সমালোচনা

শান্তনু চক্রবর্তী

আঞ্চলিকতার ময়দানে পথহারা ফুটবল

‘গোটা ছবিতে রহিমসাহেব সারাক্ষণ একটা বিছিন্ন দ্বীপের মতো একলা জেগে রইলেন। একা-একাই ভাবলেন, একা-একাই সইলেন! কখনওই টিমের সঙ্গে তাঁর আত্মার যোগটা খুঁজে পাওয়া গেল না।’

অভীক মজুমদার

উৎপল থেকে সুমন : টিনের তলোয়ার

‘উৎপলের পরিকল্প থেকে এক ধরনের ডিপারচার বা সরণ ঘটে। কোনও সন্দেহ নেই, এ-যুগের অন্তহীন ইমেজ নির্মাণের বেলায়, অবসন্ন দর্শককে কোনও শিল্পিত দৃশ্যরূপই ততদূর আক্রান্ত বা উজ্জীবিত করতে পারে না। ফলে সুমনের ধাক্কাটা হয়তো প্রয়োজনই ছিল।’

বিষাণ বসু

ঘোমটার আড়ালে হাসিমুখ

‘ঘরে-ঘরে সব পুরুষ ছবির প্রশান্তর মতো গায়ে হাত না তুললেও, বিরক্তি-শ্লেষ-শীতল চাহনি ইত্যাদির শিকার হওয়াটা মেয়েদের অভিজ্ঞতার মধ্যেই পড়ে। সুখী দাম্পত্যেও তার অন্যথা হয় না।’

দেবারতি গুপ্ত

বার্ধক্য, যৌনতা, ক্রস কানেকশন

‘রক্তাক্ত শ্রেয়া তার গোপন বন্ধুকে মোবাইলে আক্ষেপ করে জানায়, তার বোধহয় শরীরের চাহিদা একটু বেশিই। আমাদের মনে অনুরণিত হয়, এই খিদে মেয়েদের থাকতে নেই। কোনও বয়সেই থাকতে নেই। যৌবনেও নয়, মাঝবয়সে তো নয়ই।’

সারস্বত সেন

নবীন versus প্রবীণ

‘সমানাধিকার আদৌ হবে কি না তা সময় বলবে, তবে হিংসার ব্যাপারে আজকের মহিলারা যে পুরুষদের সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত করতে পারেন, তার প্রমাণ রোজকার জীবনদৃশ্য, খবর, সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিয়ো।’

মধুশ্রী ঘোষ

তেতো চকোলেট

‘কিন্তু এই গলি-থেকে-রাজপথের আশ্চর্য গল্প বলার জার্নিতে-ই ছবিটা আমাদের হতাশ করে— সবকিছুই কেমন যেন ছকে বাঁধা। এটি একটি মিউজিকাল— উইলি গান গেয়ে জার্নি শুরু করে, বিপদে পড়লে গান গায়, আবার খুশি হলেও।’

দেবারতি গুপ্ত

একান্তই ব্যক্তিগত

‘দার্জিলিং-এর যা ওয়েদার তাতে টিকে থাকতে গেলে হয় প্রেম করে যেতে হবে, নয়তো ভূতের ভয় পেতে হবে! মানে আর কিছু তাড়িয়ে নিয়ে যেতে পারবে না জীবনের দিকে। তা ছাড়া যে জনজাতির ইতিহাসে দীর্ঘ ট্রমা রয়েছে তাদের যৌথ-অচেতনে ভূতের অস্তিত্ব এসেই যায়।’

সারস্বত সেন

একটু মানিয়ে নাও, প্লিজ!

‘পুরো ছবিটাই আসলে আমাদের সুশীল সমাজের রূপক, যেখানে মেয়েদের পাশে থাকা, তাঁদের সমানাধিকার নিয়ে গলা ফাটানো ছেলেটারও (সুযোগ বুঝলে) উৎসুক আঙুলগুলো রাতের অন্ধকারে মেয়েটার প্যান্টের বোতাম হাতড়ায়— ‘না’ শোনা সত্ত্বেও।’

মধুশ্রী ঘোষ

স্পাই আছে, থ্রিল নেই!

‘তাব্বু এবং অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন-এর যে রসায়নের উপর ভিত্তি করে পরিচালক গল্পটিকে একটা আবেগময় বুনট দিতে চেয়েছেন, সে রান্নায় উনি একদম নুন দিতে ভুলে গেছেন! এই জুটির ভালবাসা, বিচ্ছেদ, দুঃখ কোনওটাই মনে দাগ কাটে না।’

কবীর চট্টোপাধ্যায়

নয় এ পুতুল খেলা

‘ম্যাটেল কোম্পানির তৈরি একটি পুতুল আস্তে আস্তে সচেতন হয়ে উঠছে এবং নিজে গটমট করে নিজেরই স্রষ্টা ম্যাটেলের সদর দপ্তরে ঢুকে পড়ছে, এই দৃশ্য অযুত সম্ভাবনার জন্ম দেয়।…কিন্তু সেই সম্ভাবনার বীজ গাছের জন্ম দেয় কি?’

শরণ্য বৈদ্য

ভেঙে পড়ার শব্দগুলি

‘সেই বলশেভিক বিপ্লবের সময় থেকেই আমেরিকা কমিউনিজমের ভূত দেখত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে সোভিয়েত ইউনিয়ন-এর সঙ্গে ‘ঠান্ডা যুদ্ধের’ সময় তা আরও প্রকট হয়।’

সারস্বত সেন

কুয়াশায় ঢাকা কান্নাগুলো

‘গোটা সিরিজটি জুড়ে রয়েছে এক আশ্চর্য শূন্যতা। চরিত্ররা নিজেরাও হয়তো জানে না, তারা এক দিশাহীন শূন্যতার ঘূর্ণির মধ্যেই নিত্যকার জীবন কাটাচ্ছে। ‘কোহ্‌রা’ শুধু ঝাপসা হয়ে যাওয়া মানুষগুলোর কান্না দেখায় না। সুযোগ এনে দেয় উপলব্ধির আর প্রায়শ্চিত্তেরও।’