সলিলায়তন

ডাকবাংলা.কম

প্রসঙ্গ সলিল চৌধুরী

‘১৯৫৩ সালে গণনাট্যর বম্বে সম্মেলনে বাবার সঙ্গে এই নিয়ে ওঁর তর্কটা হয়। বাবার বক্তব্য ছিল, এই দেশের লোকের কাছে পৌঁছতে হলে লোকজ সুরকে মাধ্যম করা উচিত। এক্ষেত্রে অতিরিক্ত অর্কেস্ট্রেশনের বিপদ আছে। সলিলের তর্ক ছিল, তবে কি লোকোমোটিভের যুগে লোকে গরুর গাড়ি চড়বে?’

Salil Chowdhury
অর্ক মুখার্জি

সুর-বাহার

‘আমার মনে হয়, সলিল চৌধুরীকে বুঝতে গেলে, সবচেয়ে জরুরি এটা বোঝা— তিনি কীভাবে এখানকার ভোকাল মেলোডিকে ভেঙে, সম্পূর্ণ নতুন একটা রূপ দিলেন। এমনকী পাশ্চাত্যেও সুরের কতগুলো নির্দিষ্ট সরলরৈখিক চলন আছে, কিন্তু সলিল সেটাকে আত্তীকরণের সময়ে সরলরৈখিক রাখলেন না।’

Salil Chowdhury
শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়

আখ্যান-কবিতার সলিল

‘আধুনিক বাংলা কবিতা সত্যিই নিজেকে পালটাতে-পালটাতে অনেক দূরে চলে গেছে। সলিলের কবিতা সে-পথে যায়নি। কিন্তু সলিল কি আদৌ কবি হতে চেয়েছিলেন?’

Representative Image
অনিরুদ্ধ ভট্টাচার্য

বাসু-সলিল কথা

“সলিল চৌধুরী তখন বাসু চ্যাটার্জিকে বলেছিলেন, ‘ছবিটা আমাকে দিন, আমি ১০,০০০ টাকায় করে দেব।’ এরপরেই চুক্তি পাকাপোক্ত হয়ে যায়। সলিল আগ্রায় গিয়ে লোকেশন দেখেন এবং ব্রজভাষার কয়েকটি লোকগান রেকর্ড করে আনেন, যা পরে ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোরে ব্যবহৃত হয়।”

Salil Chowdhury
প্রবুদ্ধ ব্যানার্জী

তৃতীয় ধারার কারিগর

সলিল চৌধুরী যেভাবে আমাদের দেশের সংগীতের সঙ্গে পশ্চিমি সংগীতের মেলবন্ধন ঘটাতে পেরেছিলেন, তার ফলে সৃষ্টি হয়েছিল একটা ‘তৃতীয় ধারা’।