
তৃতীয় ধারার কারিগর
সলিল চৌধুরী যেভাবে আমাদের দেশের সংগীতের সঙ্গে পশ্চিমি সংগীতের মেলবন্ধন ঘটাতে পেরেছিলেন, তার ফলে সৃষ্টি হয়েছিল একটা ‘তৃতীয় ধারা’।

সলিল চৌধুরী যেভাবে আমাদের দেশের সংগীতের সঙ্গে পশ্চিমি সংগীতের মেলবন্ধন ঘটাতে পেরেছিলেন, তার ফলে সৃষ্টি হয়েছিল একটা ‘তৃতীয় ধারা’।

‘তেরো বছর পর, অপরাজেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ; অ্যান্ডি রবার্টস-বার্নার্ড জুলিয়েনের ওয়েস্ট ইন্ডিজ হার মানল ইডেনে। এই শতকে ইডেন দেখল ক্রিকেটের বরপুত্র সচিন তেণ্ডুলকরের পেনাল্টিমেট টেস্ট ম্যাচ; দেখল ২০০৫-এ সৌরভের ভারতের সামনে ইনজামামের পাকিস্তানকে।’

একজন স্বৈরাচারী শাসক, আসলে ভাঁড়। সমষ্টির চোখ থেকে শাসক-সম্পর্কিত ভয় অথবা সম্ভ্রমের মোড়কগুলো খসতে খসতে যেটুকু অবশিষ্ট থেকেছে একবিংশ শতাব্দীতে, তা দিয়ে মিম ছাড়া আর কিছু তৈরি করা সম্ভব নয়।

স্করসেসি-কে নিয়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় অথচ ভুল অভিমতটি হল, তাঁর ছবি নিয়ে বেশিরভাগ আলোচনায় তাঁকে এখনও কিছু জনপ্রিয় ‘ক্রাইম জঁর’ ছবির পরিচালক হিসেবে দেখা হয়। তার এক বড় কারণ হল, তাঁর জনপ্রিয়তম ছবিগুলোর প্রায় সিংহভাগেই, বারবার ফিরে এসেছে মার্কিন অপরাধজগৎ, ভায়োলেন্স ও সমসাময়িক আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক পরিবেশ।

ওয়েস্ট ব্যাঙ্কের কোনও এক রাস্তায় একটি গাড়িতে সে বসে রয়েছে, সেই গাড়িতে তার বাকি আত্মজনদের রক্তাক্ত লাশ। একটি পরিবার সেই গাড়িতে ছিল। গাড়িতে ছিল ছ’বছর বয়সি হানুদ রাজাব হামাদ, বা হিন্দ রাজাব, সঙ্গে তার কিছু আত্মীয়। সেই নিরস্ত্র, পারিবারিক গাড়িটির ওপর ইজরায়েলি সেনা ৩৫৫টি, হ্যাঁ, ঠিক এতগুলোই বুলেট খরচ করেছে।

নারী-পুরুষের নগ্নতা অশ্লীলতা পেরিয়ে যেভাবে কোনও নান্দনিক মুহূর্তকে ছুঁয়ে ফেলে, তা সৃষ্টি করা রবীন্দ্রনাথ ছাড়া কারও পক্ষে বোধহয় অসম্ভব। নগ্নতার মধ্যে কোনও যৌন উত্তেজনা নেই, আছে শুধু জ্যামিতিক বিমূর্ততার মধ্যে দিয়ে এক তীব্র প্যাশনের বার্তা।

‘আমরা যদি আজকের শিশুদের দিকে তাকাই, তাহলে অদ্ভুত এক জটিল প্রহেলিকার সামনে দাঁড়িয়ে পড়তে হয়। জন্মের কিছু পর থেকেই, মানবশিশু বড় হতে থাকে দৃশ্যের মধ্যে দিয়ে, সঙ্গে থাকে নানারকম শব্দ বা আওয়াজ। এই দু’য়ের সমন্বয়ও সে করে ফেলে, অল্প সময়ের মধ্যেই।’

‘নবনীতা দেবসেন তার মায়ের গল্পগুলি পাঠ করতে গিয়ে বলেছেন যে, সবক্ষেত্রেই মেয়েরা এখানে পর্যুদস্ত, অবহেলিত এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার শিকার। তাদের ক্ষোভে ফেটে পড়তে বা প্রতিবাদ করতে দেখা যায়না, বরং কোনও এক গভীর আত্মত্যাগ ও সংযমে তারা আত্মবিশ্বাস খুঁজে পায়।’

যদিও মামদানি উঠে এসেছেন শ্রমিক আন্দোলনের পথ ধরে এবং তার শ্রমজীবী আন্দোলনের সৌরভ আমাদের মুগ্ধ নিশ্চয়ই করেছে, তবে শুধুমাত্র এই শ্রমজীবী মানুষের সমর্থনের কারণেই তিনি জিতেছেন— একথাই একমাত্র সত্য— তা কি বলতে পারব? নিউ ইয়র্ক টাইমস বলছে, বছরের শুরুতে মামদানির পোল রেটিং ছিল মাত্র ১%। এমনকী, নিজের প্রচার দলে কেউ কেউ মনে করতেন, তাঁর জয়ের সম্ভাবনা ৩%-এর নিচে। এ এক অসম্ভব যাত্রাপথ! কিন্তু, কী করে তাহলে এই অসম্ভব সম্ভব হল?

‘রবীন্দ্রনাথ নিয়ে মৌলবাদীদের এত আপত্তি কেন? একে বাংলা ভাষা বা বাঙালি-বিরোধী ষড়যন্ত্র হিসেবে অভিহিত করা হলেও বিষয়টা ভাষাবিদ্বেষ বা জাতিবিদ্বেষ ততটা নয়, যতটা ভাবাদর্শগত।’

“‘স্মৃতি’কে এপিক ফর্মের মাধ্যমে ছুঁতে চান ঋত্বিক। আমাদের মনে করাতে চান বিকল্প এক ‘আধুনিকতা’-র অবয়ব। মৃত্তিকালগ্ন অবয়ব। আত্মবীক্ষা আর আত্মশক্তির ‘আধুনিকতা’।”

ঋত্বিক ঘটকের চলচ্চিত্র নির্মাণের আড়াই দশক ও তৎপরবর্তী চলচ্চিত্রভাষার বাঁকবদলের প্রস্তুতির উপাদান— ‘নাগরিক’-এর নিরীক্ষা, ত্রুটি ও ভাষার মধ্যে নিহিত রয়েছে।
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.