

ছায়াবাজি : পর্ব ৩৫
‘মূল ছবি জুড়ে শুধু একটা বাড়ি আর একজোড়া নর-নারী, এবং বাইরের বিশ্বের প্রতিনিধি হয়ে তাদের নিরিবিলি পরিসরে হানা দিচ্ছে অন্য লোকটা। যেন একটা রিক্ত প্রান্তরে আদম আর ইভ এবং একটা অবাঞ্ছিত সাপ।’
‘মূল ছবি জুড়ে শুধু একটা বাড়ি আর একজোড়া নর-নারী, এবং বাইরের বিশ্বের প্রতিনিধি হয়ে তাদের নিরিবিলি পরিসরে হানা দিচ্ছে অন্য লোকটা। যেন একটা রিক্ত প্রান্তরে আদম আর ইভ এবং একটা অবাঞ্ছিত সাপ।’
‘এক চিনা ‘বিপ্লবী’ বলেছিলেন, বিপ্লব সূচিকর্ম বা ভোজসভা নয়৷ কথাটা সত্যি, তবে প্রতিবিপ্লবও ঠিক তাই। বড়সড় গণঅভ্যুত্থানের পর সমাজে আলো ও অন্ধকারের শক্তিরা নেমে পড়ে জমি দখলের যুদ্ধে।’
‘লতা মঙ্গেশকর মহোদয়া একটি ঋণস্বীকার অনুষ্ঠানে পঙ্কজ মল্লিকের গাওয়া একটি গান পুনরায় রেকর্ড করার আগে বলেছিলেন যে, আমাদের দেশে পাশ্চাত্য সংগীতের প্রভাব যিনি প্রথম এনেছেন এবং বরণ করে নিয়েছেন, তিনি পঙ্কজকুমার মল্লিক…’
‘সাগরদাকে দেখলে ভারি গম্ভীর লোক বলে মনে হত: সারাদিন পড়ছেন, ভাবছেন। কিন্তু মিশলে বোঝা যেত, তিনি ততটাও ভারিক্কি মেজাজের নন। আমি যে তাঁর সঙ্গে খুব আড্ডা দিয়েছি তা নয়, কিন্তু তিনি আমাকে খুব স্নেহ করতেন।’
‘প্রাগের বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে প্লুটোকে বাদ দেওয়াতে ভারতীয় প্রাচীন বৈজ্ঞানিক আর্যভট্টের মতকেই সমর্থন করা হয়েছে। এমন কথাও ওঁরা বলেছিলেন যে, ১৯৩০ সালে যখন প্লুটোকে গ্রহের মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল তখন নাকি সারা বিশ্বে ব্যাপক সংকট তৈরি হয়েছিল।’
‘তুলসীদাস বলরাম এতটাই কমপ্লিট ফুটবলার যে, গোলরক্ষক থেকে সেন্টার ফরওয়ার্ড— দলের প্রয়োজনে সব পজিশনেই তাঁকে খেলতে হয়েছে। বল–স্কিল অতুলনীয়। আবার আক্রমণেও ক্ষুরধার।’
‘সাক্ষাৎকার পর্ব শেষ হতে প্লেন ধরার তাড়ার মাঝেই নিপাট মধ্যবিত্ত ভদ্রলোকের মতো অনুরোধ করলেন ভিভ, ‘কত দূরের দেশ থেকে এসেছ তোমরা। মাই ফেভারিট প্লেস অন আর্থ, ইন্ডিয়া। প্লিজ বাড়িতে যেও।… ’
‘আল মাহমুদকে আমি দেখি সিউড়িতে, মাস্টারমশাই কবিরুল ইসলামের বাড়িতে। সাদা পাজামা-পাঞ্জাবি। ব্যাকব্রাশ চুল। ছিমছাম চেহারা। তার ক-বছর পরই যেন সন্দীপন চট্টোপাধ্যায় মিনিবুক সিরিজে প্রকাশ করেন আল মাহমুদের ‘সোনালি কাবিন’ আর হইহই পড়ে যায় কলকাতায়।’
‘মহামূল্যবান অস্ত্রটি ছুড়ে মারার পর নিরঞ্জন আবার সেটি ফেরত চাওয়ার জন্য ধেয়ে যেত। এ-কথা সকলেরই জানা ছিল। তাই নিরঞ্জন পাগলা বিড়ি ছুড়ে মারলে ক্রিকেটের লোপ্পা ক্যাচের মতো লুফে নেওয়াই ছিল পাড়ার ছেলেদের দস্তুর।’
‘প্রতুলদার গানের ধারাটা একেবারেই অনন্য। যন্ত্রাণুষঙ্গের হইচই ছাড়াও যে অমন মাতিয়ে দেওয়া গান হতে পারে, তা প্রতুলদাই দেখিয়ে দিয়েছিলেন।’
‘দোকান খোলা থাকত দুপুর বারোটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত। জমে যেত শনি-রবিবার। আড্ডা-আলোচনা-তর্কবিতর্কের সঙ্গে থাকত গান।’
‘শিল্পে, অথবা আমাদের অভিজ্ঞতা ও নির্জ্ঞানে, বারবার পালটে গেছে চুম্বনের প্রেক্ষিত, চুম্বনের পাঠ— মৃত্যু থেকে পুনর্জীবনে; প্রেম থেকে কামে; আসক্তি থেকে বিচ্ছেদে; আনুগত্য থেকে বিরোধিতার বহুমাত্রিকতায় ব্যক্ত হয়েছে তার ভাব।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.