

নীলা-নীলাব্জ : পর্ব ৬
‘দুজন যুবক নামে। বমনরত তরুণীর মুখ টিসু দিয়ে দ্রুত মুছিয়ে দিয়ে চ্যাংদোলা করে গাড়িতে তোলে। নীলাকে হাত নেড়ে ভোঁ করে গাড়ি নিয়ে রাতের কলকাতায় মিলিয়ে যায়।’
‘দুজন যুবক নামে। বমনরত তরুণীর মুখ টিসু দিয়ে দ্রুত মুছিয়ে দিয়ে চ্যাংদোলা করে গাড়িতে তোলে। নীলাকে হাত নেড়ে ভোঁ করে গাড়ি নিয়ে রাতের কলকাতায় মিলিয়ে যায়।’
অল্পবিস্তর বদলেই বদলে যেতে পারে একটা গানের অভিমুখ, অভিপ্রায়। ২০০৬ সালে লেখা প্রেমের গান ‘বাড়িয়ে দাও তোমার হাত’ পরিণতি পায় ২০১১-তে, ‘চলো পাল্টাই’ চলচ্চিত্রে পিতা-পুত্রের সম্পর্কের টানাপোড়েনের ব্যাকড্রপে। এই পর্বে সেই গানের গল্প।
‘…ভালবাসা একটা আকর্ষণ, সেটাই বললে না? কারোর জন্য উন্মাদ হয়ে যাওয়া। সবাই হয়তো বারণ করছে, করিস না,করিস না বোকা কিন্তু তবু বারবার তার কাছেই ছুটে যাওয়া। একটা অদৃশ্য টান। একটা মায়া। এটা ভালবাসা নয়?’
সৃজনশীলতার সূত্র অনুপ্রেরণা, না কি শিল্পীর দক্ষতা? ‘বিজলি বাতি’ গানটা্ ২০০৬ সালের; আজ এতগুলো বছর পরে সৃজনশীলতা নিয়ে কী মতামত অনুপম রায়ের? শুনুন এবারের ‘সং স্টোরি শর্ট’-এ, পর্ব ১৬।
‘…কলকাতা ইজ অ্যাভারেজ! মেনে নাও। দিল্লি হল রাজধানী। মুম্বই হল ফিল্ম, ফিন্যান্সের রাজধানী, বেঙ্গালুরু আই টি-র রাজধানী। আমরা নেই কোথাও এসবে। আমরা একটা পাতি শহর। তুমি এই পাতি শহরের একটা পাতি আই টি কর্মচারী।’
পুজো মানেই শরতের নীল আকাশ, কাশবন, ঢাকের আওয়াজ। পুজো মানেই বাংলার বাইরে থাকা বাঙালির কাছে ঘরে ফেরার ডাক। প্রবাসীর মনের সেই আকুতির কথাই ফুটে ওঠে ‘আগমনীর গান’-এ।
‘প্রথম পয়েন্ট হল— ভাল, খারাপ ভীষণ সাবজেক্টিভ একটা ব্যাপার। দ্বিতীয় পয়েন্ট, শিল্পের ক্ষেত্রে যদি ধরে নিই, যা কিছু শাশ্বত তা ভাল, তাহলে বলো কালিদাস কেমন মানুষ ছিল? বলো শেক্সপিয়র কেমন মানুষ? যামিনী রায়? বাখ? পিকাসো? দালি? সত্যি কি ম্যাটার করে?’
শিল্পীর কলম থেকে শ্রোতার হৃদয় পর্যন্ত যে যাত্রাপথ, সে পথ সোজা নয়; বিশেষ করে সেই সৃষ্টি যদি হয় সিনেমার জন্য ফরমায়েশি গান। ‘প্রাক্তন’ ছবির জনপ্রিয় গান ‘কলকাতা’ লেখা ও সুর দেওয়ার পর্বে এরকমই অভিজ্ঞতা অনুপম রায়ের।
আমাদের সমাজে অর্থনৈতিক বদল এমনভাবে ঘটে চলেছে, একদিন দুটো শ্রেণিই শুধু পড়ে থাকবে। বড়লোক এবং গরিব। মাঝে যারা পড়ে রইল, তারা কি আদৌ নিরাপদ? এই নিয়েই অনুপম রায়ের গান ‘মধ্যবিত্ত ট্র্যাপ’।
‘চাঁদনি থেকে এসপ্ল্যানেডের দিকে চলেছে মেট্রোটা। পরের স্টপেই নামতে হবে নীলাকে। দরদর করে ঘামছে। এই ভিড় থেকে বেরতে পারলে বাঁচে। স্টেশনে নেমে ঊর্ধ্বশ্বাসে হাঁটতে থাকে। কলকাতার এই ধাক্কাধাক্কিতে এখন অবশ্য সম্পূর্ণ অভ্যস্ত নীলা।’
দুটো ভিন্নমত, যতই বিপরীতধর্মী হোক না কেন, তাদের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখাই প্রকৃতির ধর্ম। আনকোরা নতুন এই গানটাও সেই বহুত্ববাদের কথাই বলে। শোনা যাবে সদ্য মুক্তি পেতে চলা ‘আলাপ’ ছবিতে, অনুপম রায় ও লগ্নজিতা চক্রবর্তীর কণ্ঠে।
বাঘাযতীন মোড়। এক সোমবারের সকালে অফিস যাওয়ার পথে নীলার দেখা হয় নীলাব্জর সঙ্গে। তবে শুধুই নীলাব্জ নয়, দেখা হয় জীবনের সেই গভীর দার্শনিক প্রশ্নটার সঙ্গেও, ইঁদুরদৌড় জীবনের শেষ কথা কি না।
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.