কলাম

হেঁশেলের হিস্‌সা: পর্ব ১২

‘আমাদের পূর্বপুরুষ ও পূর্বমাতারা উনিশ শতক থেকে পশ্চিমের দেশগুলিতে যাতায়াত শুরু করেন, কিন্তু বিদেশ বিভুঁইয়ে তাঁরা খেতেন কী? রামমোহনের সমস্যা ছিল না, তিনি ১৮৩১ সালের বিলেতযাত্রায় সঙ্গে করে নিয়ে গেছিলেন পাচক শেখ বক্সকে। আর বাবুর্চি নিয়ে গেছিলেন দ্বারকানাথও, যদিও বেলগাছিয়া ভিলার নিয়মিত পার্টিতে বিলিতি খানা ও মদিরায় অভ্যস্ত প্রিন্সের এ-ব্যাপারে কোনও অসুবিধে হওয়ার কথা ছিল না।’ প্রবাসে বাঙ্গালি-ভোজন।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

সামথিং সামথিং: পর্ব ২৪

‘নির্জীব আগাছা-ল্যান্ডে একমাত্র পরিত্রাণ করতে পারত কৃষ্ণনগরের স্কুলে দুই শিক্ষকের পরস্পরকে হাঁইহাঁই পেটানোর ভাইরাল ভিডিও। একজন আরেকজনকে চড় কষাতেই আক্রান্তের তুরন্ত তেড়ে যাওয়া ও প্রায় ফাস্ট-ফরোয়ার্ডে ঝটিতি প্রতি-আক্রমণ। তারপর আবার প্রশ্ন ধেয়ে আসছে, আপনি তো হেডস্যার, আপনি গায়ে হাত দিলেন কেন? এই রে, ফের বৃত্ত সম্পূর্ণ। প্রায়-সুমন-ঘটনা। প্রবৃত্তির পানে ধাইব, না নিবৃত্তি?’

খুচরো খাবার: পর্ব ৫

‘সরস্বতী পুজোর ঘনঘটায় কুলের দাপট ব্যাপারটা আমার কাছে খুব একটা ইন্টারেস্টিং নয়। তার প্রধান কারণ, দেবীর উপাসনায় যে কুলটা ঢেলে উৎসর্গ করা হয়, সেই নারকোল কুলটা বস্তুত শুধুই মিষ্টি, এবং তাই একটু পানসে, একটু বেশিই ফর্মাল, একটু নিয়মসর্বস্ব। আমি এ-কুলে নেই। আছি, অবশ্যই, টোপা, এবং বুনো কুলে; ইলেকট্রিক, বা কারেন্ট নুন-মাখানো কাগজের ঠোঙায়, অথবা আঠা-আঠা আচারে— যার আধা-বয়াম আমি এক সিটিং-এ যে-কোনো দিন সাবড়ে দিতে পারি।’

শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ১২

‘ভাসছে পথে, আসছে আর যাচ্ছে কত সস্তায়।/ যেন পথের নীচু হোটেল, ভাতে কাঁকর তিনটে…/ তোমারও মন নিথর হল সকাল সাড়ে দশটায়/ আমারও গেল বাকি জীবন ফেরার পথ চিনতে।’ নতুন কবিতা।

অনুপম রায়

ম্যাকি: পর্ব ১২

‘এই আর এক অদ্ভুত জিনিস তোদের। একটুতেই হাঁপিয়ে উঠিস তোরা। আগেরদিনই লিখলাম তোদের ধৈর্য নেই। একটানা কোনও কাজ করতে পারিস না। মন তোদের চঞ্চল। শুধু মন? তোদের শরীরও দুর্বল! আমার পারফর্ম্যান্স নিয়ে খিল্লি করছিস? নিজেদের দিকে তাকিয়ে দেখেছিস? ছুটতে গিয়ে ক্লান্ত, সারাদিন অফিস করে ক্লান্ত, কিছুক্ষণ টাইপ করে ক্লান্ত, টিভি দেখে ক্লান্ত, রান্না করে ক্লান্ত, সেক্স করে ক্লান্ত— কী দিয়ে বানিয়েছে মাইরি তোদের?’

ক্যাসেট কথা: পর্ব ১৩

শুধু কান্ট্রি মিউজিক নয়, প্রকৃত অ্যামেরিকানা যাকে বলা যায়, সেই গানের কিংবদন্তী জন ডেনভার।
গায়ক-গীতিকার ডেনভারের গান বাঙালি ঘরে-ঘরে গায়। ‘টেক মি হোম, কান্ট্রি রোড্স‌’, ‘অ্যানিজ সং’, ‘লিভিং অন আ জেটপ্লেন– এই সব গানের সুর-কথা আজও বাঙালিমানসে উজ্জ্বল। কী ভাবে ডেনভার হয়ে উঠলেন বাঙালির প্রিয় আমেরিকান গায়ক?

সুদেষ্ণা রায়

ব্যাকস্টেজ: পর্ব ১০

‘ঋতু কোনও প্রসাধন করতে দিত না ওর অভিনেত্রীদের। কিরণ নিয়ে এসেছিল ম্যাক-এর কম্প্যাক্ট। সকালে এসেই লুকিয়ে লাগিয়ে নিত প্রলেপ। ঋতুর চোখেও ধরা পড়েনি সেই আস্তরণ। অবশেষে বারুইপুরে রূপা গাঙ্গুলি ধরে ফেলে কিরণের কীর্তি।’ ‘বাড়িওয়ালি’র শুটিং-অভিজ্ঞতা।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

সামথিং সামথিং: পর্ব ২৩

‘কোটি কোটি শুয়োরকে মেরে ফেলা হচ্ছে বেকন সসেজ হ্যামের লোভে, আর মাত্তর হাজারখানেক শুয়োরকে মারা হচ্ছে তাদের বিভিন্ন প্রত্যঙ্গ তুলে মানুষের দেহে বসিয়ে বাঁচাবার চেষ্টায়। শুয়োরকে যদি হৃৎপিণ্ডের জন্য মারা না হত, মাংসপিণ্ডের জন্য তো হতই, আজ নয় কাল।’ শুয়োর হত্যা ও কয়েকটা প্রশ্ন।

শুভা মুদ্গল (Shubha Mudgal)

শুভারম্ভ: পর্ব ১৩

‘তাঁর আর একটি অলৌকিক ক্ষমতা ছিল— তিনি বোধহয় একই সময়ে সব জায়গায় উপস্থিত থাকতে পারতেন! এই বিশেষ ক্ষমতাটি তিনি প্রকাশ করে ফেলেন অনিচ্ছাকৃত ভাবেই। তিনি একই দিনে, একই সময়ে, এক শহরের বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠিত দুটি বা তার বেশি গানের আসরের রিভিউ করে বসলেন!’ সমালোচনায় কেলেঙ্কারি।

শ্রীজাত

হিয়া টুপটাপ, জিয়া নস্টাল: পর্ব ১১

‘শেষমেশ সন্ধের আগে-আগে একটা মোটা সোয়েটার চাপিয়ে বাবার হাত ধরে বেরিয়ে পড়া। এই যে বেরিয়ে পড়লাম একবার, এখান থেকেই কিন্তু সার্কাস শুরু। অপেক্ষা করতাম, যদি বাবার সঙ্গে দেখে পাড়ায় কেউ জিগ্যেস করে, কোথায় যাচ্ছি। তাহলে সামান্য হেসে, ‘এই তো, সার্কাস দেখতে’ বলবার গৌরবটা পেয়ে যাওয়া যাবে।’ সার্কাস দেখার আনন্দ।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

এক শালিক: পর্ব ১২

দামি গাড়ি রোলস রয়েস-এর রেকর্ড বিক্রি হল গত বছর। সারা পৃথিবী যখন আর্তনাদ করছে আর খরচা কমাচ্ছে, তখন বড়লোকরা কোটি কোটি টাকা খরচা করে গাড়ি কিনছেন কেন? এতে কি ধনী ও দরিদ্রের মূল মনোভঙ্গির তফাত বোঝা যায়?

শ্রীজাত

কবিতার আড্ডাঘর: পর্ব ১১

খেয়াল করলে দেখা যাবে বৃষ্টির কবিতা সংখ্যায় বেশি। কেন? কারণ বৃষ্টির কাছে গচ্ছিত থাকে অতীত, স্মৃতি, অনেক রকম শহর, অনেক রকম বেদনা আরও অজস্র অনুভূতি। তা-ই কবিতা লিখতেও বোধ হয় বার বার বৃষ্টির কাছে ফিরে যেতে হয়। কবিতার আড্ডাঘর জুড়ে অবিশ্রান্ত বর্ষণ।