

ম্যাকি: পর্ব ১৯
‘প্রতিশোধের শেষ আছে? আমি তো দেখতে পাই না। জেনারেশনের পর জেনেরেশন ধরে চলছে প্রতিশোধ। যারা প্রতিশোধে বিশ্বাসী তাদের মোটো, ‘আমার এক চোখ কানা করলে আমি তোর দুই চোখ কানা করে দেব!’ শুনতে দারুণ লাগলেও গল্প এখানে শেষ হয় না যে!’
‘প্রতিশোধের শেষ আছে? আমি তো দেখতে পাই না। জেনারেশনের পর জেনেরেশন ধরে চলছে প্রতিশোধ। যারা প্রতিশোধে বিশ্বাসী তাদের মোটো, ‘আমার এক চোখ কানা করলে আমি তোর দুই চোখ কানা করে দেব!’ শুনতে দারুণ লাগলেও গল্প এখানে শেষ হয় না যে!’
‘মাঝেমধ্যেই শিল্পীদের ধরাকে সরা জ্ঞান করা স্পনসর বা উদ্ধত পৃষ্ঠপোষকদের দিক থেকে নানাবিধ ঝামেলায় পড়তে হয়, যাঁদের আসলে শিল্পের কদর করার মতো রসবোধই নেই, বা থাকলেও তা খুবই সামান্য। যে সব শিল্পীদের নিদেনপক্ষে কয়েক বছরও ভারতে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে, তাঁদের সবার মুখেই যে এ বিষয়ে ভয়ানক রোমহর্ষক সব কাহিনী শোনা যাবে, তা নিয়ে আমার কোনো সন্দেহই নেই।’
‘তেলে-ধোঁয়ায় পিচ-কালো হয়ে যাওয়া ঠেলাগাড়িতে, হাঁ-হাঁ করে জ্বলতে থাকা মিনি স্টোভের উপর কুচকুচে কালো একটা কড়াইতে ভাজা এবং সঙ্গে-সঙ্গে বিক্রি হয়ে যাওয়া ডালবড়া। আমাদের বালিগঞ্জ পাড়ায় বিকেল নামলেই ডালবড়ার ঠেলাগাড়ি মোড়ে-মোড়ে দেখা যায়, বিশেষত বাজার অঞ্চলে; লেক মার্কেট, গড়িয়াহাট, বালিগঞ্জ স্টেশন, যোধপুর-যাদবপুরে।’ আসল খেলা কিন্তু তার চাটনিতে।
‘একটা লোক বুধবার রাত্রে নেচে গেয়ে আলগা রসিকতা করে, বেস্পতিবার সকাল দশটায় পৃথিবীর সর্বাধিক জরুরি ও গভীর সন্দর্ভ পেশ করতে পারবে না কেন? এবং, উল্টোদিকে, যে বুধবার রাশভারি থিসিস ফলাবে সে বেস্পতিবার নিজ বন্ধু-সার্কলে বাঁদরনেত্য করতে পারবে না কেন?’ স্বাধীনতার প্রশ্ন।
আজব এক জুতো তৈরি করেছেন ডক্টর ঘোষ। পায়ে দিলেই নাকি দশ মিনিটে বেঙ্গালুরুর এ-প্রান্ত থেকে ও-প্রান্ত যাওয়া যায়! জ্যামে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার দিনও শেষ। কিন্তু এই জুতো পায়ে দিয়ে পরীক্ষা করার লোক কে? বেচারা সেই অ্যান্টনি!
মাঝে মাঝে ঠাহর হয়, সমাপতন বোধ হয় সত্য নয়। বরং পূর্বনির্ধারিত শব্দটি বেশি বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে। অস্ট্রেলিয়ার পার্থ নিবাসী চার্লস সাহেব, লন্ডনের অক্সফোর্ড স্ট্রিট থেকে ১ পাউন্ড দিয়ে রবীন্দ্রনাথের ইংরেজি বই কিনলেন এবং যাতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্বহস্তে লেখা রয়েছে কবিতা, এবং সেই বই কালে কালে হাতে এসে পড়ল চালর্স সাহেবের প্রতিবেশী এক বাঙালির। এবং একশো বছর আগের প্রকাশিত বই দেখার সৌভাগ্য হল কলকাতার এক বাঙালির। সূ-দূর যোগাযোগ একেই বলে!
‘তিনখানি প্রাণী আপাতত জানা-অজানা ক্ষত নিয়ে এগোচ্ছি অনির্দিষ্ট দিগন্তের দিকে মুখ করে। রাস্তার ধারে একটা ঘর পড়ল অনেকটা হাঁটার পর। পরিত্যক্ত। দেওয়ালে পলেস্তারা খসে গিয়ে লুপ্ত এক দেশের ম্যাপ। পথিকের কথা ভেবে কেউ বানিয়েছিল।’ নিরুদ্দেশ যাত্রা।
‘টানা অনেকগুলো বছরই ১৫ আগস্টের সকালবেলা পৌঁছে গেছি স্কুলে, কিন্তু প্রথমবার, সেই এক প্রথমবার জোট বেঁধে স্কুলে পৌঁছনোর যে-অভিজ্ঞতা, অনেকগুলো বছর ছেড়ে থাকার পর হুট করে একদিন কাছে ফেরার যে-আবেগ, তার সঙ্গে তুলনীয় কিছুই নয়।’ স্বাধীনতা দিবসের স্মৃতি।
‘সংলাপ শোনা যায়, ‘সার্জারি ইজ দ্য নিউ সেক্স’, এবং গল্পের কেন্দ্রে যে যুগল, তারা পারফর্মিং আর্টিস্ট, নারীটি রিমোটের সাহায্যে পুরুষের পেট কেটে ফাঁক করে এবং কোনও একটি প্রত্যঙ্গ বার করে এনে দর্শকদের দেখায়।’ ভাবী পৃথিবীর গল্প।
তাঁর প্রেম কখনও ব্যক্তিগত পরিসরে আটকে থাকে না। কখনও তা পৃথিবীর প্রতি ভালবাসায় ব্যক্ত হয়, কখনও তা সমস্ত শুভ চিন্তার দ্যোতক হয়ে ওঠে। সেখানেই তাঁর বিশিষ্টতা। এই পর্বে রইল সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের কয়েকটি প্রেমের কবিতা।
মেটার চ্যাটবট ‘ব্লেন্ডারবট ৩’ – যাকে বলা যায় ডিজিটাল টিয়াপাখি – মেটা-মালিক মার্ক জাকারবার্গকেই মহা বিপাকে ফেলে দিয়েছিল, তাঁর কোম্পানি কর্মীদের এক্সপ্লয়েট করা হয়, এই বলে। মানুষের সৃষ্টি এ-আই কি একদিন মানুষকে ছাপিয়ে যাবে – এই নিয়ে আজকের পর্ব।
একুশ দিন ধরে ডক্টর ঘোষ তৈরি করেছিলেন Lie-detecting pill, যা খেয়ে মিথ্যে কথা বললেই হাঁচি পাবে। হাতেনাতে ধরার এর চেয়ে ভাল উপায় কি আর হয়? কিন্তু লোকটার কপাল খারাপ! যাঁকে খাওয়াবেন ভেবেছিলেন, তাঁকে দেওয়ার আগেই সব বানচাল!
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.