এক শালিক : পর্ব ৫৭
শিল্প কার? স্রষ্টা’র না ভোক্তা’র? প্রকাশিত হওয়ার পরে; এমনকী আগেও তাঁর শিল্পকর্মের উপর পূর্ণ অধিকার স্রষ্টার আদৌ থাকে কি ? ভাল না খারাপ— সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার কি তখন শুধুই জনতার?
শিল্প কার? স্রষ্টা’র না ভোক্তা’র? প্রকাশিত হওয়ার পরে; এমনকী আগেও তাঁর শিল্পকর্মের উপর পূর্ণ অধিকার স্রষ্টার আদৌ থাকে কি ? ভাল না খারাপ— সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার কি তখন শুধুই জনতার?
কথা আর ছবির মেলবন্ধনে পৌঁছে যাই না-যাওয়া দেশে, ‘দূরপাল্লা’র জানালা দিয়ে আমরাও উঁকি দিই বহির্বিশ্বে। এবারের পর্বে রইল উত্তর আমেরিকার নিউ ইয়র্কে ‘স্ট্র্যান্ড বুকস্টোর’ থেকে ভার্জিনিয়ায় ‘লুরে গুহা’ দেখতে যাওয়ার গল্প।
রাষ্ট্রের নিপীড়নে দমে না গিয়ে নিজেদের স্বাধীন ভাবনাচিন্তার পরিসরকে চালু রাখছেন, তৈরি করছেন সমান্তরাল এক রাষ্ট্র যেখানে শুভবুদ্ধিসম্পন্ন, কৌতূহলী, দরদি মানুষদের ভিড় বাড়ছে— তাঁরাই আজকের প্রকৃত বিশ্ব-নাগরিক।

শিল্পমনস্ক বাঙালি দীর্ঘদিন ধরেই ‘জলসাঘর’ নামটার সঙ্গে পরিচিত। সে তারাশঙ্করের ছোটগল্পেই হোক বা সত্যজিতের সিনেমায়। সেসব পার করে বছর চারেক আগে আরও একবার এই নামে লেখা হল গান; বাঙালি জীবনের নস্টালজিয়াই যে-গানের মূল বক্তব্য।

আপাতদৃষ্টিতে অসংলগ্ন কিছু দৃশ্যকল্প— কিন্তু তার মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট হয়ে উঠছে একটা জাতির ইতিহাস, ফুটে উঠছে তার সম্পূর্ণ অবয়ব। কবি উৎপলকুমার বসুর সেইসব কবিতা আজও আমাদের সকল সুখ-দুঃখের সাথী।

আবর্জনা ছড়াতে মানুষ দারুণ ভালবাসে। সে রাস্তাঘাট হোক বা মন। তবে কিনা, পৃথিবীকে নোংরা করে আর পোষাচ্ছে না, তাই এখন মানুষ চলল চাঁদে ময়লা ফেলতে। কিন্তু চাঁদে তো কেবল ময়লা ফেলে ক্ষান্ত থাকবে না। অতএব এখন লক্ষ্য চাঁদ-দখল।
ব্রাসেল্স তো শুধু টিনটিন-এর নয়; বিশ্বখ্যাত গোয়েন্দা এরকুল পোয়ারো ও হলিউড-হার্টথ্রব অড্রে হেপবার্ন-এরও শহর। ভ্রমণপিপাসুদের অবশ্য-গন্তব্য বেলজিয়ামের সেই শহরে, বেলজিয়ান চকোলেটের স্বাদ নেওয়া থেকে রাজপ্রাসাদ দেখার অভিজ্ঞতা নিয়েই এবারের ‘দূরপাল্লা’।
শুধু বই পড়া-ই জ্ঞান অর্জন ও সংবেদনশীল হয়ে ওঠার সর্বোত্তম পন্থা, অন্যান্য শিল্প-মাধ্যম সেই সম্মানের যোগ্য নয়— এ কি একধরনের অবাস্তব উন্নাসিকতা? সিরিয়াস সাহিত্যচর্চা যদি পাঠকের মনে অহংকারের জন্ম দেয়, তা কি সামগ্রিক সাহিত্যচর্চার ব্যর্থতা নয়?
কখনও কখনও বিপরীত মেরুর জীবনও একই মন্ত্র জপে। প্রকৃত সাধু আর সফল অসাধুর মধ্যে ফারাক বিস্তর— তবে দু’পক্ষই ডিসিপ্লিনপন্থী; এবং হৃদয়দৌর্বল্যকে উপেক্ষা করতে সর্বদা উৎসাহী!
মিউজিয়াম অফ মডার্ন আর্ট হোক কী টাইমস স্কোয়ার-এর আলোর উৎসব, ম্যানহাটান-এর আবেদন বহুস্তরীয়! আবার শিকাগো শহরে ১০১ তলায় ডিনার থেকে ইন্সটিটিউট অফ আর্ট-এ এডওয়ার্ড হপার-এর ‘নাইটহক্স’ দেখার অনুভূতি— এবারের পর্বে রইল সেসব গল্প।
ক্যামেরা এক অত্যাশ্চর্য আবিষ্কার— অতীতে বন্দি প্রজাতির কাছে সে হয়তো সময়-এর নাগপাশ বাইপাস করে সুখের স্মৃতিগুলো আজীবন বাঁচিয়ে রাখার জাদুযন্ত্র। আবার অন্য অর্থে সে কি বর্তমান-কে সেই মুহূর্তেই উপভোগ করার পরিপন্থী?
নিজের বাড়ি, বাবা-মা, বন্ধুদের ছেড়ে অন্য শহরে চলে যাওয়া যে শুধুই একাকীত্বের জন্ম দেয় তা নয়; সেই যন্ত্রণা শিল্পীর অন্দরমহলে জন্ম দেয় শব্দের ও সুরের। নিজের শিকড়ে ফিরে যাওয়ার সেই কথাই বলে ‘তিস্তান’। এবারের পর্বে রইল সেই গানের গল্প।
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.