
মাও-এর মুখ
‘একবার যখন দশম শ্রেণিতে পড়া ক্লাস ইলেভেনের মানিক এসে বলল, যাদের যাদের এক্স রে প্লেট আছে, আমাকে দিবি তোরা। তখনই জানলাম, কাঠগোলার ভজাদা বাটালি দিয়ে ওই এক্সরে প্লেট খুদে খুদে মাওয়ের মুখটি তৈরি করে দেবেন।’

‘একবার যখন দশম শ্রেণিতে পড়া ক্লাস ইলেভেনের মানিক এসে বলল, যাদের যাদের এক্স রে প্লেট আছে, আমাকে দিবি তোরা। তখনই জানলাম, কাঠগোলার ভজাদা বাটালি দিয়ে ওই এক্সরে প্লেট খুদে খুদে মাওয়ের মুখটি তৈরি করে দেবেন।’

‘১৯৪৮-এ কমিউনিস্ট পার্টি বেআইনি ঘোষিত হলে সুব্রতবাবু যখন গ্রেপ্তার হয়ে নাসিক জেলে বন্দি হলেন, তখন সংসারের হাল ধরতে ইন্টারভিউ দিচ্ছেন করুণা দেবী। শর্টহ্যান্ড শিখছেন, সঙ্গে নাটকের কাজও চলছে পুরোদমে। কিন্তু এ-নাটক তো যে সে নাটক নয়, নিষিদ্ধ নাট্যগোষ্ঠীর নাটক চালাতে হত গেরিলা কায়দায়।’

‘এখানে নৈতিক প্রশ্ন উঠে আসে, ভারত আইনগতভাবে এদের সাধারণ পর্যটক হিসেবে দেখলেও, ইজরায়েলের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান কৌশলগত ঘনিষ্ঠতা ও রাষ্ট্রীয় নীরবতা কি ধীরে-ধীরে যুদ্ধ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগকে স্বাভাবিক করে দিচ্ছে?’

‘বাংলা বাইবেল অনুবাদে এক আশ্চর্য বিতর্কের জন্ম হয়, যার ঢেউ গিয়ে পড়ে এদেশ ছেড়ে আমেরিকার মাটিতে। একটিমাত্র শব্দকে কেন্দ্র করে বাইবেল সোসাইটির উত্থান প্রশ্নাতীত হয়ে যায়।’

সুবিমল বসাকের প্রয়াণের পর, তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় তাড়া-তাড়া চিঠি। সামান্য কয়েকটি ইতিপূর্বে প্রকাশিত হলেও, অধিকাংশই অপ্রকাশিত। অপ্রকাশিত চিঠির সেই ভাণ্ডার থেকে নির্দিষ্ট কয়েকটি চিঠি নির্বাচন করে এই ধারাবাহিকের পরিকল্পনা। এই পর্বে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের চিঠি।

‘মহেশবাবু গল্প বলছিলেন। ১৯৬৪। দরিয়াগঞ্জের ফুটপাথ। পাতরি কিতাব বাজার। সেই সময়ে বইয়ের দোকানের সংখ্যা মেরেকেটে ৩০। অস্থায়ী। সকাল আটটা থেকে সন্ধে সাতটা। শুধুমাত্র সেকেন্ডহ্যান্ড বই। সাম্প্রতিককালে পাঠকের রুচি বদলে গেছে, বই-বিক্রেতার মন বদলে গেছে, তেমনই বদলে গেছে বই-বাজারের ঠিকানা।’

ঔপনিবেশিক আমলে কলকাতার বুকে গড়ে ওঠা গির্জাগুলি আসলে ইতিহাসের নীরব সাক্ষী। কলকাতার প্রথম বিশপ থমাস মিডলটন বিশ্বাস করতেন, সকল গির্জা সুউচ্চ চূড়া যুক্ত হওয়া উচিত, যাতে সেগুলি খ্রিস্টীয় বিশ্বাসের সাক্ষ্য হিসাবে সুস্পষ্টভাবে দৃশ্যমান হয়।

‘‘আন্দোলন বা অভ্যুত্থানের সঙ্গে গণহিংস্রতার তফাত ছিল, আছে এবং থাকবে। বাংলাদেশ যা প্রত্যক্ষ করছে, তা ভাবনাহীন, আদর্শহীন ‘মব জাস্টিস’।’’

‘‘বিশ্বকাপে সাফল্যের পিছনে বড় ভূমিকা রয়েছে এই টিম স্পিরিটের। তিনটে ম্যাচ হারার পর প্রচণ্ড চাপে পড়ে গিয়েছিল টিম। তখন আমরা একে-অপরের পাশে থেকেছি প্রবলভাবে; দোষারোপ করিনি কাউকে। বিশ্বাস ছিল, দু’বছরের মেহনত বৃথা যাবে না।’’

‘একটা দেশ বা সমাজ যখন স্বার্থান্ধ আত্মাবমাননা-আত্মসমর্পণের গড্ডলিকা-প্রবাহে ক্রমশই পঙ্কে নিমজ্জিত হতে থাকে, তখন যেমন সেই ‘প্রতিক্ষণ’-এর জন্য নিষ্ফল বিলাপ করি, আর আত্মপ্রত্যয়ী বিবেকী বন্ধু স্বপ্নাকে শেষ নমস্কার জানাই।’

‘প্রিয়ব্রত বাবু এবং স্বপ্না দেব সর্বময় কর্তা-কর্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও, একটা দুর্লভগুণের অধিকারী ছিলেন। যাঁর যা কাজ, সেখানে কখনও হস্তক্ষেপ করতেন না। লেখক কিংবা শিল্পীর কাজের ব্যাপারে নীরবই থাকতেন। বলা ভাল, শিল্পীকে স্বাধীনতা দিতেন।’

‘ভারতের একমাত্র শিল্পী, যিনি একসঙ্গে দু’টি কণ্ঠে ধ্রুপদী সংগীত গাইতে পারতেন— তাঁর নাম অনাথনাথ বসু। মহিলাকণ্ঠে ঠুমরি গাইতেন, পুরুষকণ্ঠে গাইতেন খেয়াল।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.