

মিহি মন্তাজ : পর্ব ২৪
‘জার্মানি থেকে আসা লোককে কলকাতার লোক লিফ্ট দিতেই পারে। সুভাষকে কি হিটলার দেননি? আশেপাশে টুকটাক আরও কীসব কিনলেন। কেকের দোকানে ফিরে, পেমেন্ট মিটিয়ে, বাক্সটা নিয়ে ট্যাক্সি ধরলাম। ওঁর হাতে একটা বড় প্লাস্টিকের ব্যাগ।’
‘জার্মানি থেকে আসা লোককে কলকাতার লোক লিফ্ট দিতেই পারে। সুভাষকে কি হিটলার দেননি? আশেপাশে টুকটাক আরও কীসব কিনলেন। কেকের দোকানে ফিরে, পেমেন্ট মিটিয়ে, বাক্সটা নিয়ে ট্যাক্সি ধরলাম। ওঁর হাতে একটা বড় প্লাস্টিকের ব্যাগ।’
‘টিভির পূর্ণ সমাধির পর জেঠুর হাতের নাগালে থাকত একটা ট্রানজিস্টর রেডিও। তার ব্যাটারি গলে গিয়েছিল। জল-রস বেরিয়ে পড়েছিল। জেঠুর চোখের মতো। আমি সরিয়ে-সুরিয়ে, আলাদা বাক্সে ব্যাটারি ফিট করে, তার জুড়ে, টেপ মেরে চালু করে দিয়েছিলাম।’
কর্মখালির বিজ্ঞাপনে লেখা ছিল, ‘কাজে অনিচ্ছুক ব্যক্তি কোনো রকম বায়োডাটা ছাড়া এই ঠিকানায় সরাসরি চলে আসবেন। ফোন করবেন না। কোনো ইন্টারভিউ ছাড়াই চাকরি জুটে গিয়েছিল আপ্তসহায়কের।’ আজব চকরি
‘এই প্রথম ওর গলায় একটু ক্লান্তি টের পেলাম। সেই খেলা, একবারই দেখেছিলাম। আর দেখিনি। লোকটা কী করে, কোথায় থাকে, আমার সঙ্গেই বা কেন কথা বলে, এর একটারও উত্তর আমার কাছে নেই।’ অপরিচিতের সঙ্গ।
‘এই মুহূর্তে ও একটা নীল ডট। বেশ কিছুটা সময় কেটে গেছে। ম্যাপে আমাদের বাড়ি থেকে ডট এক চুল নড়েনি। রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে না কি? না, ডটটা ছিটকে গেল।’
‘আমার কাউন্টার পার্ট এসেই ফোন খুলে ফেলেছেন। বললেন, ‘পাকিস্তান ইজ ফিনিশ্ড।’ আমিও বললাম, ‘সিভিল ওঅর?’ উনি বললেন, ‘শ্রীজাতর সিনেমাটা দেখা উচিত।”
‘হলের মাঝখানে কিছু ধাতুর ভাস্কর্য। দেওয়ালে বড়-বড় ছবির ক্যানভাস। ফুটকির মতো এক-আধজন দর্শক। প্রথম ছবিটার সামনে দাঁড়িয়ে মন ভাল হয়ে গেল। আর্ট-কে আমি ভয় পাই। সে সম্মোহিত করে। ডেকে আনে। তারপর দরজা থেকে ফিরিয়ে দেয়।’
‘এক হাসপাতাল অসুখ নিয়ে আমি রোগ ছাড়া কতযুগ ধরে একটা জায়গায় নিশ্চিন্তে কাটিয়ে দিলাম। রোগী, নার্স, বেড, অক্সিজেনভরা ভূতের বাড়িটা হাসপাতাল সেজে রইল। কেউ আপত্তি জানাল না। মাঝে মাঝে কোমার নাম করে ব্ল্যাকআউট।’ অসুখের যাপনচিত্র।
‘তিনখানি প্রাণী আপাতত জানা-অজানা ক্ষত নিয়ে এগোচ্ছি অনির্দিষ্ট দিগন্তের দিকে মুখ করে। রাস্তার ধারে একটা ঘর পড়ল অনেকটা হাঁটার পর। পরিত্যক্ত। দেওয়ালে পলেস্তারা খসে গিয়ে লুপ্ত এক দেশের ম্যাপ। পথিকের কথা ভেবে কেউ বানিয়েছিল।’ নিরুদ্দেশ যাত্রা।
‘আস্ত একটা ইলেকট্রিফায়েড, দুম্বো গাড়ি যাত্রী-সহ ঝলসে উঠলে সিনেমার মতো হবে। মরা লোক দোষ দিতে পারবে না উপদেশদাতাকে। আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে মাঠে এক-আধটা গরু-ছাগল বজ্রাহত হয়। তার সঙ্গে এর কোনও তুলনা হয় না কি? অনেকেই ফোন বের করে তৈরি আছে, ভিডিও করবে।’ অদ্ভুত হুজুগ।
‘ছেলেপক্ষের হয়ে আমি প্রতিনিধিত্ব করি প্রাথমিক ভাবে। দু’পক্ষ রাজি হয়ে গেলে আমার কাজ শেষ। নিজেরা দেখার আগে এই বাফারটা এখন অনেকের কাছে সুবিধেজনক। আমার ঘটকালিতে হওয়া দুটো বিয়ে দিব্বি টিকে আছে এখনও। তাই, এই কাজ করি এমন খবর বাজারে ছেড়ে দেওয়ায় ভালই ফল পাচ্ছি।’ সফল ঘটক।
‘পাইলট ঘোষণা করল, ‘প্লেন টার্বুলেন্সের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। যাত্রীরা যেন এদিক-ওদিক যাতায়াত না করেন। সিটবেল্ট বেঁধে ফেলেন।’ খাবার না দেওয়া নিয়ে ডামাডোলে থ্রি এফ বিশেষ সক্রিয় হয়ে উঠতে পারেননি। বললেন, ‘প্লেন ঝাঁকিয়ে, মিথ্যে ভয় দেখিয়ে আমাদের চুপ করিয়ে দিল। এভাবে আমাদের দাবায়ে রাখা যাবে না কো।’’ বাঙালির প্লেনযাত্রা।
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.