মেজাজেও মহারাজ

বিরজু মহারাজ জীবনকে উপভোগ করতে পারতেন তার সব রকম উপাদানের মধ্যে দিয়ে। কোনও বাঁধাগতে না রেখে মনকে, শিল্পকে অনেক বড় বৃত্তে ছড়িয়ে দিতে পেরেছিলেন। এবং সেই কারণেই তাঁর শিল্প ছিল এতটা প্রসারিত। এমন পূর্ণাঙ্গ মানুষ, এমন ব্যক্তিত্ব এখন বিরলও নয় বোধহয়, অমিল।

লয়কারি: পর্ব ৭

সাকসেসফুল ফিউশন হচ্ছে সেটাই,
যখন দুটো সাবজেক্ট বাজতে থাকার মধ্যে দিয়ে একটা অন্য কোনও ভাষা তৈরি হয়ে উঠছে। প্রথম এই প্রচেষ্টা দেখা গেছিল ‘শান্তি’ নামের একটা দলের হাত ধরে। পরবর্তীকালে সঙ্গীতের এই নতুন ধারাটি জনপ্রিয় হয়ে উঠল ক্রমশ। কিন্তু এক্ষত্রে সবচেয়ে জরুরি হল সিন্থেসিস।

লয়কারি: পর্ব ৬

অতিমারী এসে যখন চারপাশ তছনছ করে দিল রাতারাতি, তা থেকে বাদ গেল না শিল্পীদের জীবনও। তার মধ্যে আবার বাউল এবং কণ্ঠীশিল্পীদের অবস্থা সবচেয়ে শোচনীয়। অর্থাভাব এক দৈত্যের মতো গত বছর থেকে তাদের ঘাড়ে চেপে বসে রয়েছে। সমাধান একটাই, নানান উদ্যোগ নিয়ে ওদের পাশে দাঁড়ানো।

লয়কারি: পর্ব ৫

পশ্চিমবঙ্গের বাইরে ধ্রুপদী সঙ্গীতের প্রতি যে নিষ্ঠা আর শ্রদ্ধা দেখা যায়, এখানে তা খুঁজে পাওয়া ভার। অন্যদিকে লোকসঙ্গীতের যে অন্তর্জগৎ, তা যদি আমরা আমদের জীবনযাপনের অঙ্গ করে তুলতে পারি, তার চেয়ে আনন্দের বোধহয় আর কিছুই নেই!

লয়কারি: পর্ব ৪

মার্গসঙ্গীতকে আশ্রয় করে ওস্তাদ আলাউদ্দিন খান প্রথম তৈরি করেন ‘মাইহার ব্যান্ড’। যার স্মৃতি আজও সংরক্ষিত রয়েছে সেখানে। পাশাপাশি গোয়ালিয়রে ওস্তাদ হাফেজ খান আজও জীবন্ত। সুরের ঐতিহ্য, তার পরম্পরাকে বাঁচিয়ে রাখার স্বপ্নের কথা উঠে এসেছে এই পর্বে।

লয়কারি: পর্ব ৩

বহু বড় শিল্পীর সান্নিধ্যে আসার সৌভাগ্য হয়েছে। তাঁদের কাছে শেখা হয়েছে সঙ্গীতের সহবত। পাওয়া গিয়েছে মনটাকে খোলা রাখার শিক্ষা। আবার করা হয়েছে অসংখ্য দুষ্টুমি, তাঁরা স্বভাবসুলভ উদারতায় ক্ষমা করেছেন, প্রশ্রয় দিয়েছেন, হো-হো হেসেছেন।

লয়কারি: পর্ব ২

কলেজের নানা দুষ্টুমি, হেদুয়ার পাড়ে আড্ডা, বসন্ত কেবিনের গুলতানি, প্রফেসরদের জ্বালানো, এমনকী নতুন ব্যাচ ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে, চশমা পরে টিচার সেজে ক্লাসে ঢুকে তখনই ছুটি দিয়ে দেওয়া। স্কটিশের গেট দিয়ে ঢুকেই জোরে তবলার বোল, প্রিন্সিপ্যালের কাছে জবাবদিহি।

লয়কারি: পর্ব ১

ডানপিটে এক শৈশবের গল্প। ক্র্যাফটের ক্লাসে শিক্ষক কমলকুমার মজুমদার জিজ্ঞেস করলেন, হ্যাঁ রে, তোর পড়তে ভাল লাগে না? গান-বাজনা ভাল লাগে? এই টেবিলে তবলা বাজা তো! তবলা শুনে, তিনি যা বললেন, তা-ই সারা জীবনের পাথেয়।