

দূরপাল্লা : পর্ব ২১
টেনেসির জনবহুল রাজধানী, মার্কিন ইতিহাস-শিল্প-সাহিত্য অনুরাগীদের কাছে অবশ্যগন্তব্য; তবে বিশ্বজুড়ে সুরপ্রেমীদের কাছে সে কান্ট্রি মিউজিক-এর মক্কা— ন্যাশভিল। এবারের ‘দূরপাল্লা’-র ডায়েরিতে, ন্যাশভিলের সুরেলা স্মৃতির কথা।
টেনেসির জনবহুল রাজধানী, মার্কিন ইতিহাস-শিল্প-সাহিত্য অনুরাগীদের কাছে অবশ্যগন্তব্য; তবে বিশ্বজুড়ে সুরপ্রেমীদের কাছে সে কান্ট্রি মিউজিক-এর মক্কা— ন্যাশভিল। এবারের ‘দূরপাল্লা’-র ডায়েরিতে, ন্যাশভিলের সুরেলা স্মৃতির কথা।
‘আজ বুঝি, শিল্পের চেয়েও চর্চা কখনও বড় হয়ে ওঠে। ওই ফিরিওয়ালা মানুষটির গলায় শিল্প ছিল না। ছিল চর্চা, অভ্যেস, অধ্যবসায়। তাই শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা একই ভাবে ডেকে উঠতে পারতেন, সওদার টানে, রোজগারের আশায়।’
তাঁর খ্যাতি মূলত কবি, ঔপন্যাসিক হিসেবেই; অথচ অনবদ্য সব ছড়া লিখে গেছেন যা পাঠক, অনুরাগীদের দরবারে আবারও নতুন করে চেনাবে তাঁকে। ‘কবির সঙ্গে দেখা’র এই পর্বে ছড়াকার সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়।
‘আজ বুধবার,/
তুমি দেখতে এসেছিলে থিয়েটার,/ এক তরুণীর প্রেম ও দুঃসময়ের বিপ্লবের গাথা।/
কে তোমাকে বলে দেবে,/
চারপাশে চলমান এই শহরই/
আসলে সেই থিয়েটার নয়?’
‘দূরপাল্লা’ দৃশ্য-শ্রাব্য ডায়েরি হলেও এমন অনেক স্মৃতিই আছে যা কবির ফোনে নয়, শুধুই তাঁর মনে বন্দি হয়ে আছে। সেইসব স্মৃতি মাঝে মাঝে প্রশ্ন করে— শিল্পর আদৌ কোনও সংজ্ঞা হয় কি না? এই পর্বে শিকাগো’র তেমনই এক রাতের কাহিনি।
‘কিন্তু এসব গান শুনতে চাইলে ‘সুরধুনি’ ছাড়া উপায় নেই। তাই আমি সন্ধের মুখটায়, বাড়ি ফেরার আগে ওখানে গিয়ে দাঁড়াতাম। ওইসব গোমড়া বাচ্চারাই হয়তো আগামীর সন্ধ্যা-আরতি-প্রতিমা-নির্মলা, বা ভবিষ্যতের হেমন্ত-মান্না-শ্যামল-মানবেন্দ্র। কে বলতে পারে?’
দিনের মধ্যে অন্তত একবার ফিরে যেতেই হয় তাঁর কবিতার কাছে। ‘কবির সঙ্গে দেখা’র এই পর্বে আবারও ফিরে দেখা তাঁকে— তিনি বাংলা কবিতার অবিসংবাদিত সম্রাট শক্তি চট্টোপাধ্যায়।
‘তুমি দত্তবাড়ির ছেলেকে/ পাঠিয়েছিলে শিকাগো/
ঠাকুরবাড়ির ছেলেকে শিলাইদহ/
গদাধর চাটুজ্যেকে/ তুমিই স্টার থিয়েটারে/ গিরিশের থ্যাটার দেখতে/
অথচ তোমার কোনও অহংকার নেই/ পাঁচিলে বসে/ এমনভাবে পা দোলাচ্ছ/ যেন বিপ্লব হবে…’
প্যারিস একদিকে শিল্প-সাহিত্য-ফ্যাশনের মক্কা, প্রেমের শহর; আবার অন্যদিকে ইতিহাসের আবরণে সজ্জিত আধুনিক এক আড্ডার ঠেক। সে এক চিরনতুন মায়ানগরী। এবারের ‘দূরপাল্লা’য় রইল প্রথম দেখায় প্যারিস-এর প্রেমে পড়ার গল্প।
‘কেবল আমি একটু থতমত ভাবে তাকিয়ে আছি দেখে সুনীলদা জিগ্যেস করলেন, ‘কী ব্যাপার, তুমি যাবে না?’ উত্তরে বলতেই হল, থাকব কোথায়, এই নিয়েই ভাবছি। কেননা দোলে তো লজ বা হোটেল সব আগে থেকে ঠিক করতে হয়, এত দেরিতে কি কিছু আর পাওয়া যাবে?’
তাঁকে বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ কবি চিহ্নিত করেছিলেন স্বয়ং গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ! তিনি কূটনীতিবিদ, আবার তিনিই জনগণের কবি। বাড়ির অমতে ছদ্মনামে প্রথম বই প্রকাশ, যে নামে আজ তাঁকে চেনে এই বিশ্ব, তিনি পাবলো নেরুদা (১৯০৪-১৯৭৩)।
‘গোলাগুলির ভয়ে আমরা/ বেরোলামই না হোটেল থেকে।/ মাতাল ছেলেদের হৈ হুল্লোড় শুনে/ ভাবলাম মিছিল আর স্লোগানের কথা।/ সারা রাত আমাদের ভারী পর্দার পিছনে,/ কাচের লম্বা জানলার ওপারেই কেটে গেল।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.