সমালোচনা

মালবিকা ব্যানার্জি (Malavika Banerjee)

ভারতের সমান্তরাল সিনেমা

‘মূলধারার সিনেমা নিয়ে অনেক কিছু লেখা হয়েছে, ৭০ মিলিমিটারের হিট ছবির নিতান্ত পার্শ্বচরিত্রের অভিনেতাদেরও স্মৃতিকথা ছাপতে প্রকাশকদের লাইন পড়েছে। কিন্তু স্বাধীন ভারতে আর্ট ফিল্ম আন্দোলন নিয়ে খুবই কম বই লেখা হয়েছে। রোচনা মজুমদারের ‘Art Cinema and India’s Forgotten Future: Film and History In The Post Colony’ বইটি এই শূন্যস্থান ভরাট করার এক দুরন্ত প্রয়াস।’

সিদ্ধার্থ দে

মিশে গেছে আঁধার আলোয়

পাঁচটি পৃথক অংশে বিভক্ত এই বইটিকে প্রবন্ধোপন্যাস বলা যায়। ইংরেজিতে যাকে বলে ‘essayistic novel’। ওলগা তোকারজুক বা জুলিয়ান বার্নস এই ধরনের উপন্যাস লিখেছেন। কিন্তু এই বই আরও কিছুটা আলাদা। এর আখ্যানশৈলী বরং খানিকটা docu-feature গোত্রের।

পৃথ্বী বসু

তোমারে বধিবে যে

‘… সুজিত দেখাতে চেয়েছেন, একজন দেশপ্রেমিকের আত্মত্যাগ, তাঁর লড়াই, তাঁর অসহায়তা এবং তাঁর ভেতরে যে প্রতিশোধের আগুন ছিল, সেই আগুনটুকু। এই ছবিতে এটাই মুখ্য, বাকি সব গৌণ।’ সুজিত সরকারের ‘সর্দার উধম’।

রেশম মজুমদার (Reshom Majumdar)

লন্ডনে বাঙালির ‘চৌরঙ্গি’

পরের কয়েক ঘন্টা স্রেফ খাবারের নেশায় বুঁদ হয়ে থাকা। পালং শাকের ভাজাটি সবারই প্রিয় হয়ে উঠল। বাঙালিদের কোনও খাবার ভাল লাগলেই তারা শিগগিরি যে যার নিজের রান্নাঘরে তার রহস্যভেদ করে ফেলে। লন্ডনের ‘চৌরঙ্গি’ রেস্তোরাঁর সমালোচনা।

অর্ক দাশ (Arka Das)

লোভের নীতিগল্প

‘…‘স্কুইড গেম’-এর প্রথম পর্বের কুড়ি মিনিটের মধ্যেই বাচ্চাদের খেলার সঙ্গে ভয়াবহ, নৃশংস মৃত্যুর যোগাযোগ দর্শকদের মনে বিঁধে যায়; একটা ঠাসবুনোট মরণবাঁচনের গল্পের ভিত্তি তৈরি করে দেয় উত্তাপহীন, অনুশোচনাহীন সন্ত্রাস।’ ‘স্কুইড গেম’-এর অসাধারণ আবেদন।

সঞ্চারী মুখোপাধ্যায়

দলিত! তোমার মূলস্রোত নাই?

২০০ হাল্লা হো, কোনও রাজনৈতিক থ্রিলার নয়। এই সিনেমা সাময়িক সমাধান দেখালেও হাজার হাজার প্রশ্ন তুলে দিয়ে যায়। কেবল আইনি প্রশ্ন নয়, সাংবিধানিক এবং সামাজিক প্রশ্ন। ভারতের বাস্তবতাকে তুলে ধরাই এই ছবির কাজ। দলিত কেবল রাজনীতিযোগ্য, অধিকার-যোগ্য নয়।

মালবিকা ব্যানার্জি (Malavika Banerjee)

নজর যার, মুলুক তার

‘…অধিকাংশ দর্শক তো জানেনই কাম্বারব্যাচ কত বড় অভিনেতা, কিন্তু এই ছবির আবিষ্কার হলেন জর্জিয়ান অভিনেতা মেরাব নিনিদজে, যিনি তাঁর পেনকভস্কির চরিত্রের বহিরঙ্গের নির্বিকার ভাবের আড়ালে একটা অদ্ভুত মানুষিকতার উষ্ণতা চারিয়ে দেন।’ ঠান্ডা লড়াইয়ের পুরনো আমেজ।

সঞ্চারী মুখোপাধ্যায়

কড়া রোদ, টাটকা বাতাস

‘এই বইয়ের আত্মায় যা প্রোথিত আছে তা হল, নিজ কর্তব্যে একনিষ্ঠ থাকার সাধনা। এবং কোনও পরিস্থিতিতেই নীতি থেকে এক চুল না সরে আসার জেদ। এবং তাঁর এই কাজে ও জীবনে সহযোগী হিসেবে পেয়েছেন যাঁকে, তিনিও একই রকম কর্তব্যনিষ্ঠ এবং নীতিবাগীশ।’ পাঠ-প্রতিক্রিয়া।

প্রতীতি গণত্র (Pratiti Ganatra)

একাকিত্ব ব্যবসা হতে পারে

গল্পে মরসুম পাল্টায়, তার পাশাপাশি পাল্টায় বক্তার মেজাজ।’বসন্তে আমি কষ্ট পাই। এ মরসুম আমাকে উজ্জীবিত করে না, আমার এটাকে ক্ষয়ের মরসুম মনে হয়।’ ইতালীয় ভাষায় লেখা বাঙালির মেয়ের বই।

পরমা রায়চৌধুরী (Paroma Roy Chowdhury)

রান্নাঘর, কান্নাঘর

‘অসাধারণ এই ছবিতে খাবারকে অত্যাচারের রূপক হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে। ময়লা টেবিল, পাইপের নোংরা জল, ভাবলেশহীন যৌনমিলন, অবস্থাপন্ন ভারতীয় পরিবারগুলিতে এই হল বিবাহিত দম্পতিদের হাল। এই চিত্র কিছুটা নির্মম ভাবেই দেখিয়েছেন পরিচালক জিও বেবি।’ সিনেমার আলোচনা।

ইতিহাসের পুনর্নির্মাণ

‘আধুনিক ভারতের অন্যতম সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিল্প ধারার যে মূলত পুরুষকেন্দ্রিক ইতিহাস, তার একটি সমান্তরাল ইতিহাসস্থাপন আমরা …এই বইতে পাই।’ ডক্টর অপর্ণা রায় বালিগার ‘ট্রান্সেন্ডিং দ্য গ্লাস কেস’-এর একটি সমালোচনা।

উৎসব মুখার্জি

চোরে-চোরে ফ্রান্সতুতো ভাই

‘‘ল্যুপাঁ’ একেবারেই ‘হু ডান ইট’ নয়, বরং এই সিরিজকে ‘হাউ ডান ইট’ ও ‘হোয়াই ডান ইট’ বলা চলে। এক কথায় বললে, ‘ল্যুপাঁ’ অনেকটাই রহস্য-কৌতুকের আধারে ফরাসি ক্লাসিক চরিত্র আর্সেন ল্যুপাঁর প্রতি সমসাময়িক শ্রদ্ধাঞ্জলি।’ ওয়েব সিরিজের সমালোচনা।