কলাম

শ্রীজাত

কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ৮

বাংলাভাষা কয়েক জন যে বিরল এবং একই সঙ্গে একা কবি রয়েছেন, গীতা চট্টোপাধ্যায় তাঁদের মধ্যে অগ্রগণ্য। আর্দ্রতার সঙ্গে দৃঢ়তার এক অদ্ভুত মিশেল রয়েছে তাঁর কবিতা। স্বঘোষিত নারীবাদী না হয়েও পরতে পরতে প্রতিবাদ কিন্তু পুরুষের সঙ্গে বৈরিতার আভাস কোথাও নেই। এমন আশ্চর্য কবিতা ও কবি সত্যি বিরল।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

সামথিং সামথিং: পর্ব ১৫

আজকের কম্পিউটার-নির্ভর জীবন ও প্রযুক্তি বিশ্বকর্মা আর সরস্বতীরই কো-প্রোডাকশন ধরতে হবে। তার মধ্যে বেঁচে ও তার কোলেপিঠে কেশেহেঁচে যদি আমরা হাতি-সওয়ার লোকটিকে এভাবে কাঁচকলা দেখাই, তা অত্যন্ত অশোভন কৃতঘ্নতা নয় কি? বিশ্বকর্মা মাঈ কি…

উপল সেনগুপ্ত, চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

একটা গল্প একটা গান: পর্ব ৭

রাজা জিজ্ঞেস করলেন, আমাকে কীসের মতো ভালবাসো? এক মেয়ে বলল, নুনের মতো। হাসাহাসি পড়ে গেল, রাজা রেগে লাল। তখন সেই মেয়ে তখন খুব ভেবেচিন্তে বিরাট ভোজের আয়োজন করল, কোনও রান্নায় নুন দিল না। খেয়েদেয়ে সবাই কী বলল? আর গানে, সামুদ্রিক লাল কাঁকড়া বিষয়ে নিরবচ্ছিন্ন কৌতূহলের সরল-সাদা প্রকাশ।

জয়ন্ত সেনগুপ্ত

হেঁশেলের হিস্‌সা: পর্ব ৭

‘…বস্তুত ‘খাওয়া’-র সঙ্গে ‘দাওয়া’ শব্দটি জুড়ে দিয়ে আমরা একটা আলগা মৌতাতের ক্যাজুয়াল আবেশ অজান্তে এনে ফেলি বটে, কিন্তু মাথায় রাখি না যে, আদতে আরবি ‘দাওয়া’ শব্দটির অর্থ অধিকার, স্বত্ব, পাওনা। তাই ‘খাওয়া-দাওয়া’ শব্দবন্ধের এক অর্থ খাদ্যের অধিকার, যার অন্তর্নিহিত প্রতিবাদী গন্ধটি আমাদের রবিবার দুপুরের মাংসের ঝোলের খুশবুর নীচে ঢাকা পড়ে যায।’ প্রান্তিক মানুষের ক্ষুন্নিবৃত্তির সংগ্রাম।

শ্রীজাত

শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ৭

‘আমার স্থবির মন হয়েছে আরেকটু স্থানীয়,/ এই বয়সে স্থৈর্য মানায়, বলেছে প্রত্যেকে।/ কিন্তু যখন শিরা অবশ, পিথাগোরাস খুলে/ কোন রেখা কোন রাস্তায় যায়, মিলিয়ে নিতে পারি।/ ঠোঁট কি তোমার ফারাক বোঝে, ডানায় ও মাস্তুলে?/ তোমার মধ্যে একটি পাখি অপহরণকারী।’ নতুন কবিতা।

শুভা মুদ্গল (Shubha Mudgal)

শুভারম্ভ: পর্ব ৮

‘আমি যতক্ষণ তালিমে ব্যস্ত থাকতাম, তখন বিদ্যাতাই শুধু আমার ছেলে দেখাশোনার দায়িত্বই নিলেন না, আদর করে তাকে প্রচুর জিনিসপত্র কিনে দিলেন। তাঁর এমন করুণা লাভ করেছে, এমন শিষ্য আমিই একা ছিলাম না। পুনায় যে ছাত্রছাত্রীরা শিখতে আসতেন, তাঁদের জন্য বিদ্যাতাইয়ের ছিল অবারিত দ্বার।’ গুরুপত্নীর স্নেহ-উদারতা।

শুভময় মিত্র

মিহি মন্তাজ: পর্ব ৬

‘এদেশে যা দেখছি, যদিও এ দেখার কোনও সারবত্তা নেই, সবার এক বাড়ি, গাড়ি, চেহারা। সবাই সায়েব। অনেকেই মেম। অনেককে দেখে সন্দেহ হয়, এরা বোধহয় এক ধরনের কালো। কত মিলিয়ন শেডস অফ গ্রে, ব্রাউন, হলুদ, সবুজ, ওরাং ওটাং ভরা ব্রিটিশ দুনিয়া।’ প্রবাসে দৈবের বশে।

শ্রীজাত

কবিতার আড্ডাঘর: পর্ব ৭

অন্ধকার বেশির ভাগ সময়ই চেনা রূপে আসে। অবশ্য অচেনা রূপেও জীবনে হানা দেয়। চেনা অন্ধকারে তবু হাতড়ানো যায় জীবন, মোমবাতি বা দেশলাই বাক্স কিন্তু অচেনা অন্ধকারে অজানা ভয়ের সঙ্গে যুঝে যাওয়া ছাড়া বিশেষ কিছু করার থাকে না। এ বারের আড্ডাঘরে চতুর্দশপদী অন্ধকার লেখাগুচ্ছের আনাগোনা। শিরোনামহীন অন্ধকারের চর্চা।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

সামথিং সামথিং: পর্ব ১৪

‘…গল্পগুলির মূল থিমটা হল, মেয়েদের কাছ থেকে সুবিধে নিংড়ে নাও এবং না পেলে তাদের মারো। মারো। হাড় ভাঙো, পোড়াও, পেটের মাংস কাটো। কারণ মেয়েরা নিচু। বোধহীন। পুরুষের অধীন।’ অ্যানুয়াল পুজো, ডেইলি নারী-নির্যাতন।

অনুপম রায়

ম্যাকি: পর্ব ৭

‘…শুধু ভয় পেয়ে পেয়ে বহু মানুষ সারা জীবন কাটিয়ে দেয়। একটা মানুষের চারিত্রিক সব রকম দোষগুণও দেখা যায় এই ভয়ের দ্বারা নির্ধারিত হয়। হয়তো শুধু ভয়ের চোটেই আপনি সারা জীবন চরিত্রবান হয়ে থেকে গেলেন। আপনার মনের ভেতর হাজার ইচ্ছে কিন্তু শুধুমাত্র সাহসের অভাবে আপনি চৌকাঠ পেরোতে পারলেন ন।।’ মেশিনের চোখে মানুষের ভয়।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

এক শালিক: পর্ব ৭

লর্ডসে ইন্ডিয়া অসামান্য খেলে ম্যাচ জিতল, তার জন্য কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়, একইসঙ্গে তারা করল প্রবল অভদ্রতা ও দুর্ব্যবহার, তার জন্য কোনও নিন্দাই যথেষ্ট নয়। অনেকেই অবশ্য এই অভদ্রতাকে তীব্র সমর্থন জানিয়েছেন, আর বলেছেন, এই হচ্ছে দেখার মতো আগ্রাসন। কিন্তু এ হল কথার খেলা। আইকনদের বুঝতে হবে, যে কোনও মূল্যে ম্যাচ জিততেই হবে, এ প্রবণতা অসভ্যতাকে আশকারা দেয়।

শ্রীজাত

শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ৬

‘তোমাকে দেখিয়ে দেব, নিজেকেই দেখব বারবার/ তোমার যা আছে আজ, কাল থেকে আমার। আমার/ জল ক্ষেতে আসবে লাশ, রক্তে ভরে উঠবে এই হ্রদ—/ হে সভ্যতা, মায়াবী বিপদ/ কোথায় দাঁড়িয়ে আছি, বলে দাও, কারা চতুষ্পদ।’ নতুন কবিতা।