

‘দীপ জ্বেলে যাই’
‘এঁরা তাঁরা, যাঁদের কোভিডে ঘরভাড়া দেয় না শহর, রাষ্ট্র দেয় না পরিচ্ছন্ন কাজের পরিবেশ, সমাজ যাঁদের হোয়াইট কলার জবের মর্যাদা দেয় না, ডাক্তাররা যাঁদের অভিজ্ঞতার দাম দেয় না, রোগী যাঁদের নিছক আজ্ঞাবাহকের বেশি কিছু ভাবে না…’
‘এঁরা তাঁরা, যাঁদের কোভিডে ঘরভাড়া দেয় না শহর, রাষ্ট্র দেয় না পরিচ্ছন্ন কাজের পরিবেশ, সমাজ যাঁদের হোয়াইট কলার জবের মর্যাদা দেয় না, ডাক্তাররা যাঁদের অভিজ্ঞতার দাম দেয় না, রোগী যাঁদের নিছক আজ্ঞাবাহকের বেশি কিছু ভাবে না…’
‘তাঁর লেখা সমকালে যথেষ্ট বিতর্কিত; তবু তাঁর সময়ের সঙ্গে যত দূরত্ব বাড়ছে, তাঁর গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে ততই। তিনি একজন ভারতীয় গল্পলেখক। তিনি একজন পাকিস্তানি গল্পলেখকও বটে! বরং তাঁকে একজন উর্দু গল্পলেখক বললে এই দেশ-টানাটানির সমীকরণ বা তত্ত্ব কপচাতে হয় না।’
‘এআই যদি একদিন মানুষের থেকে ভাল (আপেক্ষিক) কবিতা লিখে উঠতে পারে, বাংলা কবিতার পাঠক হিসেবে আমরা কি সেই কবিতা সাদরে গ্রহণ করব, না যন্ত্রের সৃষ্টি বলে তৎক্ষণাৎ বাতিল করে দেব?’
‘আধুনিক শিল্পীদের মধ্যে টিএস এলিয়ট যেমন ধ্রুপদী শব্দের পরিমণ্ডলে নাশকতা চালান, দালিও তেমন ফ্রেম ও রেখাতে ক্লাসিকিয়ানা ফিরিয়ে দিতে চান, ও সেই ফাঁকফোঁকরে গুঁজে দিতে চান দুঃস্বপ্নের বর্ণমালা।’
‘ভক্তপুর বলতেই একদিকে যেমন মন্দির আর তাকে ঘিরে কুসংস্কারের অন্ধকূপ মনে পড়ে দম বন্ধ হয়ে আসে, অন্যদিকে ঠিক উল্টো হিমালয়ের উদাত্ত ডাক— নাগরকোট। কাঠমান্ডু উপত্যকার বারান্দা বলে যদি কিছু থাকে, সেটাই এই ছোট্ট গ্রাম।’
‘বই যখন পেলেন রবীন্দ্রনাথ, ভাল লাগল না তখন। চারুচন্দ্রকেই লিখলেন, ‘চয়নিকা পেয়েছি। ছাপা ভাল, কাগজ ভাল, বাঁধাই ভাল। কবিতা ভাল কি না তা জন্মান্তরে যখন সমালোচক হয়ে প্রকাশ পাব তখন জানাব। কিন্তু ছবি ভাল হয় নি সে কথা স্বীকার করতেই হবে।’’
‘চাষের ক্ষেত্রটিতে রবীন্দ্রনাথ যে বরাবর খুব সফল হয়েছেন, তা নয়। কিন্তু তাঁর পরীক্ষা-নিরীক্ষা থেমে থাকেনি। ব্যর্থতাকেও শিক্ষার অঙ্গরূপে ধরে নিয়েই তিনি এগিয়েছেন আজীবন। এখানেই তাঁর স্বাতন্ত্র্য।’
‘আমরা জানি, ‘রক্তকরবী’র শতবর্ষ চলছে, এই নিয়ে হইচই চারিদিকে। কিন্তু নাটকটির রচনা, প্রকাশকালের সময়-সারণী বলে, ১৩২৩ সালের এমনই এক বৈশাখ মাসে শিলং-এর জিৎভূম-এ ‘রক্তকরবী’ লেখা শুরু করেন রবীন্দ্রনাথ।’
‘আপাদমস্তক বন্দিত তিনি নন, কোনওক্ষেত্রে সুযোগসন্ধানী ও ঘৃণিত। তবু মরজাগতিক এই পরিবেশে, যেখানে যুদ্ধ বিনোদন, পুতুলনাচ অবলুপ্ত, হাতঘড়ি মেলানো একমাত্র শৃঙ্খলা, সেখানেও গগ্যাঁর শিল্প আমাদের মুক্তি দেয়।’
‘কিছু শেষ হয়ে যায়নি। কিচ্ছু শেষ হয়ে যায়নি। এখন যেটা করবি, সেটা যদি নিজের সবটা দিয়ে করিস তাহলে এই রেজাল্টের কথা তোর মনেও থাকবে না।’
‘মাৰ্ক্স-এর প্রাসঙ্গিকতা যে এখনও কমেনি, সেটি বক্তাদের বক্তব্য থেকে এবং উপচে পড়া সভাকক্ষ থেকে সহজেই অনুমান করা যায়।’ কার্ল মার্ক্সের জন্মদিনে কলকাতায় এসেছিলেন প্রভাত পট্টনায়েক। ডাকবাংলা.কম-এর সঙ্গে কথোপকথনে…
‘‘ফিয়ার’ ছবিটির ভাবনা ও বিন্যাস, সময়ের থেকে অনেক এগিয়ে, কিন্তু বিষয়টি চিরকালীন। ভয় দেখিয়ে আর ভয় পেয়ে বেঁচে থাকার ইতিহাস তো চিরন্তন। গুটিকয় মানুষের তৈরি করা ভয়ে, শিরদাঁড়া ঝুঁকিয়ে, বেঁচে থাকার গল্পের কোনও শেষ নেই।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.