কলাম

অনুপম রায়, শুভ চক্রবর্তী

বেঙ্গালুরুতে অ্যান্টনি: পর্ব ১০

আজব এক জুতো তৈরি করেছেন ডক্টর ঘোষ। পায়ে দিলেই নাকি দশ মিনিটে বেঙ্গালুরুর এ-প্রান্ত থেকে ও-প্রান্ত যাওয়া যায়! জ্যামে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার দিনও শেষ। কিন্তু এই জুতো পায়ে দিয়ে পরীক্ষা করার লোক কে? বেচারা সেই অ্যান্টনি!

শ্রীজাত

দূরপাল্লা : পর্ব ২

মাঝে মাঝে ঠাহর হয়, সমাপতন বোধ হয় সত্য নয়। বরং পূর্বনির্ধারিত শব্দটি বেশি বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে। অস্ট্রেলিয়ার পার্থ নিবাসী চার্লস সাহেব, লন্ডনের অক্সফোর্ড স্ট্রিট থেকে ১ পাউন্ড দিয়ে রবীন্দ্রনাথের ইংরেজি বই কিনলেন এবং যাতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্বহস্তে লেখা রয়েছে কবিতা, এবং সেই বই কালে কালে হাতে এসে পড়ল চালর্স সাহেবের প্রতিবেশী এক বাঙালির। এবং একশো বছর আগের প্রকাশিত বই দেখার সৌভাগ্য হল কলকাতার এক বাঙালির। সূ-দূর যোগাযোগ একেই বলে!

শুভময় মিত্র

মিহি মন্তাজ: পর্ব ১৬

‘তিনখানি প্রাণী আপাতত জানা-অজানা ক্ষত নিয়ে এগোচ্ছি অনির্দিষ্ট দিগন্তের দিকে মুখ করে। রাস্তার ধারে একটা ঘর পড়ল অনেকটা হাঁটার পর। পরিত্যক্ত। দেওয়ালে পলেস্তারা খসে গিয়ে লুপ্ত এক দেশের ম্যাপ। পথিকের কথা ভেবে কেউ বানিয়েছিল।’ নিরুদ্দেশ যাত্রা।

শ্রীজাত

হিয়া টুপটাপ, জিয়া নস্টাল: পর্ব ১৮

‘টানা অনেকগুলো বছরই ১৫ আগস্টের সকালবেলা পৌঁছে গেছি স্কুলে, কিন্তু প্রথমবার, সেই এক প্রথমবার জোট বেঁধে স্কুলে পৌঁছনোর যে-অভিজ্ঞতা, অনেকগুলো বছর ছেড়ে থাকার পর হুট করে একদিন কাছে ফেরার যে-আবেগ, তার সঙ্গে তুলনীয় কিছুই নয়।’ স্বাধীনতা দিবসের স্মৃতি।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

ছায়াবাজি: পর্ব ৪

‘সংলাপ শোনা যায়, ‘সার্জারি ইজ দ্য নিউ সেক্স’, এবং গল্পের কেন্দ্রে যে যুগল, তারা পারফর্মিং আর্টিস্ট, নারীটি রিমোটের সাহায্যে পুরুষের পেট কেটে ফাঁক করে এবং কোনও একটি প্রত্যঙ্গ বার করে এনে দর্শকদের দেখায়।’ ভাবী পৃথিবীর গল্প।

শ্রীজাত

কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ১৮

তাঁর প্রেম কখনও ব্যক্তিগত পরিসরে আটকে থাকে না। কখনও তা পৃথিবীর প্রতি ভালবাসায় ব্যক্ত হয়, কখনও তা সমস্ত শুভ চিন্তার দ্যোতক হয়ে ওঠে। সেখানেই তাঁর বিশিষ্টতা। এই পর্বে রইল সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের কয়েকটি প্রেমের কবিতা।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

এক শালিক: পর্ব ২০

মেটার চ্যাটবট ‘ব্লেন্ডারবট ৩’ – যাকে বলা যায় ডিজিটাল টিয়াপাখি – মেটা-মালিক মার্ক জাকারবার্গকেই মহা বিপাকে ফেলে দিয়েছিল, তাঁর কোম্পানি কর্মীদের এক্সপ্লয়েট করা হয়, এই বলে। মানুষের সৃষ্টি এ-আই কি একদিন মানুষকে ছাপিয়ে যাবে – এই নিয়ে আজকের পর্ব।

অনুপম রায়, শুভ চক্রবর্তী

বেঙ্গালুরুতে অ্যান্টনি: পর্ব ৯

একুশ দিন ধরে ডক্টর ঘোষ তৈরি করেছিলেন Lie-detecting pill, যা খেয়ে মিথ্যে কথা বললেই হাঁচি পাবে। হাতেনাতে ধরার এর চেয়ে ভাল উপায় কি আর হয়? কিন্তু লোকটার কপাল খারাপ! যাঁকে খাওয়াবেন ভেবেছিলেন, তাঁকে দেওয়ার আগেই সব বানচাল!

শ্রীজাত

শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ১৮

‘আজও কারা বন্ধ রাখে চোখ/ আজও কারা ভেবে চলে, ভাল চায় অধিকাংশ লোক/ আমি দূর থেকে দেখি তাদের। ভেতর থেকে হাসি।/ সন্ধে নেমে এলে/ আস্থার কবরে যাই। মোমবাতি জ্বালিয়ে রেখে আসি।’ নতুন কবিতা।

সুদেষ্ণা রায়

ব্যাকস্টেজ: পর্ব ১৫

‘ তখন ১৯৮৪ সাল। বাংলা ছবি নতুন মুখ, নতুন মোড় খুঁজছে। তরুণবাবু সেটাই কী সুন্দর ব্যাখ্যা করলেন। ‘মহীরুহ পতন হয়েছে ঠিকই, কিন্তু নতুন বীজ তো আমরাই বপন করছি। চিরকাল সেটাই পরিচালকদের কাজ। আমি সেটা আগেও করেছি, এখনও করছি।’ ওঁর এই কথা আমার বহু বছর কানে লেগে ছিল। এবং আমি নিজে যখন ছবি করেছি, বিষয় নির্বাচন করেছি, তখন কোথাও যেন ওঁরই স্বর শুনেছি।’ স্মরণে, তরুণ মজুমদার।

ম্যাকি: পর্ব ১৮

‘আমি যতই মেশিন লার্নিং আর এ আই নিয়ে লাফাই, আমার সেই হার্ডওয়্যারই নেই যে আমি চাইলেই তা হয়ে যাব। মানুষ কিন্তু সেরকম না। মানুষের শালা বছর-বছর অ্যাম্বিশন পাল্টে যায়।’ অ্যাম্বিশনের রকমফের।

সামথিং সামথিং: পর্ব ৩৩

‘খেলা এমনিতেই চির-জনপ্রিয়, তার গতি আছে স্পষ্ট ফলাফল আছে তারকাদের কেরদানি আছে, আর প্রধানত রাজনীতিহীন বলে তা আজকের সর্বকুচুটে যুগে একটা প্রকাণ্ড হাঁফ-ছাড়ার ময়দানও বটে। তাই লোকে ক্রিকেট ফুটবল দ্যাখে, পাবলিসিটি করতে পারলে কবাডি, অলিম্পিক চললে রুটি-সব্জি খেতে খেতে ডাইভিংও, কিংবা কমনওয়েলথে স্কোয়াশ। এমনিতে সারাদিন একটা মুহূর্তও সে স্রেফ দেওয়ালের দিকে তাকিয়ে বসে থাকে না, পার্কের দিকে চেয়ে ব্রেনতরঙ্গ বাজায় না।’