ভিডিও

দেবশঙ্কর হালদার

স্পটলাইট: পর্ব ৪

নাটকের মধ্যে যখন এক জন অভিনেতা থাকেন, তখন তাঁর মনে সচেতনতার একটা ভিন্ন স্তর তৈরি হয়। সেই স্তরের অনুভূতি কিন্তু অভিনেতার মনের ভেতরে এক অন্য রকম নাটক তৈরি করে। যে নাটকের মোহে অভিনেতা মূল নাটক এবং নিজের মনের মধ্যে চলতে থাকা নাটকের মধ্যে বার বার যাতায়ত করেন। সেই নাটকীয়তা নিয়ন্ত্রণ করাটা কিন্তু খুব সহজ ব্যাপার নয়। অতিনাটকীয় বলে যে দুয়ো দেওয়ার চল রয়েছে, তা কিন্তু বুঝে দেওয়াই ভাল কারণ নাটকীয়তার একটা নিজস্ব চলন আছে, নাটকে এবং অভিনেতার মনের মধ্যে। আর সেই দুইয়ের মধ্যে সংযোগ খুব কম।

উপল সেনগুপ্ত, চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

একটা গল্প একটা গান: পর্ব ১৩

রাজা মাইডাস দেবতার কাছে বর চেয়েছিলেন যে, তিনি যাই ছোঁবেন তা যেন সোনা হয়ে যায় অর্থাৎ তাঁর সব কাজে যেন সাফল্য আসে। কিন্তু দেবতা তা আক্ষরিক অর্থে গ্রহণ করে যে বর দেন, তাতে রাজা মাইডাস বেজায় বিপদে পড়লেও আক্ষরিক বরের গুণে সম্পদশালী হয়ে ওঠেন। কিন্তু পরে রাজারই বুদ্ধিতে দেবতা পড়েন বিপদে। আর গানে বলা হচ্ছে যে মার-ই হল আদর্শ একটি শব্দ, যার প্রয়োগ ভাল-খারাপ নির্বিশেষে মানুষকে ছুঁয়ে যায়।

অনুপম রায়

ক্যাসেট কথা: পর্ব ১৫

পাঙ্ক রক্‌ কাকে বলে? আগাপাশতলা ইন্ডিপেন্ডেন্ট মিউজিক যাকে বলা হয়, তার শুরু কি পাঙ্ক রক্‌ থেকে? মূলশ্রোতের জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে যাওয়া একটা ব্যান্ড কি তার পাঙ্ক রক্‌ মূল্যবোধকে পেছনে ফেলে আসে, দামাল যৌবনের হারিয়ে যাওয়া দিনগুলোর মতো? অথ গ্রিন ডে কথা।

ডাকবাংলা.কম

কলকাতা লিটারারি মিট

যাঁরা বইপ্রেমী, ভালবাসেন সংস্কৃতির নানান দিক, তাঁদের কাছে টাটা স্টিল কলকাতা লিটারারি মিট (২২-২৭ মার্চ) এনে দেবে অনাবিল আনন্দ, প্রাণের আরাম আর ভাবনার সমৃদ্ধি। এই উৎসবে ইংরেজি ভাষার পাশাপাশি রয়েছে একাধিক বাংলা অধিবেশন। আর ডাকবাংলা.কম যেহেতু এই সাহিত্য উৎসবের এক আত্মীয়ও বটে, তাই সে এই আত্মীয়তার সূত্রে জড়িয়ে নিতে চায় তার গ্রাহকদের।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

এক শালিক: পর্ব ১৪

অমরত্ব বলতে আমরা বুঝি চিরযৌবন। মনে মনে যখন ভাবি, ইশ! যদি পঁচিশ বছর বয়সে ফিরে যেতে পারতাম ভারি ভাল হত। আসলে, আমরা চাই ৬২ বা ৭২ বছর বয়সের সঞ্চিত অভিজ্ঞতা আর মস্তিষ্ক নিয়ে যৌবনে ফিরে যেতে। এক বারও ভাবি না যে পঁচিশে ফিরে গেলে, মস্তিষ্কও সেই বয়সের মতোই থাকবে এবং অভিজ্ঞতাও। এবং সারা জীবন ধরে যে ভুল ও ঠিক করে চলেছি, সেই সবই করে চলব। সুতরাং দ্বিতীয় সুযোগ হল প্রথম ভুল- ঠিকের পুনরাবৃত্তি মাত্র।

শ্রীজাত

কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ১৪

ঈশ্বর গুপ্ত এমন এক জন কবি যাঁর ছোঁয়ায় বাংলা ভাষা বেঁচে উঠেছে, উজ্জীবিত হয়েছে। তিনি ছিলেন বাংলা ভাষার বহমান স্রোতের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। ব্রিটিশ সাম্রাজ্য শুরুর দিকের কবি তিনি, পরলোক গমন করেছেন ১৮৫৯ সালে, অথচ কী আধুনিক, কী উদার মন। তাঁর কবিতা পড়তে পড়তে মনে হয়, আমরা তখন কত এগিয়ে ছিলাম মানসিকতার দিক দিয়ে, সেই উদারমনস্কতা বয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব আমরা পালন করতে পারব তো?

ডাকবাংলা.কম

দুই হুজুরের গপ্পো: পর্ব ৩

বড় ম্যাচের আগে ইস্টবেঙ্গলের শরীরী ভাষা অনেক আগ্রাসী, আত্মবিশ্বাসী। সেদিক থেকে ইস্টবেঙ্গল হয়তো এগিয়ে। তবুও, মনোরঞ্জন কেন শেষ দু-বছর খেললেন মোহবাগানে? মাঠের দুই ওস্তাদ মুখোমুখি।

উপল সেনগুপ্ত, চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

একটা গল্প একটা গান: পর্ব ১২

গোল্ডিলকস, যে কিনা পছন্দ করত স্বস্তি, একদিন জঙ্গলে ঘুরতে-ঘুরতে একটা বাড়িতে ঢুকে, পরে জানতে পারে ওটা আসলে ভাল্লুকদের বাড়ি। ভাল্লুকেরা তাকে যে উপদেশ দেয় ছাড়ার সময়, তা সে মানে না এবং শেষে ওদেরই পুড়িয়ে মারে। আর গানে প্রশ্ন করা হচ্ছে, পৃথিবীতে নানান বিপর্যয় নেমে আসলেও, মানুষের আনন্দ-ফুর্তিতে তার ছাপ পড়বে কি?

শ্রীজাত

কবিতার আড্ডাঘর: পর্ব ১২

আমাদের চারপাশটা আবারও অন্ধকার হয়ে আসছে। আশঙ্কার কালো মেঘ যেন মাথার ওপর দিয়ে যাতায়াত করছে, দেখা যায়। এই বিপন্ন সময়ের মাঝখানে দাঁড়িয়ে, কালকের সিরিয়া, আজকের ইউক্রেন সব একাকার হয়ে গেছে। সর্বত্র শুধু ভয় আর আতঙ্ক। এই পর্বের কবিতাগুচ্ছের মধ্যে সেই কালো সময়েরই প্রতিধ্বনি।

ডাকবাংলা.কম

দুই হুজুরের গপ্পো: পর্ব ২

ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান খেলা মানেই প্রচণ্ড চাপ। সুব্রত-মনোরঞ্জন দুজনেরই স্বাকীরোক্তি। ইস্টবেঙ্গল মাঠে থাকলে ঝামেলা হবেই। মোহনবাগানের কুসংস্কার। খুনসুটি, ভালবাসার অভিজ্ঞতা নিয়ে আবার সুব্রত-মনোরঞ্জন।

অনুপম রায়

ক্যাসেট কথা: পর্ব ১৪

নব্বইয়ের দশকের নতুন সাউন্ড, ‘গ্রাঞ্জ’-এর সমার্থক ব্যান্ড নির্ভানা। আশির দশকের শেষ অবধি মূলশ্রোতের পশ্চিমি জনপ্রিয় গানে যা-যা ঘটেছে, তার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা একটা ঘরানা তৈরি হল ওয়াশিংটন স্টেটের সিয়্যাট্ল‌ শহরে, এবং সেই ঘরানার (কিছুটা কি অনিচ্ছাকৃত?) পোস্টার-বয় হয়ে উঠলেন কার্ট কোবেন এবং তাঁর ব্যান্ড নির্ভানা। অনির্বাণ কার্ট এবং নির্ভানা-কথা।

ডাকবাংলা.কম

দুই হুজুরের গপ্পো: পর্ব ১

ময়দানের সবুজ ঘাস তখন ঘন-ঘন বিস্ফোরণে অভ্যস্ত ছিল। দুই স্টপার দুই দলের জার্সি পরে মাতিয়ে দিত মাঠ আর গ্যালারি। সুব্রত-মনোরঞ্জন মাঠে নামত আর খেলত উত্তেজিত গোটা বাংলা। ফের মুখোমুখি সেই দুজন, অভিজ্ঞতার ঝাঁপি নিয়ে।