কলাম

সাকিব আল হাসান

অলরাউন্ডার: পর্ব ৩

‘গত বছর দর্শকশূন্য মাঠ, এ বছর বায়োবাবলে আটকে থেকে নিজেদের প্রস্তুত করা। খেলা শেষে একা মাইক ধরে ইন্টারভিউ দেওয়া, ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলন। সায়েন্স ফিকশনের চেয়ে কম কী! কে বলতে পারে, এর পর কী নতুন ধরন আসতে চলেছে।’ ক্রিকেটে বদল।

ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়

মুখঋত: পর্ব ৬

‘২০২১ সালে দাঁড়িয়ে আবার নিজেদের একটা অচেনা লড়াইয়ে যোগদান করতে হয়েছে। সেই যুদ্ধ আমরাই ডেকে এনেছি হয়তো। তবে যুদ্ধের ময়দানে যাঁদের সামনে থেকে আশ্বাস জাগানোর কথা ছিল, তাঁরা নিভৃতে, নিরাপদে। শুধু নিঃশ্বাস নেওয়ার জন্য আজ এই চিৎকার করে গলা ফেটে যাচ্ছে।’ অচেনা লড়াই।

শ্রীজাত

শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ৩

‘এই গ্রামে যে-পাহাড়, সে কোন উপকথার নাতি/ যে-মেঘ আসে প্রান্তরে, কোন সমীকরণ শোনায়/
সান্ধ্য জমায়েতের মাথায় ঠান্ডা সড়কবাতি/ বাকিটা যাক কোলাহলে এবং আবর্জনায়।/ সরে দাঁড়াও। ঘর ভাঙো। তার জানলা খুলে ওড়াও/বাতাস কেবল ছুড়ো না ওই ক্ষুধার্তদের দিকে…’ নতুন কবিতা।

বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত

এলেবেলে: পর্ব ৩

‘শেষে যখন হাল ছেড়ে দেওয়ার অবস্থা, অরুণবাবু বললেন— ‘একটা লাস্ট ট্রাই নেওয়া যাক, আমাকে একটা টেবিল জোগাড় করে দে।’ টেবিল এল, তাতে চড়ে অরুণবাবুর সে কী নাচ আর গান! সঙ্গে নানা রকম অঙ্গভঙ্গি। লোকাল আর্টিস্টরা হেসে খুন, হাততালির হররা, ওকে টেক।’ অ্যাসিস্ট্যান্টের কথা।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

সামথিং সামথিং: পর্ব ৬

‘একটা লোক যখন ভাবছে, আমার মৃত্যুর সম্ভাবনা আছে ঠিকই, কিন্তু তা স্বীকার করেই আমায় প্রিয় রাজনীতির দলটির প্রতি সমর্থন জানাতে হবে, বা আমার প্রিয় কবির প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তাঁর শোকমিছিলে হাঁটতে হবে, তখনই কি সে বিশিষ্ট হয়ে উঠছে না?’ মৃত্যুভয় বনাম মতাদর্শ।

জয়ন্ত সেনগুপ্ত

হেঁশেলের হিস্‌সা: পর্ব ৪

‘এমন নয় যে আমরা গোমাংস খেতে শিখেছি সায়েবদের কাছ থেকে। শুধু বৈদিক যুগেই নয়, তার পরেও বহু শতাব্দী গোমাংস আমরা খেয়েছি সানন্দে, তার উল্লেখ ছড়িয়ে রয়েছে ‘গৃহ্যসূত্র’-এ, যাজ্ঞবল্ক্যের ‘শতপথ ব্রাহ্মণ’-এ, চরক বা সুশ্রুতের সংহিতায়, বিস্তর বৌদ্ধ টীকাগ্রন্থে।’ গোমাংসের ঐতিহ্য।

শুভা মুদ্গল (Shubha Mudgal)

শুভারম্ভ: পর্ব ৪

‘দমে যাবার পাত্রী রেবতী নন, তিনি সহজাত নিষ্ঠার সাথেই তাঁর এই নতুন শিষ্যাকে ঘষামাজা করতে লাগলেন। কিন্তু ক্রমে স্পষ্ট হয়ে উঠল, নির্মলা সেই বিরল প্রজাতির প্রাণী, যিনি বিশ্বের যে-কোনও শিক্ষককে ‘আমায় শেখাতে পারলে তো শেখাবে’ চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন!’ শখের নাচ।

অনুপম রায়

ম্যাকি: পর্ব ৩

‘পর্নোগ্রাফি ইন্ডাস্ট্রিতেই এই ডিপফেক চলে বেশি। একটি নারীশরীর পেলেই হল, তাতে বসিয়ে দাও বিখ্যাত কোনও সেলেবের মুখ, আর ব্যাস! তৈরি হয়ে গেল ভাইরাল পানু। যত বেশি সময় দেওয়া যাবে ডিপফেকটি বানাতে, তত বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়বে ক্লিপের।’ মিথ্যে প্রচারের কারিকুরি।

শুভময় মিত্র

মিহি মন্তাজ: পর্ব ২

‘চললাম পেছন-পেছন, দূরত্ব রেখে। একটা গলিতে ঢুকে তৃতীয় বাড়ির দরজায় কড়া নেড়ে হাঁক পাড়ল, ‘এই যে’। দরজা খুলল। একটা বেড়াল বেরিয়ে দৌড় লাগাল একদিকে। এক মহিলা বেরিয়ে এসে আমাকে দেখতে পেয়ে একগাল হেসে বললেন, ‘আজ আপনাকে ধরেছে বুঝি?’’ অপরিচিতের পিছু ধাওয়া।

ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়

মুখঋত: পর্ব ৫

‘সিট-কমের মূল বৈশিষ্ট্য হল তার হালকা মেজাজের কাহিনি, সহজ সরল গল্পের চলন, মার-প্যাঁচহীন প্লট ও সোজাসাপ্টা চরিত্র। মুখ্য চরিত্রদের জীবনের প্রেম-ভালবাসা-বন্ধুত্ব-জীবনযাপন নিয়েই গড়া সিরিজে, বেশ মজার কিছু সংলাপ লিখলেই হৈ-হৈ রব।’ সিট-কম-এর দুনিয়া।

শ্রীজাত

হিয়া টুপটাপ, জিয়া নস্টাল: পর্ব ৩

‘সুযোগ পেয়েছি যখন, প্রণামের লোভ ছাড়ব না। পায়ে হাত ঠেকাতেই মাথায় পেলাম ওঁর হাতের স্পর্শ। সোজা হয়ে উঠে দাঁড়াতে আমার কাঁধে রাখলেন একখানা হাত। বললেন, ‘তোমার লেখা তো পড়েছি আমি। কখনও বাড়িতে এসো।’ এই বলে অতি মৃদু হাসলেন।’ শঙ্খ ঘোষের সান্নিধ্য।

সুদেষ্ণা রায়

ব্যাকস্টেজ: পর্ব ৩

‘এরপর ঘরে ঢুকলেন সত্যজিৎ রায়। কেন জানি না উঠে দাঁড়ালাম, যেন স্কুলে পড়ি। উনি বসতে বললেন ও জানালেন, উনি কাজ করছেন, আধঘণ্টা সময় লাগবে। ততক্ষণ ‘কচুরি খাও, এ-বাড়িতে কচুরি বেশ সুস্বাদু।’ সত্যিই তাই।’ সত্যজিৎ-স্মৃতি।