জয়ন্ত সেনগুপ্ত

জয়ন্ত সেনগুপ্ত

হেঁশেলের হিস্‌সা: পর্ব ৫

‘…ভারতীয় খাওয়াদাওয়াকে যদি মহাকাব্যের সঙ্গে তুলনা করা যায়, তবে বিরিয়ানিই তার অবিসংবাদিত নায়ক, আদতে মুসলিম রান্না হলেও সে-ই আমাদের ‘ন্যাশনাল ডিশ’, সে আজ মুঘলসরাই ধাপ্পা দিয়ে নিজেকে ‘দীনদয়াল উপাধ্যায়’ বলে চালানোর যতই চেষ্টা করুক না কেন।’ বাঙালির পাতে মুঘল খানার ঋণ।

জয়ন্ত সেনগুপ্ত

হেঁশেলের হিস্‌সা: পর্ব ৪

‘এমন নয় যে আমরা গোমাংস খেতে শিখেছি সায়েবদের কাছ থেকে। শুধু বৈদিক যুগেই নয়, তার পরেও বহু শতাব্দী গোমাংস আমরা খেয়েছি সানন্দে, তার উল্লেখ ছড়িয়ে রয়েছে ‘গৃহ্যসূত্র’-এ, যাজ্ঞবল্ক্যের ‘শতপথ ব্রাহ্মণ’-এ, চরক বা সুশ্রুতের সংহিতায়, বিস্তর বৌদ্ধ টীকাগ্রন্থে।’ গোমাংসের ঐতিহ্য।

জয়ন্ত সেনগুপ্ত

হেঁশেলের হিস্‌সা: পর্ব ৩

‘রন্ধনবিদ্যা ও খাদ্যাভ্যাস তখনও শিল্প বা ‘আর্ট’ হয়ে ওঠেনি, রুচির সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বাছবিচারের সোফিস্টিকেশন সে তখনও অর্জন করেনি। পাকশালার সংস্কৃতির সঙ্গে সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদের সম্পর্কসূত্রটি এ সময়ে গড়ে ওঠেনি।’ ঔপনিবেশিক আমলের খাদ্যাভাস।

জয়ন্ত সেনগুপ্ত

হেঁশেলের হিস্‌সা: পর্ব ২

‘কেরলের আভিয়াল ভারি ভাল জিনিস বটে, কিন্তু বাঙালি সভ্যতায় শ্রীচৈতন্যের বৈষ্ণব ভক্তিযোগের অতুলনীয় অবদান শুক্তো বা লাবড়া বা নিমঝোলের সঙ্গে কি তার তুলনা চলে?… বেচারা সায়েবরা কোথায় জানবে এই করণকৌশল?’ নিরামিষ রান্নার ইতিহাস।

জয়ন্ত সেনগুপ্ত

হেঁশেলের হিস্‌সা: পর্ব ১

‘এই নব্য গার্হস্থ্যবিধিতে রন্ধনবিদ্যার স্থান ছিল তাৎপর্যময়, কারণ এই পরিবর্তনের ফলে রান্নাঘরটি আর শুধু ‘রাঁধার পরে খাওয়া আর খাওয়ার পরে রাঁধা’-র নৈমিত্তিকতার মধ্যেই আবদ্ধ রইল না।’ রান্নাঘর আর বাঙালির চরিত্র-ইতিহাসের বিবর্তন।