কলাম

অনুপম রায়

ম্যাকি : পর্ব ২৪

‘মানুষ চায় একটা অনন্ত অরগ্যাজম। একটা উত্তেজিত স্টেটে নিয়ে গিয়ে ল্যাচ করে যাওয়া। শরীরের সব রক্ত ছুটবে যেন one way street। বছরের প্রতিদিনই দুর্গা পুজো! লুপ (সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী)! যদিও পুরোটাই শারীরিক কিন্তু বলবে মনটা চাঙ্গা লাগছে।’

অনুপম রায়

সং স্টোরি শর্ট: পর্ব ১

কখনও ইচ্ছে করে ওঠে কয়েক লাইন লিখতে, কখনও কঠিন সফটওয়্যারের সমস্যার মধ্যে হঠাৎ কোনও সুর বিদ্যুতের মতো সেঁধিয়ে যায় মাথায়। নিশির ডাকের মতো গান টেনে নিয়ে যায় তৈরি হওয়ার আশায়। কোন রোদ, কোন বৃষ্টি, কোন অঙ্ক গান তৈরি করিয়ে নেয়, সে সব গপ্পোই এখানে। এই বসন্তে শ্রাবণের গল্প।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

এক শালিক: পর্ব ২৯

অভিনেতা বা খেলোয়াড়দের আমরা আপনজনের মতো ভালবাসি কেন? এঁরা বীর ও সফল, তাই সহজে আমাদের মুগ্ধ করেন?এঁরা হেরে গেলে এঁদের মধ্যে আমরা নিজেদের দেখতে পাই? না, আসলে সব পেরিয়ে, এঁরা আমাদের বন্ধু। বহু একঘেয়ে মুহূর্তকে উত্তেজক করে তোলার সঙ্গী।

শ্রীজাত

শুধু কবিতার জন্য : পর্ব ২৩

‘আলোবদলের খেলা/ বিকেল শেখার নিচু ক্লাস/ গ্রামীণ বিষাদ বিক্রি, এইসব ধুলোহাট নিয়ে/ এসেছি তোমার কাছে, গরিবের প্রজাপতিমাস ‘– কয়েকটি নতুন কবিতা

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

ছায়াবাজি: পর্ব ৯

‘একটা জীবনের এদিক সেদিক পাশাপাশি তাসের প্যাকেটের মতো ফেলে রাখা হয়, কোনও ব্যাপারকেই খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে করে অনেকক্ষণ টেনে নিয়ে যাওয়ার প্রবণতাও নেই।’

শ্রীজাত

দূরপাল্লা: পর্ব ৬

লস এঞ্জেলস-এ কাটানো একটি রাত সারা জীবন আমায় জাগিয়ে রাখবে। যে বাড়িতে ছিলাম, সেটাকে আর্ট মিউজিয়াম বললে ক্ষতি হবে না। বাড়িটি একজন বাঙালির। সেখানে একই সঙ্গে বিরাজ করছে রবীন্দ্রনাথ আর ক্ল্যঁদ মনে-র অরিজিনাল ছবি। রঁদ্যার ভাস্কর্য আর রামকিঙ্করের জলরং।

শুভময় মিত্র

মিহি মন্তাজ : পর্ব ১৯

‘আমার কাউন্টার পার্ট এসেই ফোন খুলে ফেলেছেন। বললেন, ‘পাকিস্তান ইজ ফিনিশ্ড।’ আমিও বললাম, ‘সিভিল ওঅর?’ উনি বললেন, ‘শ্রীজাতর সিনেমাটা দেখা উচিত।”

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

এক শালিক: পর্ব ২৮

কিছু মানুষ বারবার ফিরে যায় অপমানের স্মৃতির কাছে। এই ফেরার জ্বলুনি প্রচুর, তার চোটে এরা বিড়বিড় করতে করতে হাঁটে, বাথরুমে ১৫ বছর আগেকার অপমানের মোক্ষম উত্তর দেয়, আর একটা সময় এই বেদনার হাত থেকে বাঁচতে মোবাইলে বা ওটিটি-তে নিজেকে ডুবিয়ে দেয়।

শ্রীজাত

অনিবার্য, অনপনেয়, অনন্য

সে তবে এমনই লেখা, তাকে ছাড়া আমার জীবনের নানা মোড়, নানা মুহূর্ত, নানা অভিঘাত বা নানা অনুভূতি অচল। আনন্দে বা অসুবিধেয় তবে বন্ধুর মতো তাকেই আমি জড়িয়ে ধরতে চাই। সে-লেখা তবে অনিবার্য, অনপনেয়, অনন্য। অতএব তার কাছে ফিরতেই হবে।

শ্রীজাত

কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ২২

উৎপলকুমার বসু বাংলা ভাষার এমন একজন কবি যাঁর ভাষার গঠন, ভঙ্গিমা এমন অনন্য যে তাঁর কবিতা-ধারা অনুসরণ করে লেখা সম্ভবই নয়। তাঁর দর্শন, রাজনীতিবোধ, ভাষার চলনকে তিনি এমন ভাবে বইয়েছেন যে তাঁর কোনও পূর্বসূরি নেই আর তাঁর কোনও উত্তরসূরি তৈরি হয়নি।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

সামথিং সামথিং: পর্ব ৩৮

মানুষ আদতে নিজের সুখ-দুঃখ-আনন্দ-বেদনা-রাগ-বিরক্তি-ঘেন্না ছাড়া আর কিছুই ভাবে না। মনের খুব কাছের মানুষ না হলে, অন্যের মৃত্যুতেও তার খুব ইতরবিশেষ ঘটে না। সে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে চায়, নিজেকেই ভুলে থাকার জন্য। তাতে একটু অসংবেদনশীল হতেও সে রাজি।

অর্ক দাশ (Arka Das)

খুচরো খাবার: পর্ব ১৬

‘পালং-কচু-বেথুয়া-নটে’র মধ্যে বেশ জেঁকে বসে থাকা ফ্রেশ সর্ষে শাক দেখেই মনটা ভালো হয়ে যায়, তার কারণ একমাত্র সর্ষে শাক দিয়েই আমি নানা ধরনের আমিষ রান্না করতে পারি, যার মধ্যে প্রধানত অল্প চর্বির শুয়োরের মাংস (লিন পর্ক) প্রধান।’