

এক শালিক: পর্ব ৪৪
সত্যিকারের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো না করে অবান্তর ব্যাপার নিয়ে ব্যস্ত থাকা আমাদের অধিকাংশের অভ্যাস। এতে নিজেকে ভুল বোঝানো যায় যে আমি ফাঁকি মারছি না। কিন্তু রাষ্ট্র বা শাসক-গোষ্ঠী যদি একই কাজ করে, তবে তা দুর্ভাগ্যজনক।
সত্যিকারের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো না করে অবান্তর ব্যাপার নিয়ে ব্যস্ত থাকা আমাদের অধিকাংশের অভ্যাস। এতে নিজেকে ভুল বোঝানো যায় যে আমি ফাঁকি মারছি না। কিন্তু রাষ্ট্র বা শাসক-গোষ্ঠী যদি একই কাজ করে, তবে তা দুর্ভাগ্যজনক।
শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের এমন অনেক কবিতা আছে, যা এখন তত পঠিত বা আলোচিত নয়। তাঁর জনপ্রিয় কবিতাগুলির মধ্যে যে অহরহ ম্যাজিক আছে, তা হয়তো এই কবিতাগুলির মধ্যে নিয়ন্ত্রিত, ঈষৎ চাপা। যদি সেই জাদু ছোঁয়া না যায়, তা হলে আমাদের ক্ষতি।
বেঙ্গালুরু থেকে এবারে সোজা কলকাতা। স্থান পরিবর্তন হলেও অ্যান্টনির মনের অবস্থান খুব বেশি বদলেছে বলে মনে হয় না। নইলে কেনই বা শায়েরির মেসেজ এলে মাঝরাতে বন্ধুকে ফোন করে বলতে যাবে?
‘হলুদ দোতলা বাড়িগুলি ভাল লাগে।/ ভাল লাগে তাদের বারান্দা থেকে মেলে রাখা কাপড় ও দুশ্চিন্তারাশি/
এত বাতাস দেয় এখানে যে গাড়িঘোড়া উড়ে যেতে চায়/ তাদের দ্বিধা ও গতিপথ নিয়ে।’
‘সিনেমা কতরকম ক্রাইসিসকে ঘিরে হয়, কিন্তু কোনও ছবিই বোধহয় এর আগে অফিসযাত্রাকে এভাবে প্রোটাগনিস্টের মূল ক্রাইসিস হিসেবে উপস্থাপিত করেনি। শুধু যানবাহনের অনিশ্চয়তার ফলে যে একটা লোকের জীবনটা তছনছ হয়ে যেতে পারে, এভাবে আমরা ভাবি না।’
ভিড়ের মন খুব সাংঘাতিক জিনিস। সে যদি একবার সুযোগ পায় কোনও কানাগলি দিয়ে ঢোকার, তাহলে আদত ভালমানুষের মধ্যে থেকে তার খারাপ সত্তাটা বের করে আনতে সক্ষম। ফলে দলে পড়ে অত্যন্ত ভাল মানুষটি যে কাল ভয়ানক হবে না, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই।
যাব না, যাব না— করলেও পুরীর সমুদ্রের হাতছানি এড়ায় কার সাধ্যি। কোনও ছক কষে নয়, বরং ভ্রমণপিপাসু বাঙালি-র কাছে পুরী-দার্জিলিং বছরনামচার বাধ্যতামূলক অ্যাটেনডেন্স।
‘মনে রাখতে হবে, এ সেই দেশ, যেখানে অতিষ্ঠ হয়ে সাধারণ মানুষ চিল্লায়, ‘উফ, একটা ডিক্টেটর চাই, চাবকে সিধে করে দেবে!’ তার মনে থাকে না, চাবুকটা তার নিতম্বকেও রেয়াত করবে না।’
মানুষ প্রায়শই বলে থাকে, ‘আমাদের সময়’। এই ‘আমাদের সময়’ আসলে কী? অল্প বয়সের ভালো লাগা মনের ভেতর জমতে-জমতেই কি একদিন হয়ে ওঠে না ‘আমাদের সময়’! দেবাশিস-ও সেরকমই একজন চরিত্র, যার জীবনও আটকে আছে তার নিজস্ব ‘আমাদের সময়’-এ!
‘তখন চারপাশে এত বেশি আলো ছিল না বলেই হয়তো সন্ধেবেলার ছাদকে বড্ড মোহময় আর আন্তরিক মনে হত। তার ওপর লোডশেডিং হলে তো কথাই নেই। অন্ধকার একটা পাড়াকে চারপাশে বিছিয়ে নিয়ে হালকা ঠান্ডা হাওয়ায় গা ভাসিয়ে আড্ডা।’
কবিতার প্রকাশভঙ্গিমাতেও যেমন, জীবনেও তিনি ছিলেন সবার থেকে আলাদা। যদিও দুর্বোধ্যতার অভিযোগ তাঁর কবিতার প্রতি বারংবার উঠেছে। উপেক্ষিত হয়েছে তাঁর কবিতার অন্তর্দর্শন। এই পর্বে বিনয় মজুমদারের কবিতা।
রোমে এক গানের জলসায় ফ্যানরা এমন লাফালাফি করলেন, মৃদু ভূমিকম্প হল। এ জিনিস প্রায়ই ঘটছে। এমন দিন দূরে নয়, যখন গায়কদের মাপা হবে, তাঁদের ফ্যানরা কটা ভূমিকম্পের জন্ম দিয়েছে সেই হিসেবে। তাতে ছাদ ভেঙে মানুষ মরব, কিন্তু টিআরপি বাড়বে।
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.