মিহি মন্তাজ: পর্ব ৭

‘সব থেকে সেফ জানলা হল পাশের বাড়ির বাথরুমের উল্টোদিক। কারণ সেটা বন্ধ থাকে, ঘষা কাচ। আমি আবিষ্কার করেছি যে, তার মধ্যে কারুর আবছা ছায়া পড়লে, তা স্পষ্ট দেখতে পাওয়ার চেয়েও বেশি ইন্টারেস্টিং। সে তো আর আমাকে দেখতে পাচ্ছে না, এটাই দারুণ স্বস্তি।’ আড়ালে থাকার আনন্দ।

মিহি মন্তাজ: পর্ব ৬

‘এদেশে যা দেখছি, যদিও এ দেখার কোনও সারবত্তা নেই, সবার এক বাড়ি, গাড়ি, চেহারা। সবাই সায়েব। অনেকেই মেম। অনেককে দেখে সন্দেহ হয়, এরা বোধহয় এক ধরনের কালো। কত মিলিয়ন শেডস অফ গ্রে, ব্রাউন, হলুদ, সবুজ, ওরাং ওটাং ভরা ব্রিটিশ দুনিয়া।’ প্রবাসে দৈবের বশে।

আমি বুদ্ধদেবকে দেখেছি

‘কোনও কথা বলার আগে, ‘এই নাও’ বলে একটা খাম ধরিয়ে দিলেন। সস্নেহে অনেক কথা বললেন, আমরা পালাতে পারলে বাঁচি, খামে কী আছে কে জানে, ‘কেমন লাগল বোলো কিন্তু, ইচ্ছে হলেই চলে আসবে’, দুদ্দাড় করে বেরিয়ে এসে আলিয়াতে ঢুকে খাম খুললাম। লেখা। বুদ্ধদেব গুহর লেখা।’ বুদ্ধদেব গুহর স্মৃতিচারণ।

মিহি মন্তাজ: পর্ব ৫

আমাদের পাড়াতে অনেক বাজে ফ্ল্যাটবাড়ি হয়েছে। চারতলা হলেও সেখানে লিফ্‌ট বসানো আছে কায়দা করে। ফলপট্টির কাঠের প্যাকিং বাক্সের চেয়েও ছোট। জেলের মতো গরাদ লাগানো দরজা তার। টোল-বিশু বলেছিল, খরচ কমাতে এইসব বাড়ির তলাটা নাকি তৈরি হয় না। একগুচ্ছ জীবন।

মিহি মন্তাজ: পর্ব ৪

‘…কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে মাথার মধ্যে দিয়ে কত কী বয়ে গেল। কোনও ছোট স্টেশনে ঝড়ের মতো রাজধানী পেরিয়ে গেলে যেমন হয়। একটা ঝমঝমে আওয়াজ আর বেসামাল স্মৃতির পাতাগুলো কিছুক্ষণ উড়তে থাকে রেললাইনের ওপর। দপদপানো লাল আলোটা একসময় মিলিয়ে যায় মাইগ্রেনের মতো। ‘তুমি চললে কোথায়?’ জিজ্ঞেস করায় বলল, ‘খুঁজছি’।’ চেনা-অচেনা কবি।

মিহি মন্তাজ: পর্ব ৩

‘ভোরবেলা সাত তলায় যে-মেয়েটা এক্সারসাইজ করে, তার শুধুমাত্র হাতদুটো চোখে পড়ে। আমার একেবারে উল্টোদিকের জানলায় যারা থাকে, তাদেরই একমাত্র চিনি। ও-বাড়ির একজন মহিলা মাঝে মাঝেই জানলায় এসে এদিক-ওদিক কী সব খোঁজেন। অন্য ফ্ল্যাটগুলোয় যারা থাকে, চিনি না।’ প্রতিবেশীর গল্প।

মিহি মন্তাজ: পর্ব ২

‘চললাম পেছন-পেছন, দূরত্ব রেখে। একটা গলিতে ঢুকে তৃতীয় বাড়ির দরজায় কড়া নেড়ে হাঁক পাড়ল, ‘এই যে’। দরজা খুলল। একটা বেড়াল বেরিয়ে দৌড় লাগাল একদিকে। এক মহিলা বেরিয়ে এসে আমাকে দেখতে পেয়ে একগাল হেসে বললেন, ‘আজ আপনাকে ধরেছে বুঝি?’’ অপরিচিতের পিছু ধাওয়া।

মিহি মন্তাজ: পর্ব ১

‘চারখানা পরাজিত হাম্প এখন সামনের আর পিছনের চাকার মাঝখানে। এই অবধি দেখার পরেও দর্শক উদগ্রীব হয়ে রইল। এখনও তো পিছনের চাকা বাকি। নজর পড়ল জানলার ভেতরের ভাবলেশহীন যাত্রীদের দিকে।’ নতুন কলাম।