সঙ্গে দেখাও হয়নি। পাড়ার যারা ছিল, তারাও যে কে কোথায় গিয়েছিল জানি না! এত একা লেগেছিল সেদিন!’

অদিতি মুখোপাধ্যায়

ঠাকুমাই ছিলেন সুপারস্টার

গোটা দেশের মানুষের কাছে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের কথা এত শুনেছি যে তিনি আমার মনে জ্বলজ্বল করছেন। তবে দাদুর চেয়ে আমার ঠাকুমা বাসন্তী দেবী ছিলেন আমাদের ক্ষেত্রে প্রভাবশালী। আমি ঠাকুমার সঙ্গে হরিপুরা কংগ্রেস, ত্রিপুরী কংগ্রেস অধিবেশনে গিয়েছি। আন্দোলনের স্মৃতি।

সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়

ব্লাউজ দিয়ে জাতীয় পতাকা

‘সকালে উঠে দেখলাম চারিদিকে কাগজের পতাকা পতপত করে উড়ছে। তিনকোনা পতাকা। রাস্তার ওপরদিকে তাকালে আকাশ দেখা যাচ্ছে না। তখন তো এত মাইকের চল ছিল না! আশেপাশে অনেক ক্লাবের ব্যান্ড বাজতে শুরু করেছিল।’ স্বাধীন সকাল।

চিত্রা সেন

সেদিন মুসলমান পাড়ায় গিয়েছিলাম

‘আমরা প্রত্যেকে ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে হাতের কড়ে আঙুলে সেফটিপিন ফুটিয়ে এক ফোঁটা রক্ত বের করে, সেই রক্ত দিয়ে গান্ধীজির ছবিতে টিপ পরাতাম। মনে হত সক্রিয়ভাবে না হলেও, আমিও যেন তাঁদের আন্দোলনের শরিক হতে পারলাম।’ আত্মত্যাগের দেশপ্রেম।

মালবিকা ব্যানার্জি (Malavika Banerjee)

সেরা সময়টা আসছে

ক্ষণজন্মা তিনি। ১৯৪৭-এর মধ্যরাতের শিশুও বলা যেতে পারে। বুদ্ধিতে তীক্ষ্ণ, রূপে স্নিগ্ধ, গ্ল্যামারে অনন্য। জীবনের ৭৫ বছরে সঞ্চয় করেছেন আশ্চর্য সব অভিজ্ঞতা। আশা রাখেন তরুণদের প্রতি যারা আনবে ভারতের সেরা সময়।